শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

এমসি কলেজে ম্যুরাল স্থাপনে সিলেটে প্রতিক্রিয়া

একজন রাজা গিরিশ চন্দ্র রায় এবং অপরজন খান বাহাদুর আবদুল মজিদ কাপ্তান মিয়া। দুটি নামই সিলেটের শিক্ষা বিস্তারে অগ্রগণ্য এবং পথিকৃত। সিলেটের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পেছনে এই দুই জনের রয়েছে ঘামঝড়ানো পরিশ্রম। বিশেষ করে সিলেটের বৃহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমসি কলেজে নির্মাণে ভূমিদাতা ছিলেন রাজা গিরিশচন্দ্র রায় এবং সেই কলেজকে টিলাগড় এলাকায় স্থানান্তর প্রক্রিয়াসহ ডিগ্রি কলেজে উন্নীত করেন খানবাহাদুর আবদুল মজিদ কাপ্তান মিয়া।

বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে আব্দুল মজিদ কাপ্তান মিয়ার আবক্ষ ম্যুরাল স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। ইতোমধ্যে ম্যুরাল নির্মানের কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে দাবি সিসিকের। কলেজ কতৃপক্ষের সাথে এর আগে সিটি করপোরেশেনের আলাপ-আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। সিসিক বলছে শীঘ্রই ম্যুরালটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হবে।

কলেজ অধ্যক্ষ সালেহ আহমদ এলপিআর এ যাচ্ছেন ২৪ আগষ্ট। এর আগেই তিনি ম্যুরাল নির্মাণ অনুমোদন করেছেন। ফলে অধ্যক্ষ এবং মেয়রের সম্মতিক্রমে দৃষ্টিনন্দন এই আবক্ষ ম্যুরালটি শোভা পাচ্ছে কলেজ ক্যাম্পাসে। এদিকে এই ভাস্কর্য্য নির্মাণকে একপেশে এবং একগুয়েমি উল্লেখ করে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মুরারীচাঁদ (এমসি কলেজ) কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি- কলেজ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় একজনকে সম্মান দেখাতে গিয়ে এর মাধ্যমে এমসি কলেজের মূল উদ্যোক্তা ও ভূমিদাতাকে অসম্মান করা হবে।

এর আগে ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কলেজের এইচএসসি ৯১' ব্যাচ এর পক্ষ থেকে নিজস্ব অর্থায়নে কলেজ প্রাঙ্গণে কলেজের তিনটি ভবনের সংযোগস্থলে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এরই লক্ষ্যে কলেজ অধ্যক্ষ বরাবরে ৯১ ব্যাচ এর আহবায়ক ও সদস্য সচিব সাক্ষরিত একটি লিখিত আবেদন দেওয়া হয়।

আবেদনে বলা হয় বিগত ২৪ জানুয়ারি ২০২০ ইংরেজি তারিখে তৎকালীন অধ্যক্ষ,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও বিভিন্ন বিভাগের সম্মানিত সাবেক ও বর্তমান শিক্ষকমন্ডলী ও কলেজ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে এমসি এইচএসসি ৯১ ব্যাচ সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় সফলতার সাথে পূনর্মিলনী উদযাপন করা হয়।

সে সময়কালীন সিদ্বান্ত হিসেবে কলেজ প্রাঙ্গণে পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা ও জীববিদ্যা ভবনের সংযোগস্থলে নিজস্য অর্থায়নে এবং নির্মাণ শিল্পী নিযুক্ত করে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার কাজ শুরু করতে চাই। স্মৃতিস্তম্ভটি যে যে তাৎপর্য বহন করবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভার্তৃত্ব, সৌহার্দ্য সম্প্রীতি ও একতার বন্ধন। তাছাড়া দণ্ডায়মান আয়তকার ফলকে থাকবে কলেজের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। আবেদনে সাক্ষর করেন এমসি, এইচএসসি ৯১ ব্যাচ এর আহবায়ক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বিপিএম,পিএসসি ও সদস্য সচিব আব্দুল আহাদ।

এ বিষয়ে এমসি, এইচএসসি ৯১ ব্যাচ এর সদস্য সচিব আবদুল আহাদ বলেন, 'বর্তমানে আমাদের বিষয়টি অনুমোদনের অপেক্ষায়। অনুমোদন পেলে আমরা আমাদের প্রতিশ্রুত কাজের বাস্তবায়ন করতে চাই। আবদুল মজিদ কাপ্তান মিয়া এবং রাজা গিরীশচন্দ্র রায় দুই জনই সিলেটের শিক্ষা বিস্তারে আলোকবর্তিকা হিসেবে স্মরণীয় এবং শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে থাকবেন। তিনি বলেন,আমাদের আবেদন অনুমোদন হলে আমরা সেখানে রাজা গিরীশচন্দ্র রায়ের ম্যুরাল স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন সিলেটের আহবায়ক আবদুল করিম কিম বলেন, সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানের সাথে রাজা গিরীশচন্দ্র রায় এবং আবদুল মজিদ কাপ্তান মিয়া দুই জনেরই অবদান অনস্বীকার্য। সুতরাং প্রধান ফটকের সামনে কাপ্তান মিয়া এবং রাজা গিরীশচন্দ্র দুই জনের ম্যুরাল স্থাপন করা হলে, প্রতিষ্ঠানের সুনাম বাড়বে বৈ কমবে না। উপরন্তু শিক্ষার্থীরা কলেজে প্রবেশ করার সাথে সাথে এই দুই জনের অবদানের বিষয়ে সম্যক ধারণা লাভ করতে সক্ষম হবে।

সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু বলেন,বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশেনের পূর্বেই ভাবা উচিত ছিল। কারণ একজনকে সম্মান করতে গিয়ে অপরজনের অবদান চাপা পড়ে যায়। এমনটি হলে ভবিষ্যত প্রজন্ম প্রকৃত ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দায়িত্ব গ্রহণকারী নতুন অধ্যক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।

এ ব্যাপারে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, সিটি করপোরেশেনের নিজস্ব অর্থায়নে ম্যুরালটি নির্মিত হচ্ছে। তবে এর স্থপতি এবং নির্মাণ ব্যয় বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সিসিকের ইঞ্জিনিয়ার সেলিম উদ্দিনের সাথে কথা বলার অনুরোধ জানান।

ইঞ্জিনিয়ার সেলিম উদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য আদায় করা সম্ভব হয়নি। একই সাথে কলেজ অধ্যক্ষ সালেহ আহমদ ও সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও ফোন রিসিভ না করায় তাদের মন্তব্য জানা সম্ভব হয় নি।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত

মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানীর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ভুক্তভোগী কয়েকজন বাসযাত্রী মির্জাপুর থানায় গিয়ে চলন্ত বাসে ডাকাতির বিষয়ে ডিউটি অফিসার মো. আতিকুজ্জামানকে অবহিত করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় কয়েক মিনিট পর তারা থানা ত্যাগ করেন।

এছাড়া ডিউটি অফিসার তাদের নাম ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর সহ কোন তথ্যই রাখেননি তিনি। যার কারণে মামলা গ্রহণ করতে বিলম্ব হয়। এরপর ঘটনার তিনদিন পরে এক ভুক্তভোগী বাস যাত্রীর মামলা নিতে হয়েছে।

এদিকে, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান গত শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি রাতেই এএসআই আতিকুজ্জামানকে মির্জাপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করেন। শনিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এএসআই আতিকুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিষয়ে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান জানান, শনিবার আতিকুজ্জামানের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার
আমার মা চাইতেন না আমি বিয়ে করে সংসারী হই : পপি