শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরি, ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য ও কৃষি

বগুড়ার শিবগঞ্জে রাস্তার পার্শ্বে চার ফসলি কৃষি জমিতে অনুমোদনবিহীন কারখানা স্থাপন করে পুরাতুন ব্যাটারি পুড়িয়ে অবৈধভাবে সিসা সংগ্রহ করছে। এই অবৈধ কারখানাটির কারনে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকাবাসী। অনুমোদনহীন কারখানায় পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা সংগ্রহ থেকে সৃষ্ট ধোঁয়ায় কারখানাটির আশে-পাশের বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে লোকজন। পাশাপাশি মাঠের বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে।

কারখানাটির সৃষ্ট ধোঁয়ায় পরিবেশের চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে আশে-পাশের কয়েকটি গ্রামে। বিভিন্ন রকমের অজানা রোগ আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ভয়ে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে না পারলেও অন্তরে প্রতিবাদের ঝড় বইছে স্থানীয়ভাবে বসবাসকারী ও কৃষকদের। প্রতি রাতে ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা সংগ্রহের জন্য চুল্লির নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়ায় অনেক স্থানে মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। দুর্বিষহ হয়ে উঠছে আশপাশের প্রায় ৬ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের জীবন-যাপন। ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা সংগ্রহের বিষাক্ত ধোঁয়ায় মাঠের ফসল ও গবাদি পশুর ও মানুষের ফুসফুস, ত্বকসহ অন্যান্য ইন্দ্রিয়ের জটিলতাসহ ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুই পাশে টিনের তৈরী বেড়া, দুইপাশে প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে বেড়া তৈরী প্রায় ৩৫-৪০ শতাংশ জমির উপর নির্মিত অবৈধ কারখানা স্থাপন করে পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা সংগ্রহের কাজ চলছে। ২৫ থেকে ৩৫ বছরের ১০/১২ জন শ্রমিক প্রতিদিনের ন্যায় আনুমানিক রাত ৯টার পর থেকে কোনো প্রকারের নিরাপত্তা ছাড়াই আগুন জালিয়ে পুরাতন ব্যাটারি পোড়ার কাজে ব্যস্ত। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তারা কারখানার ভেতরে যেনো প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বিভিন্ন পায়তারা করে। এক পর্যায়ে প্রতিবেদন যেনো না করা হয়, তার জন্য চললো ম্যানেজের চেষ্টা কিন্ত তাদের সকল চেষ্টা শেষ পযর্ন্ত ব্যর্থ হয়ে যায়।

প্রাথমিকভাবে জানা যায়, তাদের সকলের বাড়ী গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলায়। এই কারখানার মালিক মোঃ তারেকের বাড়ীও একই স্থানে। প্রতি রাতে একাধিক চুল্লিতে পুরাতন ব্যাটারি পোড়ানো হয়। পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সেই ব্যাটারি থেকে সিসা সংগ্রহ করা হয়। সেই সিসাকে গলিত অবস্থায় লোহার তৈরি কড়াইয়ে ঢেলে পাটা তৈরি করা হয়। তৈরিকৃত প্রতিটি পাটার ওজন প্রায় ৩০/৩২ কেজি। যেখানে পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে প্রতিদিন প্রায় একশত থেকে দুইশত সিসার পাটা সংগ্রহ করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা সংগ্রহের কাজ চলে সাধারণত আনুমানিক রাত ৯টার পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত, কারখানার কাজ চালু করলেই বিষাক্ত কালো ধোঁয়া চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। শ্বাস-প্রশ্বাসে ভেসে আসছে ঝাঁঝালো গন্ধ। ফলে স্থানীয়দের শ্বাস-প্রশ্বাসে বেশ কষ্ট করতেই হচ্ছে। এসকল অসুবিধার কারনে দিনের আলোতে তারা পরিপূর্ণভাবে কাজ না করলেও রাতের আধারে প্রশাসন এবং এলাকার জনগনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগের আলোতে কাজ করছে।

এ সময়ে আশপাশের এলাকাগুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ঝাঁঝালো দুর্গন্ধযুক্ত ধোঁয়া। এতে আশপাশের মানুষের রাত পার করতে হয় দুর্বিষহ অবস্থার মধ্য দিয়ে। বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে ওইসব স্থানের বহু পাখী ও কীটপতঙ্গ মারা যাচ্ছে। এখন আর আগের মতো পশু-পাখিও দেখা যাচ্ছে না এলাকায়। অর্থাৎ এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে প্রাণিকূল তথা জীব-বৈচিত্রের উপরও। অর্থাৎ ব্যাপক পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিচ্ছে। যেখানে ব্যাটারি পোড়ানো হয় সেখানকার আশপাশের জমির ফসল ও ঘাস বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এ ঘাস গবাদিপশুর পেটে গেলেও তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে প্রায় শতভাগ।

