রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

একাডেমিক ভবনের জায়গায় আইসিটি পার্ক, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ২য় একাডেমিক ভবনের জায়গায় আইসিটি পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৭ আগষ্ট) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধনটি করা হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নকশার বাইরে গিয়ে আমাদের ২য় একাডেমিক ভবনের জায়গায় আইসিটি পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বাড়বে ক্যাম্পাসের ভিতর বহিরাগতদের আনাগোনা। যা কিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এর আগেও আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। কিছুদিন আগে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মূল ফটকের সামনে স্থানীয়দের দ্বারা হামলার শিকার হওয়া এর একটি উদাহরণ। তাই আমরা চাই না কাম্পাসের ভিতর এই আইসিটি পার্ক হোক।

এ সময় তারা আরও দাবি করেন, আমাদের পর্যাপ্ত ক্লাসরুমের ব্যবস্থা নেই। যেখানে আমাদের আরও একটি একাডেমিক ভবন প্রয়োজন সেখানে আমাদের ২য় একাডেমিক ভবনের জায়গায় আইসিটি পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত সত্যিই হতাশাজনক। আমরা এই আইসিটি পার্ক চাই না। আমরা চাই আমাদের একাডেমিক ভবন হোক। মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে দাবি আদায় না হলে পরবর্তী কার্যক্রম ঘোষণা করেন।

এর আগে রবিবার (১৪ আগস্ট) বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় একাডেমিক ভবন নির্মাণের স্থানে মাস্টার প্লান অনুযায়ী পূর্ব নির্ধারিত। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের অনুমতি ব্যতীত বর্তমানে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধিনে আইসিটি পার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ স্থানে কাটাতারের বেষ্টনী দিয়ে দখল করে রাখা হয়েছে। এতে করে মাত্র ৫৫ একর বিশিষ্ট ক্যাম্পাসের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

এছাড়াও, বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পার্কের নেতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে এরকম বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মিত হলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাতন্ত্র্যতা নষ্ট হবে। এছাড়াও একাডেমিক লেখাপড়ায় বাধাসহ বহিরাগতদের সাথে বিবাদ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাতন্ত্র্য অক্ষুণ্ণ রেখে ক্যাম্পাসের অন্য কোন উপযুক্ত স্থানে আইসিটি পার্ক নির্মাণের দাবি জানায়।

এ বিষয়ে উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আইসিটি পার্ক হওয়ার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছিলাম। যাতে করে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সহায়ক হিসেবে পার্কটি ভূমিকা রাখতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গার সল্পতার কথা বলা হলে তিনি আরও বলেন, আমরা এই পার্কের জন্য চার (০৪) একর জায়গা নির্ধারণ করেছিলাম। তবে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা আরও বাড়ানো হবে। আশাকরি তখন জায়গার স্বল্পতা দূর হবে।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

আশুলিয়ার জিরাবোয় নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ। আজ রোববার ভোরে একদল ডাকাত তার বাড়িতে ঢোকে এবং তাদের গুলিতে বিদ্ধ হন অভিনেতা। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ও মা গুরুতর আহত বলে জানা গেছে।

তপু খান জানান, ঘটনাটি ঘটেছে ভোরবেলা। কয়েকজন ডাকাত আজাদের বাসার রান্নাঘরের গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে। যার শব্দে বাসার সবাই টের পেয়ে রান্নাঘরে যায়। এ সময় অভিনেতার স্ত্রীর মাথায় এবং তার মায়ের পায়ে গুরুতরভাবে আঘাত লাগে। এরপর ডাকাতরা চলে যাওয়ার সময়ে আজাদের পায়ে তিনটি গুলি করে।

মা-স্ত্রীসহ অভিনেতা এখন রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আজাদের জ্ঞান ফিরেছে। তবে তার স্ত্রী এবং মায়ের চিকিৎসা চলছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালের চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান বলেন, অভিনেতার শরীরে তিনটি গুলি বিদ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তিনি শংকামুক্ত। 

Header Ad
Header Ad

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসা বন্ধ রাখতে ও ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনই এক প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পূর্বনির্ধারিত শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, "আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারি, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন তিনি চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’—অর্থাৎ আহতদের চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দেন।"

তিনি আরও বলেন, "এই নির্দেশের কথা আহত রোগী, তাদের স্বজন এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরাও আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এর তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি এবং আদালতে তা উপস্থাপন করেছি।"

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর জানান, "জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মৃতদেহ সুরতহাল করতে দেওয়া হয়নি, ডেথ সার্টিফিকেটেও গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য লুকানো হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা জ্বরের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি আন্দোলনে শহীদদের লাশ দাফন করতে গেলে পুলিশের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের পরিবারকে।"

তিনি বলেন, "আদালত জানতে চেয়েছেন, শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কেন নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, সে সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দ্রুত লাশ দাফনে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হয়নি।"

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্মমতার এসব প্রমাণ যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক বিশ্লেষণের পর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।"

এই মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ চলমান রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রসিকিউটর।

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু