নেত্রকোনায় নদী ভাঙনে আতঙ্কে দুই তীরের মানুষ
নেত্রকোনায় সীমান্তবর্তী নদী ভাঙনে আতঙ্কে দুই তীরের মানুষ। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বাকলা নদীর তীরের বাসিন্দা। ভেঙে যাচ্ছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ফলে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে দাবি স্থানীয়দের।
কলমাকান্দার নাজিরপুর ইউনিয়নের কান্তপুর গ্রামে আরও ১ হাজার গজ নদী ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে কান্তপুর, নাজিরপুর বাজার, পশ্চিম নাজিরপুর ও ভবানীপুরসহ আরও চার গ্রাম। এবারের বর্ষার শুরুতেই ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলাজুড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। নদী পাড় ভাঙনে হতাশায় পড়েছে তীরবর্তী মানুষ। নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে একের পর এক জনপদ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এবারের বর্ষায় নদী পাড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ইতোমধ্যে কান্তপুর গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলামের বাড়ি থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশিদ মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত আরও প্রায় ১ হাজার গজ ভাঙন তীব্র হয়েছে। ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে আছে একটি মসজিদ ও একটি মাদরাসা। নিজস্ব উদ্যোগে ভাঙন রোধে বাঁশ ও বালু ভর্তি বস্তা দিয়ে শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয়রা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশিম আজাদ বলেন, বাকলা নদীর ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদীর তীরবর্তী মানুষ। নদী পাড়ের রাস্তা ও ঘরবাড়ি বিলীন হচ্ছে। ভাঙনে আতঙ্কে আমার দিন পার করছি। এবারের বর্ষার শুরুতেই আরও বেশি ভাঙন শুরু হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর কবির জানান, এবারের বন্যায় পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানির স্রোত বেশি হওয়ায় নদী পাড়ে ধ্বংস শুরু হয়েছে। ভাঙনে সর্বস্ব হারাতে বসেছে নদী পাড়ের মানুষ।
অপর বাসিন্দা সাইফুল আলম জানান, এবারের বন্যায় নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ। বার বার দাবি করার পর ও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো তদারকি নেই। নেই কোনো পদক্ষেপ। জনপ্রতিরা ভোটের আগে অনেক উন্নয়নের কথা বলেন। পাস করার পর আর এলাকায় আসেন না। কোনো খোঁজ খবর নেন না।
নদী ভাঙন প্রতিরোধ সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এমএল সৈকত জানান, বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। বন্যা হওয়ার পর এ ঝুঁকি আরও বেড়ে গেছে। এলাকাবাসীর আবেদন পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএন