নওগাঁয় প্রাইভেট কার খাদে পড়ে স্বামী ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর মৃত্যু

নওগাঁর মহাদেবপুরে মাটিবাহী ট্রাক্টরকে সাইড দিতে গিয়ে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদের পানিতে ডুবে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের ভীমপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে নিহতের বাবা আব্দুল খালেক ছেলে ও ছেলের বউ এর মরদেহ দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন। সন্তানের মরদেহ দেখার পর বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি।
বিষয়টি ঢাকাপ্রকাশকে নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ ফায়ার স্টেশন অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম।
নিহতরা হলেন- জেলার মান্দা উপজেলার কুলিহার গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে শিমুল হোসেন (৩২) এবং তার স্ত্রী জিনিয়া খাতুন (২৪)। তারা রাজশাহী থেকে ব্যবসা করতেন। সকালে রাজশাহী থেকে প্রাইভেট কার যোগে নওগাঁর দিকে আসছিলেন। জিনিয়া খাতুন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস থেকে নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর মৌজায় ‘একটি আধুনিক সাইলো’ নির্মাণে ১৫ একর জমিতে প্রায় শতাধিক ট্রাক্টর দিয়ে মাটির ভরাটের কাজ করা হচ্ছে। আজও মাটি ভরাটে কাজ করা হচ্ছিল। মাটি বহনের ট্রাক্টরকে পাশ কাটতে গিয়ে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার নিচে খাদের পানিতে ডুবে যায়। এতে ঘটনাস্থলে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে মাটি বহন বন্ধ রয়েছে।
নিহতের চাচাতো ভাই আসাদুল ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, তারা রাজশাহীতে ব্যবসা করতেন। সকালে তারা কি কাজে রাজশাহী থেকে নওগাঁর দিকে আসছিল তা জানা নেই। ভাবি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শুনি মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে এসে দেখি একটি ঘরে রাখা হয়েছে।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম আজম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কারটি উদ্ধারে কাজ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আধুনিক সাইলো নির্মাণে মাটি বহনের ট্রাক্টরের কারণে গত ২৪ জুন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার বাবলাতলা মোড়ে ট্রাকের সঙ্গে সিএনজি সংঘর্ষে চার শিক্ষকসহ ৫ জন মারা যায়।
টিটি/
