বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ | ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

৫০ বছর পর তালিকাভুক্ত হতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা মুক্তিযোদ্ধা গাফ্ফারের

মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন প্রায় ২০ বছরের তরুণ। স্থানীয় এক কমান্ডারের তত্বাবধানে ৮ দিনের ট্রেনিং নিয়ে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। দেশের বিজয় অর্জনের পর অর্জন করেন সনদ। ওই সনদটি জমা দেন মায়ের কাছে। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ৫০ বছর। বিশেষত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে যখন মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন শুরু হয় তখন খোঁজ করতে থাকেন ওই সনদ। কেননা ওই সনদ না হলে তালিকাভুক্ত বা গেজেটভুক্ত হতে পারবেন না। কিন্তু বয়সেরভারে বৃদ্ধ মা মনে করতে পারেন না কোথায় রেখেছেন সেই সনদটি। এরপর মা মারা গেছেন ৪ বছর আগে। পেশায় কৃষক ওই মুক্তিযোদ্ধা তার মায়ের মৃত্যুর পর বাড়ির আনাচে-কানাচে সমস্ত কাগজপত্র সন্ধান করতে গিয়ে সম্প্রতি পেয়েছেন সেই সনদটি। এখন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি। এর মধ্যে দিয়ে চান মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি।

মুক্তিযোদ্ধা দাবি করা ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল গাফ্ফার। তিনি সদর উপজেলার সুলতানপুর এলাকার গোদাই মন্ডলের ছেলে।

আব্দুল গাফ্ফার জানান, মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর নিজ এলাকার সিরাজুলের বাড়িতে আশ্রয় নেয় বেশ কিছু সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা। তাদের সহযোগী হিসেবে তিনি প্রথমে কাজ শুরু করেন। এরপর বালিয়াকান্দি এলাকায় আবুল কমান্ডারের তত্বাবধানে তিনি ৮ দিনের ট্রেনিং নেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ঝলমলিয়া, হালতি, জংলীর লেংগুরিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর নাটোরের তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা শঙ্কর গোবিন্দ চৌধুরীর নির্দেশে তারা গরুর গাড়িতে করে গাদা, বন্দুক জমা দেন। কিছুদিন পর শঙ্কর গোবিন্দ চৌধুরী তাকে সনদ দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুলতানপুরের পার্শ্ববর্তী গোকুলপুর এলাকার বাসিন্দা মন্তাজ মন্ডলের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা ভাদু মন্ডল জানান, মুক্তিযুদ্ধের আগে তিনি বিডিআরে চাকরি করতেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে নি রাজশাহী অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর এলাকায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে গাফ্ফারের যুদ্ধে অংশ নেয়ার কথা অনেকে শুনেছেন। তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা শঙ্কর গোবিন্দ চৌধুরীর সনদ দেয়ার কথাও জানেন। এ ছাড়াও নাটোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার তার অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধু মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের কাছেও গাফ্ফারের যুদ্ধে অংশ নেয়ার কথা শুনেছেন। এমন অবস্থায় গাফ্ফারকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তি ও গেজেটভুক্তির মাধ্যমে তাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি প্রদান করা উচিত বলে দাবি করেন তিনি।

৩ ছেলে ও ২ মেয়ের জনক গাফ্ফারের এখন দিন কাটে কৃষি কাজ করে। অভাবের তাড়নায় দিন মজুরের কাজ করে সংসার চালাতে গিয়ে পড়ালেখা করাতে পারেননি কোন সন্তানকে। তাই বাবার পথ ধরে সন্তানরাও এখন দিন মজুর।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন জানান, গাফ্ফারের বড় ছেলে নূর মোহাম্মদের স্ত্রী দীর্ঘদিন থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত। বয়সভারে ন্যুব্জ মুক্তিযোদ্ধা গাফ্ফারও এখন তেমন কাজ করতে পারেন না। এমন অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়ে সরকারি সহযোগিতা পেলে বাঁকি জীবনটা সুখে কাটত। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের আশু পদক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

