ঠাকুরগাঁওয়ে লাশ দাফনে বাধা!
ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলায় সরকারি গোরস্তানে মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক স্কুলশিক্ষক ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে। এ সময় কবরটির চারপাশ কোদল দিয়ে কেটে ভরাট করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২৩আগষ্ট) বিকালে ওই উপজেলার যৌদ্দপীর গোরস্থানে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শরীফ উদ্দীন ও তার ছেলে পলাশ ও রানা উপজেলার ভেলাতৈড় গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডে পীরগঞ্জ অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী লতিফুর রহমান (৬৭) বাধ্যক্য জনিত কারনে সোমবার রাতে ইন্তেকাল করেন। আজ মঙ্গলবার বিকালে তার মরদেহ উপজেলার সরকারী যৌদ্দপীর গোরস্থানে দাফন করার জন্য কবর খোড়া হয়।
জানাযা শেষে মরদেহ কবরে রাখতে গেলে অবসর প্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক শরীফ মাস্টার ও তার ছেলে পলাশ ও রানা মরদেহ দাফনে বাধা দেয় এবং কোদাল দিয়ে কবরের দুই পাড় কেটে ভরাট করতে গেলে উপস্থিত মুসল্লিারা তাদের বাঁধা দেয়। এসময় বিশৃংখলা সৃষ্টি হলে তারা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নজির, সহকারী কমিশনার (ভুমি) কামরুল হাসান সোহাগ, ওসি জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে ঐ কবরের পাশে নতুন করে কবর খুড়ে মরদেহ দাফন করা হয়।
পীরগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম ঢাকাপ্রকাশ বলেন, লতিফুর রহমান নামে একজন মারা যায়। পরে সরকারি গোরস্থানে দাফন করতে গেলে শরীফ উদ্দীন ও ছেলেরা বাধা সৃষ্টি করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে তারা পালিয়ে যায় অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএজেড