শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জেলা পরিষদ নির্বাচন

সিলেটে মনোনয়ন চান আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা

তফসিল ঘোষণার পরপরই সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সরব ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পরিবার। বিশেষ করে সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে কারা প্রার্থী হচ্ছেন, ক্ষমতাসীন দল কাকে মনোনয়ন দিচ্ছে-এ নিয়ে এখন কৌতুহল সবখানে। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত না হলেও আলোচনায় উঠে এসেছে পাঁচ নেতার নাম। যাদের চারজনই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ সারির নেতা। এ তালিকায় আছেন দলটির কেন্দ্রীয় এক সাবেক নেতাও। তাদের সবাই দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তির ব্যাপারে আশাবাদী।

তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ঘোষিত নিবাচনী তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর। আর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর। এ ছাড়া আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর।

ষষ্ঠতম কমিশন সভা শেষে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ নির্বাচনের এ তফসিল ঘোষণা দেন।

তফসিল ঘোষণার পর জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেটে শুরু হয় তোড়জোর। ইতিমধ্যে নির্বাচনে অংশ গ্রহণেচ্ছুক দলীয় প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা শুরু করেছেন প্রচার-প্রচারণা। ফলে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে জেলা পরিষদের ভোটারদের মধ্যে।

বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। তবে আওয়ামী পরিবারে প্রার্থী রয়েছেন একাধিক। প্রার্থীরা কৌশলে সরব হচ্ছেন মাঠে। দলীয় প্রধানের উপর নিজেদের আস্থার কথা জানালেও বিদ্রোহী হিসেবেও নির্বাচনী মাঠে দেখা যেতে পারে দু-একজন প্রার্থীকে। দলীয় প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে এ পর্যন্ত যাদের নাম পাওয়া গেছে- তাঁরা হলেন দলের জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সহ সভাপতি বিজিত চৌধুরী।

আলোচনায় আছেন মহানগর সহ সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদের নামও। তবে তাঁর ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানায়, তিনি জেলা পরিষদে নয়-সিলেট সিটি করপোরেশেনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে বিগত দিনে জেলা পরিষদের প্রশাসক কিংবা চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা সভাপতি/ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সেই হিসেবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরীই থাকতে পারেন দলীয় নেত্রীর পছন্দের শীর্ষে।

সিলেট জেলা পরিষদের প্রথম প্রশাসক মনোনীত হন জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান। তিনি ২০১১ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব লাভ করেন। ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করলে ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই সিলেট জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসকের দায়িত্ব লাভ করেন জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান। পরবর্তীতে শুন্য পদে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান সিলেট জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন প্যানেল চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন।

চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল মেয়াদোত্তীর্ণের পর জেলা পরিষদে প্রশাসক বসানোর সুযোগ সৃষ্টি করে সরকার। সব ধাপ শেষ করে সংশোধিত জেলা পরিষদ আইনের গেজেট গত ১৩ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৬১টি জেলা পরিষদের মেয়াদ প্রথম সভার তারিখ থেকে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ায় পরিষদগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছে। পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের আগে প্রত্যেক জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। ওইদিনই সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার সিংহকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। একইসঙ্গে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে জেলা পরিষদের প্রশাসক নিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয় নির্বাচন পূর্ববর্তী সরকার মনোনীত প্রশাসক দায়িত্ব পালন করবেন জেলা পরিষদের। তবে সরকার এরই মধ্যে স্ব স্ব জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্বাচন পূর্ববর্তী প্রশাসক নিয়োগ চূড়ান্ত করে। ফলে সিলেট জেলা পরিষদে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন প্রশাসকের দায়িত্ব লাভ করেন।

সিলেট জেলা পরিষদের ওয়ার্ডসীমা পূর্ণ নির্ধারণের চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জেলা পরিষদের মোট ভোটার ১৫২৬ জন। সিলেটে ১৩টি উপজেলায় মোট ভোটার ৩৯ জন। প্রতি ইউনিয়ন পরিষদে ১৩ জন করে ১০৫ ইউনিয়ন পরিষদে মোট ভোটার সংখ্যা ১৩৬৫ জন। পৌরসভায় ১৩ জন করে ৫ পৌরসভায় ভোটার ৬৫ জন। সিলেট সিটি করপোরেশেনে ভোটার রয়েছেন ৫৭ জন।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতা বিষয়ে আমার কোনো ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছার উপর নির্ভর করে না। যেহেতু দল করি, সেহেতু দলের সভানেত্রীর সিদ্বান্তই আমার কাছে চূড়ান্ত।’

তিনি বলেন, নেত্রী যাকে যেখানে উপযোগী সেখানেই কাজে লাগাবেন।

দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, ‘মাঠ রাজনীতির মানুষ আমি। সেই ছাত্রজীবনের উত্থাল সময় থেকে এখনও মাঠেই রয়েছি। মুজিবাদর্শের বুলি শুধু মুখে নয়, চিন্তা-চেতনা ও মননে ধারণ করেই দীর্ঘ অমাবস্যার পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি। সুতরাং দলীয় প্রধান কাকে কোথায় কাজে লাগাবেন, সেটি একমাত্র নেত্রীই ভালো খবর রাখেন।’

তিনি বলেন, শুধু দল থাকলেই হবে না নিজের বলও থাকতে হবে। নেত্রী চাইলে অবশ্যই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে আপত্তি থাকবে না। কারণ দীর্ঘদিন থেকে মাঠের রাজনীতি করতে গিয়ে সেই বল আমার রয়েছে বলে মনে করি।

সিলেট জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, মানসিক প্রস্তুতি অবশ্যই রয়েছে। তবে অবশ্যই সেটি হবে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার উপর। দলীয় প্রধান যদি আমাকে যোগ্য মনে করে প্রার্থী বিবেচনায় রাখেন, তবেই অংশ নেব নির্বাচনে।

প্রার্থীতা বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমি তো জেলার রাজনীতিতেই যুক্ত ছিলাম। দলের ইচ্ছা অনুযায়ী আমাকে মহানগরের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আমি মনে করি কাকে কোথায় কাজে লাগানো উচিত, সেই হিসেবে দলীয় প্রধানই ভালো খবর রাখেন। সুতরাং দল চাইলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেব। ’

জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার ইচ্ছে রয়েছে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বিজিত চৌধুরীর। তিনি বলেন, দলের কাছে কোনদিন কিছু চাইনি। এবারও চাইব না। রাজনীতি করছি দলের জন্য, দেশের জন্য। সেই দল যদি রাজনৈতিক কার্যক্রম বিবেচনায় আমাকে যোগ্য মনে করেন অবশ্যই জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে।

এসআইএইচ

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত