৭ বছর পূর্তিতে দাসিয়ারছড়ায় ৬৮ মোমবাতি প্রজ্বালন
৬৮ বছরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীরা। প্রতি বছর ঐতিহাসিক ক্ষণটি বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করেন তারা। রবিবার (৩১ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ৬৮টি মোমবাতি প্রজ্বালন করে ৭ বছর পূর্তি উদযাপন করেন দাসিয়ারছড়ার বাসিন্দারা।
ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের মাঝখানে অবস্থান বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার।
দাসিয়ারছড়ার মেইন পয়েন্ট কালিরহাট বাজার সংলগ্ন কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রাত ১২টা ১ মিনিটে ৬৮টি মোমবাতি প্রজ্বালন ও কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মো. জাফর আলী।
ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু সাইদ লোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান শেখ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল হুদা দুলাল, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক মিলন, ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির দাসিয়ারছড়া ইউনিটের সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসোন, ফুলবাড়ী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এমদাদুল হক মিলন, দাসিয়ারছড়াবাসী নুর-আলম মিয়া ও জাকির হোসেন প্রমুখ। আলোচনা শেষে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬৮টি মোমবাতি জ্বালান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়। ঐতিহাসিক এ দিবস উপলক্ষে সোমবার সকালে আয়োজন করা হয়েছে মঙ্গল শোভা যাত্রা, নৌকা বাইচসহ বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি দাসিয়ারছড়ার মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্য রাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মুজিব-ইন্দিরা স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ দিন বাংলাদেশের অভ্যন্তরের ১১১টি ছিটমহল এবং ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল দুই-দেশের ভূ-খণ্ডে যুক্ত হয়। দীর্ঘ ৬৮ বছরের বঞ্চনার পর ১৬২টি ছিটমহল একীভূত হয়ে তারা বাংলাদেশ-ভারতের নাগরিক হবার সুযোগ পান।
এসএন