অভিযোগ ওঠেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী উথলী গ্রামের মৃত সায়েক আকন্দের ছেলে মোঃ আজিজার রহমানের জমির উপর গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মোঃ তারেক রহমান তার লোকজন দিয়ে এভাবে চুল্লি বানিয়ে পোড়ানো হচ্ছে পুরাতন এবং পরিত্যাক্ত ব্যাটারি। সাধারণ মানুষ প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা সংগ্রহের ধোঁয়ার কারণে কলা ও মরিচ ক্ষেতসহ সকল ধরণের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে।

নারায়নপুর গ্রামের শ্রী চিকেষ্ঠ ঠাকুর (ছদ্ধনাম) এ প্রতিবেদক-কে বলেন, রাতের বেলা প্রচন্ড ঝাঁঝালো গন্ধের কারণে আমরা স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারি না। গরু-ছাগলেরও খুব সমস্যা হয়। নারায়নপুর নাথপাড়া গ্রামের শ্রী যোগেশ নাথ (ছদ্ধনাম) এ প্রতিবেদক-কে বলেন, গত কয়েক দিন থেকে রাতের বেলা খুব গন্ধ পাচ্ছি। ভেবেছিলাম হয়তো কেউ কাপড়ে আগুন দিছে মশা তাড়াচ্ছে। কিন্তু প্রতিবেশীদের সাথে কথা বললে তারা জানায় ব্যাটারি পোড়ার কথা এবং আমি রাতের বেলা গিয়ে দেখি সত্যি সেখানে ব্যাটারি পোড়ানো হচ্ছে। খুব গন্ধ হচ্ছিল তাই বেশিক্ষণ থাকতে না পেরে চলে আসি।

পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, পরিত্যক্ত ব্যাটারির সিসা যানবাহনের কালো ধোঁয়ার চেয়েও ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর। তারা আরও বলেন, কোনো স্থানে একনাগাড়ে কয়েকদিন ব্যাটারির সিসা বাতাসের সঙ্গে মিশতে থাকলে সেই স্থানের মানুষের নানা জটিল রোগ-ব্যাধি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি মৃত্যুরও আশঙ্কা থাকে। এ প্রবণতা রুখতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের চরম মূল্য দিতে হবে। তারা বলছেন, আমাদের সমস্যা আমরা নিজেরাই ডেকে আনছি। এই কারখানার কারও নিকট থেকেই নেই কোনও অনুমোদন। এমনকি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্সও নেই।

কারখানার অনুমোদন বিষয়ে কারখানা পরিচালনার দায়িত্বরত মোঃ তৌফিকুর রহমান এ প্রতিবেদক-কে বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাজার হাজার কারখানায় ব্যাটারি গলিয়ে সিসা তৈরী করা হয়। আমরা করলে দোষের কি বলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছোঁড়েন। পরিবেশ অধিদপ্তর বা প্রশাসন থেকে কোনও অনুমোদন আছে কিনা তিনি বলেন, কোনও দপ্তর থেকেই অনুমোদন নেই। পরিবেশ অধিদপ্তর বা প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া আপনারা কিভাবে এই ব্যবসা পরিচালনা করছেন। জবাবে বলেন স্থানীয়ভাবে ম্যানেজ করে এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন বলে জানান তিনি।

পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া জেলা কার্যলয়ের সহকারী পরিচালক মাহথীর বিন মোহাম্মদ এ প্রতিবেদক-কে বলেন, এই সিসা সংগ্রহের কারখানার বিষয়টি আমি জানি না বা কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। বিষয়টি এখন জানলাম কারখানাটির বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মোজাহিদ সরকার এ প্রতিবেদক-কে বলেন, ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা সংগ্রহ এলাকার চারপাশে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। যেকোনও ফসলের ফুল ফোটার আগে বা ফুল ফোটার সময় সিসার। ঝাঁঝালো আবহাওয়ার কারণে সঠিকভাবে ফুল ফোটেনা এবং ফুল ফুটলেও সঠিকমাত্রাই ফলন হয় না। সকল ফসলের মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় এবং মাটির উর্বতা হ্রাস পায়।

শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তারক নাথ কুন্ড এ প্রতিবেদক-কে বলেন, ব্যাটারির সিসা মানব শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। সিসার প্রভাবে মানব শরীরে বিষক্রিয়া শুরু হয়। বিভিন্ন রক্তরোগ, শ্বাসতন্ত্র তথা ফুসফুসের রোগ এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। অন্তঃস্বত্ত্বা নারীর গর্ভের শিশুর উপর ব্যপক প্রভাব ফেলে এবং বিকলাঙ্গ শিশু বা শিশুমৃত্যুরও কারন হতে পারে।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম সম্পা এ প্রতিবেদক-কে বলেন, ব্যাটারি পুড়িয়ে এই সিসা সংগ্রহ কারখানার বিষয়টি আমি জানি না বা কেউ আমাকে কোনও অভিযোগ করেনি। বিষয়টি এখন জানলাম কারখানাটির বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এএজেড

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত