রাঙামাটির কাট্টলিতে লাশ খুঁজে পায়নি পুলিশ!
রাঙামাটিতে জনসংহতি সমিতি জেএসএসর (সন্তু) সাথে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ (প্রসীত খীসা) গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে কখনো ছয়জন কখনো একজন নিহত হওয়ার খবরের সত্যতা নিয়ে দিনভর নানা জল্পনা কল্পনা থাকলেও বেলা শেষে কোন লাশের সন্ধান পাইনি পুলিশ। সকাল থেকেই ইউপিডিএফ দাবি রছে শ্যামল চাকমা নামে তাদের এক কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ভ্রাতীঘাতি সংঘাত বন্ধের আহবান তাদের। অন্যদিকে পুলিশ বলছে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাওয়া যায়নি কোন লাশ।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে লংগদুর দুর্গম কাট্টলী এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে এ বন্দুকযুদ্ধ হয় বলে জানা যায়। এতে শ্যামল চাকমা নামে একজন কর্মী নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইউপিডিএফ এর মুখপাত্র অংগ্য মারমা। তবে সকাল থেকে গোলাগুলির কথা স্বীকার করলেও নিহতের বিষয়ে নিশ্চিত কোন তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনাস্থল কাট্টলী এলাকার ইউপি সদস্য সাধন কুমার চাকমা চাকমা বলেন, সকালে উপজেলা সদর থেকে রওনা দিয়ে কয়েকঘন্টা পায়ে খেঁটে ঘটনাস্থ ছোট কাট্টোলী মোন এলাকায় পৌঁছাই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে। সেটি প্রায় ৮শ ফুট উঁচু পাহাড়ের উপর। ঘটনাস্থলটি লংগদু ও সদর উপজেলার বন্ধুকভাঙ্গার সীমান্তবর্তী। সেখানে কোন লাশ পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে ৭০-৮০রাউন্ড গুলির খোসা পাওয়া গেছে। রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। একটি ছড়ার পাশ থেকে একটি ব্যাগে কিছু পোশাক বই খাতা পাওয়া গেছে। অনেক খোঁজাখুজির পরও কোন লাশ পাওয়া যাইনি।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলেন, ছোট কাট্টোলীতে ইউপিডিএফ এর কর্মীরা অবস্থানকালে জেএসএস এর সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা করে। এতে তাদের গুলিতে ৪৫ বছরের শ্যামল চাকমা নামে একজন সহযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, এমন ঘটনার নিন্দা জানাই। সরকারের পাতানো ফাঁদে পা না দিতে সন্তু লারমার প্রতি আহবানও জানান তিনি। পাশাপাশি ভাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধেরও আহবান জানান এই সংগঠক।
লংগদু থানার ওসি তদন্ত মো.সানজিদ আহমেদ বলেন, জেএসএস-ইউপিডিএফ দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটেছে। কয়েকঘন্টার তদন্ত শেষে আমরা পাহাড় থেকে নেমে আসছি। জত্যা নিয়ে নানা সংখ্যার কথা শোনা গেলেও আমরা কোন লাশ পাইনি তাই হতাহতের সংখ্যার কথা বলা সম্ভব নয়। পরবর্তীতে রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাহমুদা বেগম জানান, ঘটনাস্থলটি দুর্গম হওয়ায় সেখানে নেটওয়ার্ক সমস্যা। সেখানে যে পুলিশের টিমটি গিয়েছে তারা জানিয়েছে সেখানে কোন লাশ পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে জনসংহতি সমিতির কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এএজেড