মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আসামি না হয়েও শ্রমিক লীগ নেতাকে হেনস্থা: ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ

সুনামগঞ্জের জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সেলিম আহমেদকে যুবদল নেতার একটি পুরনো চাঁদাবাজি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি উল্লেখ করে গত ১৬ আগস্ট গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। অথচ এই মামলার বাদী নিজেও শ্রমিক লীগ সভাপতি সেলিমের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি। মামলায় সাতজন আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের নামে অভিযোগ করা হয়েছিল অনেক আগেই। কিন্তু ১৫ আগস্ট তাহিরপুরে সেলিমের নেতৃত্বে শোকসভা আয়োজনের পর ১৬ আগস্ট তাকে যুবদল নেতার দায়ের করা ওই মামলার আসামি না হলেও সন্দেহভাজন উল্লেখ করে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এতে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে। একজন যুবদল নেতার মামলায় জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জেলহাজতে তা মেনে নিতে পারছে না আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তারা বলছেন, সেলিম আহমেদ আপাদমস্তক একজন রাজনীতিবিদ ও মানবিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।

অনুসন্ধান বলছে, সম্প্রতি ১৫ আগস্ট তাহিরপুর উপজেলায় শোকসভা আয়োজন নিয়ে বিরোধ চলছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের দুই পক্ষের মধ্যে। এক পক্ষে ছিলেন দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে কমিটির ৪৭ সদস্য কর্তৃক সাংগঠনিকভাবে বহিস্কৃত নেতা আবুল হোসেন খা ও অমল কর। তাদের সঙ্গে সভায় নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। আর সেলিম আহমেদ ছিলেন তাহিরপুর আওয়ামী লীগের অধিকাংশ সদস্যদের পক্ষে। যারা দলকে সংগঠিত করতে আবুল ও অমলকে বহিস্কার করেছিলেন। ১৫ আগস্ট তাহিরপুরের বাজার এলাকায় নিকটবর্তী জায়গায় সভা করে দুই পক্ষ। এ সময় সেলিমের নেতৃত্বাধীন সভায় কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত হয়। অন্যদিকে বর্তমান এমপি রতনের উপস্থিতি থাকার পরেও অন্য পক্ষের সভাটিতে লোকজন কম থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে আলোচনায় আসেন সেলিম। এমপির চেয়ে জনপ্রিয়তা বেশি হয়ে যাওয়ায় সেলিমকে পরদিনই পুলিশি হয়রানি করা হয়ে বলে অভিযোগ তাহিরপুরের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাদের এবং স্থানীয় মানুষদের।

এসব ছাড়াও শ্রমিক লীগ সভাপতি সেলিম জেলার অন্যতম ব্যবসায়ী হওয়ায় নানাভাবে তার ব্যবসায় অংশীদারিত্ব চেয়ে তাকে হয়রানি করে আসছিল একটি পক্ষ। সরকারকে ৩০ কেটিরও বেশি টাকা রাজস্ব দিয়ে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন সেলিম। তাকে বিপদে ফেলতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল অনেকেই। জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে থাকা এক নেতাও তার সঙ্গে কাজ না করায় ক্ষুব্ধ ছিলেন। সব মিলিয়ে চক্রান্ত বা বিরোধ চলে আসছিল লোকচক্ষুর আড়ালেই। পাশাপাশি বখত পরিবারের জামাতা হিসেবেও এই পরিবারকে হেও প্রতিপন্ন করার অংশ হিসেবে তার দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক কুট কৌশলকারীদের। বিপরীতে নম্র স্বভাবের ও ক্লীন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত সেলিম বুঝতে পারেননি তার জন্য অপেক্ষা করছে এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা। যা মামলার বাদী যুবদল নেতা অলি নিজেও জানেন না।

