রংপুরে ডাকাতি কালে ১১ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানা এলাকা রংপুর বিভাগীয় আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের ১১ জন সদস্যকে গেপ্তার করেছে র্যাব-১৩, রংপুর। র্যাব অধিনায়কের পক্ষে মাহমুদ বশির আহমেদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই ডাত দল রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও থানা থেকে এসে একত্র হয়ে দিনাজপুর ও রংপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন কৌশলে যেমন-বল পূর্বক চেতনাশক ঔষধ পান করে দীর্ঘদিন থেকে নিয়মিত চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছে। এই ডাকাত দলের সদস্যদের বাড়ি রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বলে র্যাব জানায়।
র্যাব-১৩, রংপুর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকি সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক প্রেস বার্তায় জানায়, র্যাবের কাছে তথ্য আসে যে, ইদানিং দিনাজপুর-রংপুর জেলায় বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। তদপ্রেক্ষিতে র্যাব-১৩, রংপুর গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ আগস্ট তারিখ গভীর রাতে গোপন সংবাদের মাধ্যমে র্যাব-১৩, রংপুর এর একটি চৌকস দল জানতে পারে যে, দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানাধীন প্রীতি বাজার এলাকায় মেসার্স এ এ ব্রিকস নামক ইট ভাটায় ডাকাতি সংগঠিত হচ্ছে। ডাকাতির ঘটনা প্রতিরোধ এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ১১ জন আন্তঃ জেলা ডাকাত চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় কাারোল থানাধীন দশমাইল এলাকা হতে ডাকাতিকৃত ৭টি ব্যাটারী, ৪টি খোলা ট্রান্সফর্মার, ১টি হাইড্রোলিক জ্যাক যার আনুমানিক মূল্য দুই লক্ষ টাকা এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ আটক করা হয়। উল্লেখ্য যে, উক্ত ডাকাত দলের ১১ জন সদস্য মাইক্রোবাস যোগে গত ৩০ আগস্ট দিবাগত রাতে ১ টাা হতে ভোর ৪ টা পর্যন্ত দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানাধীন প্রীতি বাজার এলাকায় মেসার্স এ এ ব্রিকস নামক ইট ভাটায় নৈশ্য প্রহরীদের দেশীয় অস্ত্রে মুখে জিম্মী করে হাত-পা বেঁধে এবং মারধর করে উক্ত ইট ভাটায় ডাকাতি সংগঠিত করে।
র্যব জানায় , প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, ধৃত ডাকাত দল স্বীকার করে যে, তারা উক্ত ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত করেছে গ্রেপ্তার হওয়া আসামীরা প্রতেকেই আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন জেলা ও থানা থেকে এসে একত্র হয়ে দিনাজপুর ও রংপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন কৌশলে যেমন-বল পূর্বক চেতনাশক ঔষধ পান করে দীর্ঘদিন থেকে নিয়মিত চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছে। তাদের প্রত্যেকের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এএজেড