বরগুনায় পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
বরগুনায় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তাদের উপর লাঠিপেটার ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি কে এম এহসান উল্লাহ।
এ ব্যাপারে বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি কে এম এহসান উল্লাহ ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, ছাত্রলীগের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনায় সেখানে উপস্থিত পুলিশের ভূমিকার বিষয়টি তদন্তে বরগুনা জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ তিন কর্মকর্তার সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে কমিটির কারো নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বেধরক লাঠিপেটা ও তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনে এক পুলিশ কর্মকর্তার প্রত্যাহার ও বিচার দাবি করেছেন। শোক দিবস নিয়ে সোমবার (১৫ আগস্ট) বরগুনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
সংসদ সদস্য শম্ভুর অভিযোগ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ঘটনার পর আমি বরগুনা গিয়েছিলাম। সেখানে কি ঘটেছে ডিআইজি স্যারের নেতৃত্বে আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। এমপি সাহেব মুরুব্বি মানুষ। তার সঙ্গে যদি পুলিশের কেউ অশোভন আচরণ করে থাকে তবে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে ফুল দিতে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের সদস্যরা তাদের উপর হামলা চালান। এতে দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ছাড়াও শিল্পকলা একাডেমি ভবনে আটকে গণহারে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের পেটায় পুলিশ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে দীর্ঘ আট বছর পর গত ১৭ জুলাই বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ২৪ জুলাই রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেন। এতে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকে সদ্য ঘোষিত এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বরগুনা শহরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন পদবঞ্চিতরা।
এসআইএইচ