সিলেটে গ্যাস সংযোগ চালু : সিএনজি স্টেশনে দীর্ঘ লাইন
সিলেটে সিএনজি স্টেশনগুলোতে দীর্ঘ হচ্ছে যানবাহনের লাইন। এর আগে দুইদিন বন্ধ থাকায় গাড়ির চাপ বেড়েছে পাম্পগুলোতে। মাসের নির্ধারিত লোড শেষ হওয়ায় নগরীর সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাস দেওয়া বন্ধ করে দেয় জালালাবাদ কতৃপক্ষ। এ অবস্থায় সিলেটের ৪টি সিএনজি স্টেশন বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি সমাধানে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করে সিএনজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (২৭ জুলাই) জেলা প্রশাসকের সাথে জরুরী বৈঠকে বসেন নেতৃবৃন্দ। ওইদিন বিকাল থেকেই বন্ধ স্টেশনগুলো ফের চালু করা হয়।
চালু হওয়ার পর থেকে ফের স্বাভাবিক হয় সিলেটের সিএনজি স্টেশনগুলো। জেলা প্রশাসকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সকল পাম্পে গ্যাস সংযোগ চালু করেছে জালালাবাদ গ্যাস। তবে পাম্পগুলোতে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে।
প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে সব পাম্প। রাত ১১টা থেকে ফের গ্যাস দেয়া শুরু হলে অধিকাংশ পাম্পে যানবাহনের তীব্র চাপ শুরু হয়। যানবাহনের সারি রাত ৩ টায় গিয়ে শেষ হয়। এরপর বৃহস্পতিবার দিনের বেলায় যানবাহনের চাপ কম থাকলেও দিবাগত রাতে ফের শুরু হয় দীর্ঘ লাইন। যা রাত ৪টা পর্যন্ত গ্যাস দেয়ার মাধ্যমে শেষ হয়। সবচেয়ে বেশি যানবাহনের চাপ ছিলো ছাতক উপজেলার নবনির্মিত গোবিন্দগঞ্জ সিএনজি পাম্পে। ওই স্টেশনে রাত ১১টার সময় গ্যাস দেয়া শুরু হলে ভোররাত গিয়ে যানবাহনের লাইন শেষ হয়।
এদিকে শুক্রবার ও শনিবার নগরীর সিএনজি স্টেশনগুলোতে যানবাহনের তেমন চাপ ছিল না। সারি থাকলেও গাড়িতে চালককে বেশিক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হয়নি বলে জানিয়েছেন সিএনজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের একাধিক নেতা।
জালালাবাদ গ্যাস সূত্র জানায়, সিলেটের সবগুলো সিএনজি স্টেশন চালু রয়েছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। স্টেশন মালিকদেরকে গ্যাস বিক্রিতে এবং মাসের লোডের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া জ্বলানি গ্যাসের ক্ষেত্রে মালিক চালক সবাইকে মিতব্যয়ী হতে হবে।
বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্শন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রিয়াসাদ আজিম হক আদনান বলেন, শনিবার রাত পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। জেলা প্রশাসকের হস্থক্ষেপে ৪/৫ দিন সিএনজি স্টেশনগুলো পরিচালনার সুযোগ হয়েছে। যেভাবে স্টেশনগুলো বন্ধ করা শুরু হয়েছিল সিলেট কঠিন বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে। যানবাহনের চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে স্টেশনগুলোর মাসিক লোড বাড়ানো উচিত বলে জানান তিনি।