শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এখনও থামছে না পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া

বক্তব্য প্রদানের ৫ দিন পরও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে সরব সিলেটের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। চলছে পক্ষে-বিপক্ষে নানা প্রতিক্রিয়া। নিজ দলের মানুষের প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং বিভিন্ন প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও বিষয়টি নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে যাচ্ছেন। আবার কারো প্রতিক্রিয়ায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও চলছে মারাত্বক ভাবে।

চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর এক অনুষ্ঠানে অলোচনা কালে সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.আবদুল মোমেন বলেন- 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সেটি করতে ভারত সরকারকে আমি অনুরোধ করেছি'। এ বক্তব্যের পর ড. মোমেনকে নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। ব্যাপক সমালোচনার পর ড.মোমেন আত্মপক্ষ সমর্থন করে সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা প্রদান করেন।

এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পর এক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, 'পররাষ্ট্রমন্ত্রী দলের কেউ নয়, সুতরাং তার বক্তব্যেও দায় আওয়ামী লীগের নয়-ব্যক্তিগত'।

রবিবার (২১আগস্ট) সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যদি কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত গল্প করেন সে দায় আমাদের নয়। দলের পক্ষ থেকে তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়নি'। হাছান মাহমুদ বলেন, 'তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ নন। তাই আওয়ামী লীগের পক্ষে কিছু বলার দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়নি'।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী দলের কেউ নয়-এমনটি বলেন দলের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আবদুর রহমানও। এরপর থেকে সিলেটে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। কেন্দ্রীয় নেতাদের এমন বক্তব্যের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সদস্য এবং নৌকা প্রতীকের হয়েই সংসদ নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়েছেন-এমনটি প্রকাশ করতে শুরু হয় প্রতিযোগীতা।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দলীয় প্রতীকে এমপি ও পরে সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন। তিনি বলেন, ড. এ কে মোমেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের এক নাম্বার সদস্য হিসেবে আছেন। এক নাম্বার সদস্য দলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদ। তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমে ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট সিলেট মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এই কমিটির এক নাম্বার সদস্য হিসেবে রয়েছেন ড. মোমেন।

দলের মহানগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনও একই অভিমত প্রকাশ করেন। তাদের দাবি- যেহেতু তিনি দলের মহানগর শাখার এক নাম্বার সদস্য পদে আছেন, সেহেতু দলীয় পদে নেই-এমনটি বলার কোনো সুযোগ নেই।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান মহানগর কমিটির সদস্য প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী এ বিষয়ে নিজ ফেসবুক পোস্টে লিখেন, আলোচনা বা সমালোচনা দুটোই গণতান্ত্রিক চর্চারই অংশ । তবে তা হতে হবে গঠনমূলক,বিষয় ভিত্তিক এবং যৌক্তিক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিভিন্নজনের প্রতিক্রিয়ার জবাবে তিনি লিখেন, 'মাননীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে আওয়ামী লীগের অনেক নীতিনির্ধারকের বক্তব্যও আমরা শুনেছি, খোদ সাধারন সম্পাদকও এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। আমরা যারা আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এ বিষয়টি তাদের ভাবতে হবে । দলের একটা চেইন অব কমান্ড আছে । সুপ্রীম অথরিটি যখন বক্তব্য দেন বা যা বক্তব্য দেন-সেই বক্তব্য আমাদের সবার বক্তব্য হিসেবেই বিবেচিত হয়। আর সেটাই হচ্ছে দলীয় চেইন অব কমাণ্ড'।

তিনি লিখেন, 'আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ও মাননীয় মন্ত্রী সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় জনাব ওবায়দুল কাদেরের স্পষ্ট বক্তব্যের পরে আমরা যারা আওয়ামী ঘড়ানার রাজনীতিতে জড়িত তাদের আর কোন বক্তব্য থাকতে পারেনা । এর পরও যদি কেউ আলোচনা সমালোচনা বা 'পরনিন্দা চর্চা', বা 'ব্যাক্তি বন্দনা' করে থাকেন তবে তা 'দলীয় শৃংখলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের পর্যায়ভূক্ত' বলে বিবেচিত হবে। অতএব গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানোর আগে একটু ভাবুন আপনি কোন পর্যায়ভূক্ত হচ্ছেন'।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা বিজিত চৌধুরী এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, দলীয় লোককে প্রথমেই দলীয় আদর্শ এবং চেইন অফ কমান্ড মেনে কাজ করতে হয়। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী দলীয় লোক হয়েও যে বক্তব্য রেখেছেন, তা নি:সন্দেহে আত্মঘাতি। এই বক্তব্য দলকে নানা বিতর্কের মুখে ফেলে দিয়েছে।

তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারের, দলের নয়। তাই তিনি দলকে এমন বিপদের মুখে ফেলে দিতে পারেন না। তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদেরের স্পষ্ট বক্তব্যের পরে আমাদের এ বিষয়ে আর কোন বক্তব্য থাকতে পারেনা দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ লিখেন- বন্যেরা বনে সুন্দর,শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। রাজনীতি রাজনীতিবিদের হাতেই মানায়। একজনের অপরিপক্কতা একার নয় সবার ক্ষতি'।

এদিকে মন্ত্রীসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকছেন কি না-এ বিষয়েও চলছে নানা আলোচনা। কেউ বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর আগামী মাসের ভারত সফরের আগেই হয়তো এ বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্বান্ত আসতে পারে। সে সময়ের মধ্যে না হলে হয়তো ডিসেম্বরের মন্ত্রীসভা রদবদল করা হতে পারে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়তো বাদও পড়তে পারেন। আবার কেউ বলছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একজন দূরদর্শী কুটনৈতিক। অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি ভালোভাবেই জানেন, বলেই ড. এ কে মোমেনকে মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্টিত করেছেন।
এএজেড

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এতে চলমান যুদ্ধে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বোমা ও গুলিতে ৭১ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন।

তবে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়।

এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশই এখন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ওইসব এলাকার মানুষেরা নিরাপত্তা ও অস্তিত্বহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন।

অনিরাপদ রুটের কারণে গাজাজুড়ে সামান্য ত্রাণ সরবরাহ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে জানিয়ে ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে মানুষ কঠোর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। যুদ্ধের দুষ্টচক্রে পড়ে তারা জীবন বাঁচাতে ছুটাছুটির মধ্যে রয়েছেন। ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলটি মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উপত্যকায় নাগরিক শৃঙ্খলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালত দুই ব্যক্তি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ২০ মে, ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ত ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে গাজার বেসামরিক জনগণকে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ তাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বস্তু থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে’।

পৃথক এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানায়, দেইফ, পুরো নাম মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরিও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি। বিবৃতি মতে, আদালত ‘সর্বসম্মতভাবে’ তার বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেইফের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে- ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপ এবং ৭ অক্টোবর হামলা চালানো হামলায় সহস্রাধিক ইসরাইলি নিহত হয়। তবে৭ অক্টোবর হামলার কয়েক মাস পর চলতি বছরের জুলাইয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা দেইফকে এক বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। বিমান হামলাটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে এবং একটা পানি শোধনাগারে আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৯০ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