মুক্তিযোদ্ধা গাফ্ফারের দাবি, জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছি। এখন শেষ জীবনে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি চাই। চাই মুক্তিযোদ্ধার সম্মান। এ ব্যাপারে দিক নির্দেশনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান এবং মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলের পদক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে দৈনিক ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করেছে। বুধবার (১২ মার্চ) ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদের সই করা এক অফিস আদেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পত্রিকাটির সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান অভিযোগ করেন যে, ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকা অনুমোদিত প্রেস থেকে ছাপানো হচ্ছে না, বরং প্রিন্টার্স লাইনে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছে। তার এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ডিক্লারেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

অফিস আদেশ অনুযায়ী, ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার প্রকাশক ও মুদ্রাকর সাঈদ হোসেন চৌধুরীর নামে থাকা ঘোষণাপত্র বাতিল করা হয়েছে। ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন, ১৯৭৩-এর ১০ ধারার লঙ্ঘন হওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পত্রিকাটির প্রকাশনার অনুমোদন এখন থেকে আর কার্যকর থাকবে না।

Header Ad
Header Ad

সারাদেশে বৃহস্পতিবার ২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে এনআইডি সেবা

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসার কারণে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কর্মসূচি হিসেবে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এনআইডি’র সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সারাদেশে নিজ অফিসের সামনে মানববন্ধন করবেন। এর ফলে এ দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকবে সারাদেশে সব ধরনের এনআইডি সেবা।

বুধবার (১২ মার্চ) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টার বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বক্তব্য রাখছেন ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, কমিশনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখতে না পাওয়ায় সারাদেশে একযোগে আগামীকাল বৃহস্পতিবার স্ট্যান্ড ফর এনআইডির ব্যানারে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এতে করে এসময় সারাদেশে এনআইডি সেবা বন্ধ থাকবে।

মনির হোসেন বলেন, এনআইডি প্রথমে সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সবাই চায় এটি ইসির অধীনে থাকুক। উপদেষ্টা পরিষদে সিদ্ধান্ত হয় এনআইডি স্বরাষ্ট্রে নেওয়ার আইন বাতিল করে তা ইসির অধীনেই ন্যস্ত করার। কিন্তু আরেকটি উদ্যোগ মাঝখানে নেওয়া হয়েছে, আলাদা কমিশন গঠন করে এনআইডি পরিচালনার জন্য।

তিনি বলেন, গত ৫ তারিখে এখানেই রাখার দৃশ্যমান উদ্যোগ নিতে কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। কমিশন একমত পোষণ করে ৯ তারিখে সরকারকে চিঠি দিয়েছে। কমিশনের কাছ থেকে সাড়া পেলেও সরকারের কোনো কিছু আমরা পাইনি। তাই পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৩ মার্চ স্ট্যান্ড ফর এনআইডি কর্মসূচিতে (মানববন্ধন) যাবো, বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পালন করবো। এরমধ্যে কোনো সাড়া না পেলে পরবর্তীতে আমরা কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেবো।

'জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৫'-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকের আলোচনা অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে নির্দেশনা দিয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশনার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ 'সিভিল রেজিস্ট্রেশন (কমিশন) অধ্যাদেশ, ২০২৫'-এর খসড়া পর্যালোচনার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সভা করে গত ৩ মার্চ।

Header Ad
Header Ad

আম্মার ভয়ে প্রেম করিনি, এখন আম্মাই বলে, তুমি খুঁজে আনো

ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন: আমার বয়স ৩৫। ভালো চাকরি করি। পারিবারিক অবস্থাও ভালো। কিন্তু ইদানীং হতাশ হয়ে পড়ছি। কারণ, আমার বয়সী বন্ধুবান্ধব, কাজিন, প্রায় সবার বিয়ে হয়ে গেছে। আমার হচ্ছে না।

ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করার পর সব সময় ভেবেছি আগে ক্যারিয়ারটা দাঁড় করাই, তারপর বিয়ে করব। নিজের দায়িত্ব যদি নিতে না পারি, আরেকজনের দায়িত্ব নেব কীভাবে। ক্যারিয়ারে ফোকাস করতে করতেই আসলে সময় চলে গেছে। এখন আর বিয়ের জন্য মেয়ে পাওয়া যাচ্ছে না। বয়স ৩৫ শুনলেই মেয়েপক্ষ মনে করে ছেলের কোনো না কোনো সমস্যা আছে। হয়তো আগে বিয়ে হয়েছে, কিংবা অন্য কিছু।

