টঙ্গীতে দুই কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার
গাজীপুরের টঙ্গীতে টাকা ভাগাভাগি এবং আধিপত্য বিস্তারে দুই কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনায় উভয় গ্যাংয়ের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাতে টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজন এবং বুধবার (৩ আগষ্ট) রাতে টঙ্গীর মিত্তিবাড়ি এলাকা থেকে দুই কিশোর গ্যাং দলের প্রধান দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-টঙ্গী পশ্চিম থানার কাঠালদিয়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক অনিক (৩১), বড় দেওড়া এলাকার শাহীন মিয়া ওরফে কাওয়া শাহীনের ছেলে রাশেদ খান মেনন (২৫), মৃত বারেকের ছেলে তাজুল ইসলাম (২৫), মো. ইউসুফের ছেলে আল-আমিন (৩২), আহাম্মদ আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন (৩৮), টঙ্গী পূর্ব থানা গোপালপুর এলাকার নাসির উল্লাহর ছেলে আরাফ উল্লাহ ওরফে রিফাত (২৪) এবং কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া গ্রামের বাদল হোসেনের ছেলে টঙ্গীর বাসিন্দা আজাহার হোসেন (২১)। এদের মধ্যে দুই কিশোর গ্যাং দলের দলনেতা রাশেদ খান মেনন এবং এনামুল হক অনিককে বুধবার রাতে টঙ্গীর মিত্তিবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আটক রাশেদ খান মেনন স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী সেলিম মিয়া এবং এনামুল হক অনিক গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী নুর মোহাম্মদ মামুনের অনুসারী বলে জানান স্থানীয়রা।
দুই কিশোর গ্যাংয়ের সাত সদস্য গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার গাজীপুর আদালতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, টঙ্গীতে চুরি করা লোহা বিক্রির টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তারে দুই কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে বুধবার (৩ আগস্ট) রাতে টঙ্গী পশ্চিম থানার সামনে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনার ভিডিও ধারণ করাকালে স্থানীয় সাংবাদিক বার্তা বাজার ও এশিয়ান টেলিভিশনের ও গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি আরিফ চৌধুরীর উপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। পরে ওই হামলার ঘটনায় তিনি নিজেই বাদী হয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন।
এসআইএইচ