একটি সেতুর অভাবে ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

বরগুনার বেতাগী পৌর শহর থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার দক্ষিণে দুটি গ্রাম সোনার বাংলা ও করুনা। একটি সেতুর অভাবে গ্রাম দুইটি পিছিয়ে আছে। শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোতে পারাপার হলেও বর্ষায় দুর্ভোগে পড়েন ওই এলাকার ১০ হাজার মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলা শহর থেকে গ্রাম দুটিকে আলাদা করেছে সোনার বাংলা খাল। স্থানীয়রা জানান, খালটির ওপর সেতু না থাকায় ভোগান্তিতে আছেন দুই গ্রামের ১০ হাজার মানুষ। বিশেষ করে অসুস্থ নারী, বৃদ্ধসহ স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বেশি।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, খালেরে উপর সুপারি গাছ ও বাঁশ দিয়ে একটি সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে ওই সাঁকো দিয়ে পারাপার হলেও বর্ষাকালে বাড়ে ভোগান্তি। পানির তোড়ে অনেক সময় ভেসেও যায় সাঁকো।
কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, নিয়মিত সাইকেলে আমাকে কলেজে যেতে হয়। সাঁকো দিয়ে সাইকেল পারাপার করতে কষ্ট হয়।
উত্তর করুনা গ্রামের কামাল হোসেন বলেন, গত সাত বছর ধরে ভোগান্তিতে আছি। বর্ষাকালে দুই গ্রামের মানুষকে পানিবন্দি থাকতে হয়। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না। কেউ অসুস্থ হলে কিংবা মারা গেলে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়।
উত্তর করুনা আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির বলেন, সেতুর অভাবে দুই গ্রামের মানুষের সারা বছর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে স্কুল শিক্ষার্থী গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সাঁকো পার হওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান খান বলেন, সেতু করার মতো বড় প্রকল্প নেওয়ার ক্ষমতা ও অর্থ আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের নেই। তবে এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রাইসুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সেতু নির্মাণের জন্য চাহিদাপত্র ও প্রয়োজনীয় নকশা প্রেরণ করা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে সেতু নির্মাণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, একটি সেতুর অভাবে দুই গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।