সারা জীবন আম্মার ভয়ে প্রেম করতে পারিনি। এখন আম্মাই বলে, ‘তুমি খুঁজে আনো।’ আমি কোথা থেকে খুঁজে আনব? এখন তো আর সামনাসামনি বা অনলাইনে মেয়েদের সঙ্গে ফ্লার্ট করার বয়স নেই। বাধ্য হয়ে বন্ধুবান্ধব, অফিসের কলিগদেরও বলেছি, আমার জন্য মেয়ে দেখতে। কেউ কেউ চেষ্টা করছে। কিন্তু আশপাশের অধিকাংশ মানুষই কেন যেন ব্যাপারটাকে ‘ফান’ মনে করে। অনেকে টিটকারি দেয়। দেখা হলেই খোঁচা মেরে কথা বলে।

এ জন্য এখন আর পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে যেতে চাই না। আমি তো যাই-ই না, আম্মাও যেতে চান না। আমি বুঝি, আম্মাও আসলে কষ্ট পাচ্ছেন। আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে তাঁকেও নানা রকম কথা শুনতে হয়।
সব মিলিয়ে নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস একদম হারিয়ে ফেলেছি। কাজে মন দিতে পারি না। সবাইকে এড়িয়ে চলতে ইচ্ছা হয়। রাতে ঘুম হয় না। অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকি। ফেসবুক, ইউটিউব, সিনেমা—কোনো কিছুই দেখতে ইচ্ছা করে না। খেতে ইচ্ছা করে না। বাসার মানুষজনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাচ্ছে। অকারণেই রাগ দেখাই। এমনও হয়, টানা এক সপ্তাহও বাসায় কিছু খাই না। কারণ, সবার সঙ্গে খেতে বসলেই বিয়ের আলাপ উঠবে।
দুনিয়ার সবকিছু অসহ্য লাগে। ইচ্ছা করে সব ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যাই। আমি জানি না কার কাছে সাহায্য চাইব। কিংবা সাহায্য করার মতো আদৌ কেউ আছে কি না।

 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা

উত্তর: আপনার কষ্টকর সময়ের কথাগুলো নিজের ভেতরে আবদ্ধ করে না রেখে আমাদের কাছে লেখার জন্য ধন্যবাদ। এটি নিজের প্রতি যত্ন ও দায়িত্বশীলতারই প্রকাশ। আপনি বলেছেন, ‘ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করার পর সব সময় ভেবেছি আগে ক্যারিয়ারটা দাঁড় করাই, তারপর বিয়ে করব। নিজের দায়িত্ব যদি নিতে না পারি, আরেকজনের দায়িত্ব নেব কীভাবে।’ এই মুহূর্তে আপনার নিজের এই ভাবনার জন্য নিজেকে খানিকটা দোষী মনে হলেও আপনার ভাবনাটি কিন্তু অযৌক্তিক ছিল না। বিয়ে নিঃসন্দেহে একটি বড় দায়িত্ব। জীবনের বিশাল এক পরিবর্তনও বটে।
আমরা যখন কোনো একটি বাধা বা সমস্যার মুখোমুখি হই, তখন আমরা আবেগীয়ভাবে কেমন বোধ করব, বা সমস্যাটি কীভাবে সমাধান করব, তা মূলত নির্ভর করে নিজের সম্পর্কে আমাদের সামগ্রিক ধারণা এবং সামাজিক সহযোগিতার ওপর। সংকটের সময় নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তা বা ধারণা আমাদেরকে আরও দুর্বল করে দেয়। সংকটকালীন সময়ে তাই নিজের প্রতি সদয় থাকা, নিজেকে মমতা মাখানো কথা বলা জরুরি। উদাহরণস্বরূপ, যখন কষ্ট হবে তখন গভীরভাবে কয়েকটি শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে আপনি নিজেকে বলতে পারেন, ‘এই মুহূর্তে আমি কষ্টে আছি, মানসিক চাপে আছি। এই সময়টা কেটে যাবে। আমি একা নই। আমাদের সবার জীবনেই দুঃখ থাকে, সমস্যা থাকে। আমি নিজের প্রতি সদয় থেকেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিতে পারি। আমি ধৈর্য ধরতে পারি, আমি শক্তিশালী হতে পারি।’ গবেষণায় দেখা গেছে, নিজের প্রতি ইতিবাচক ও মমতাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের মানসিক শক্তি জোগায় এবং সমস্যা সমাধানের জন্য মস্তিষ্ককে প্রস্তুত করে।

