রাজশাহীতে চলছে শিশুদের টিকাদান
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের বিশেষায়িত করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে রাজশাহী নগরীর ৫৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলছে টিকাদান কর্মসূচি।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে প্রথম দিনে নগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৯ হাজার ১৩৫ শিক্ষার্থীকে এ টিকা দেওয়া হবে। টিকে নিতে সকাল থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভিড় জমতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে এসে টিকা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থী টিকা নিতে ভয় পাচ্ছে। অভিভাবক ও শিক্ষকরা তাদের বুঝিয়ে টিকা দিচ্ছেন।
নগরীর গোলজারবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ফাহিম হাসান জানান, প্রথমে একটু ভয় লাগছিল। পরে তেমন কিছুই মনে হয়নি।
ওই প্রতিষ্ঠানেরই এক অভিভাবক তাসফিয়া বেগম জানান, ছোট্ট বাচ্চা তাই একটু ভয় করছিল। ঘণ্টাখানেক ধরে বুঝিয়ে অভয় দেওয়ার পরে শেষে টিকা নিয়েছে। টিকা দেওয়ার পরে সে খুব খুশি।
রাজশাহী নগরীতে দুই সপ্তাহব্যাপি এই কার্যক্রম চলবে। রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, সুন্দর পরিবেশে টিকাদান কর্মসূচি চলছে। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আছে। কিছু শিক্ষার্থী হয়তো সুই দেখে ভয় পাচ্ছে। তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকরা বুঝিয়ে কিছুটা সময় লাগলেও টিকা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, প্রথম ডোজের ৮ সপ্তাহ বা ৫৬ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করা হবে।
উল্লেখ্য, সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে চলমান নিবন্ধিতদের টিকা প্রদান করা হচ্ছে। টিকা নিতে ৫-১১ বছর বয়সের শিশুদের অভিভাবক সুরক্ষা অ্যাপসে/সুরক্ষা ওয়েবসাইট জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যেসব শিশুর জন্ম সনদপত্র নেই, তাদের অভিভাবক জন্ম সনদপত্র সংগ্রহ করে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর অবশ্যই ১৭ ডিজিটের হতে হবে। যাদের নেই তারা নতুন করে ১৭ ডিজিটের নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া যাদের হৃদরোগের ইতিহাস, হিমোফিলিয়া, অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ার ইতিহাস আছে তাদের এবং অসুস্থ ও হাসপাতালে ভর্তি করা শিশুদের এই টিকা দেওয়া হবে না।
এসএন