চলন্ত বাসে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ডাকাত রিমান্ডে
টাঙ্গাইলের কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জ হয়ে চট্টগ্রামগামী ঈগল পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে এক নারী যাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও অস্ত্রের মুখে ঘুমন্ত যাত্রীদের হাত-মুখ ও চোখ বেঁধে জিম্মি করে নির্যাতন, লুটপাটসহ ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত রাজা মিয়াকে (৩২) রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মধুপুর আমলী আদালতের বিচারক বাদল কুমার চন্দ শুনানি শেষে তার ৫ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতের পরিদর্শক তানভীর আহাম্মেদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃত রাজা মিয়ার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন।
এর আগে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে টাঙ্গাইল পৌর শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে অভিযুক্ত রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি-উত্তর)।
জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত রাজা মিয়া জেলার কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। তিনি পৌর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঝটিকা বাসের চালক ছিলেন।
এদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারী যাত্রী একই দিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় জবানবন্দি দেন। দণ্ড বিধির ২২ ধারায় টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমি খাতুন ওই নারীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) রাতে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ২৪ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। গভীর রাতে সিরাজগঞ্জে পৌঁছালে সেখান থেকে একদল ডাকাত যাত্রীবেশে ওই বাসে ওঠে। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পাড় হওয়ার পর অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের বেঁধে ফেলে। এ সময় ডাকাত দলটি বাসটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয়। এক পর্যায়ে তারা বাসযাত্রী এক নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বাসটিকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে তিন ঘণ্টা তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এরপরে পথ পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালির স্তুপে বাসটি ফেলে একটি মাইক্রোবাসযোগে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।
এসআইএইচ