আপনার বয়স ৩৫ কিন্তু এখনো অবিবাহিত, নানা মানুষ নানা কথা বলছে, ফলে আপনি একধরনের সংকোচ ও লজ্জার অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। আপনি কি মূলত এই সংকোচ ও লজ্জা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই বিয়েকে গুরুত্ব দিচ্ছেন? নাকি জীবনের সুখ–দুঃখগুলোকে ভাগ করে নেওয়ার জন্য, জীবনকে উদ্‌যাপন করার জন্য একজন সঙ্গী প্রয়োজন বলেই বিয়েকে গুরুত্ব দিচ্ছেন? নিজেকে প্রশ্ন করুন। যদি প্রথমটি আপনার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে বয়সকে বড় বাধা মনে হতে পারে। কিন্তু যদি দ্বিতীয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে বয়স বড় কোনো বাধা হওয়ার কথা নয়। যেকোনো বয়সেই মানুষ পছন্দের একজন মানুষের সঙ্গে জীবন শুরু করতে পারে।
আপনি বিয়ের ব্যাপারে সহকর্মী ও বন্ধুদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন, এটি খুব ইতিবাচক একটি বিষয়।

কেননা আমাদের জীবনে যা কিছু প্রয়োজন, তা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে করা আমাদেরই দায়িত্ব। আর সামাজিকভাবে বা কিছু বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে আপনি যে বিদ্রূপের মুখোমুখি হচ্ছেন, তা-ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সামলে নেওয়া প্রয়োজন। নিজেকে গুটিয়ে না রেখে প্রকাশ করা প্রয়োজন। আমাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অন্য কারও মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন ও অনধিকার চর্চা মনে হলে আমরা সরাসরি তা বলে দিতে পারি। নিজের প্রতি সদয় ও শ্রদ্ধাশীল থাকা, আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিজেকে প্রকাশ করতে পারা, সমস্যা সমাধান করা, অন্যের যেকোনো আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারার জন্য আমাদের মানসিক ও আবেগীয় বিকাশ এবং যোগাযোগের দক্ষতা প্রয়োজন হয়। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ বা আত্ম উন্নয়নমূলক বই সে ক্ষেত্রে সহযোগী ভূমিকা পালন করতে পারে।

প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট রাউফুন নাহার।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল
সারাদেশে বৃহস্পতিবার ২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে এনআইডি সেবা
আম্মার ভয়ে প্রেম করিনি, এখন আম্মাই বলে, তুমি খুঁজে আনো
টাঙ্গাইলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ: ১ লাখ টাকায় সালিশের রায়, অভিযুক্ত গ্রেফতার
শেখ হাসিনা-ইমরান এইচ সরকারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
১৯ দেশের মিশন প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন
ধর্ষণচেষ্টার কারণে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষকে খুন: পুলিশ
বাম্পার ফলনেও লোকসানের মুখে আলুচাষীরা
জাতীয় নাগরিক পার্টি নির্বাচন বিলম্ব করতে গোলমাল করছে: জয়নুল আবদিন ফারুক
যমুনায় যাওয়ার চেষ্টা, শিক্ষকদের ওপর পুলিশের জলকামান-লাঠিচার্জ
পাঁচ দফা দাবিতে দেশজুড়ে ধর্মঘটে চিকিৎসকরা, রোগীদের ভোগান্তি
৩ দিন পর গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার সালমান-আতিকুল-মহিবুল
আজ ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না রাজধানীর অনেক এলাকায়
এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া নামের আগে 'ডাক্তার' লেখা যাবে না: হাইকোর্ট
মাগুরার শিশুটির অবস্থার আবারও অবনতি, দুবার বন্ধ হয়েছে হৃৎস্পন্দন
খাদ্য অধিদপ্তরে ১৭৯১ জনের বিশাল নিয়োগ, এসএসসি পাসেও আবেদনের সুযোগ
বিরামপুরে দুই শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একজন আটক
ট্রাকচাপায় কারখানা শ্রমিক নিহত, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
বঙ্গবন্ধু হলের নাম বদল নিয়ে পোস্ট করায় ইবি শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া