১৫ আগস্ট শোকসভা সফল হলেও ১৬ আগস্টের সকালটা সেলিমের জন্য ছিল হেনস্থার। সকাল ৮টার আগে থেকেই সেলিমের হাসননগরস্থ ময়নার পয়েন্ট এলাকার বাসার সামনে অবস্থান নেয় গোয়েন্দারা। অনেকটা ফিল্মি কায়দায় যেনো অপরাধী ধরতে অভিযান পলিচালনা করে পুলিশ সদস্যরা। মামলায় তার নাম উল্লেখ না থাকলেও তাকে থানায় যেতে আহ্বান করে পুলিশ। তিনি বাসা থেকে নিজের গাড়িতে করেই থানায় রওনা করেন। পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করতেন সেলিম। সেই ধারণা থেকেই হয়তো নতুন কোনও কারণে সহযোগিতার প্রয়োজন ভেবে সেলিম থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখোনে তাকে আটক দেখায় পুলিশের ডিবি সদস্যরা। কারো মামলায় উল্লেখিত অপরাধী না হলেও তাকে আটকের খবর জানাজানি হলে পুরো শহরে নিন্দার ঝড় বইতে থাকে। এরপর তাকে যুবদল নেতার করা পুরনো ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় সন্দেহভাজন আসামি দেখিয়ে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কোর্টে চালানও করে দেওয়া হয়। ওই দিনই ১০ দিনের রিমান্ডও আবেদন করে পুলিশ। এ সময় আদালতের এজলাশে আইনজীবীদের সবাই সেলিমের পক্ষে ন্যয় বিচার চাইলে আদালত পরদিন এই শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। যদিও পরদিন শুনানির সময় বাদী পক্ষে কোনও আইনজীবি দাড়াননি। সকল আইনজীবিরা একযোগে সেলিমের পক্ষে ন্যয়-বিচার চান। এ সময় পুলিশ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনও প্রমাণ না দেখাতে পারায় “ সোর্সের বরাতে তাকে আনা হয়েছে” বলে উল্লেখ করে। সেই সময় আদালত পুলিশের চাওয়া রিমান্ড আবেদন গ্রহণ করেননি। তবে সেলিমকে জেল গেইটে ঘটনার ব্যাপারে ২ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে বলে আদেশ দেন।

এ অবস্থায় সেলিমকে রাজনৈতিকভাবে বিপদে ফেলার জন্য অপকৌশলের মাধ্যমে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তাহিরপুরের রাজনৈতিক নেতাকর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারাও।

তাহিরপুরের ছাত্রলীগ নেতা সুমন বলেন‘ এলাকার আওয়ামী লীগের মাঝে অনেকদিন ধরেই নানা কোন্দল ছিল। সেলিম ভাই এই সমস্যা দূর করে সম্প্রতি তাদের নিয়ে দলকে কর্মচঞ্চল করে তোলেছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় একটা পক্ষ।

তিনি আরও বলেন, তাকে এখান থেকে সরাতেই চক্রান্ত চলছিল। ১৫ আগস্টের শোকসভাতে উনার সভায় বেশি মানুষ হওয়ায় অন্য পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়। ওইটাতে এমপিও ছিলেন। এখন সেলিম ভাইয়ের এ অবস্থার জন্য বুঝাই যাচ্ছে যে এটা পরিকল্পিত ঘটনা।

সুনামগঞ্জ জেলার সচেতন মহল বলছেন, সুনামগঞ্জের রাজনীতি দিন দিন যে কত খারাপ হচ্ছে তা বিগত কয়েক মাস ঘাটলেই বুঝা যায়। আফসোস ভালো মানুষরা রাজনীতি ছেড়ে দিবে। তবে এর আগের দিন তাহিরপুরে স্মরণকালের শোক সমাবেশ করে অনেকের ‘বদ নজরে’ পড়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা শহরের একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, ক্ষমতাশীন দলের একজন প্রভাবশালী নেতাকে এভাবে ‘হাওয়াই মামলায়’ জড়ানোয় আওয়ামী লীগের জন্য কলংকজনক।

শরীফ উদ্দিন জানান, যিনি ৩০ কোটি টাকা দিয়ে সরকারের কাছ থেকে যাদুকাটা নদীর ইজারা নিয়েছেন তিনি কিভাবে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলার আসামি হন। বরং যারা যাদুকাটায় বিনা পয়সার ভাগিদার না করায় ক্ষুব্ধ। তাদের ষড়যন্ত্রে আজ তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। একজন যুবদল নেতার দায়ের করা মামলায় জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমেদকে জড়ানো হয়েছে। তালিকাভুক্ত আসামি না হলেও তাকে আটক করানো হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, আমার ভাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। ওই মামলার বাদীর সঙ্গে আমার চাচাতো ভাইদের ব্যবসায়িক বিরোধ রয়েছে। আমার ভাইয়ের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। মামলায় আসামিও না তার পরও এই মামলার জেরের সুযোগ নিয়ে সেলিমকে ফাঁসানো হয়েছে।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