লেভেল ক্রসিংয়ে ছিল না গেটম্যান, দাবি আহত যাত্রীর
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে ১১ জন নিহত ও ৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যানের থাকা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার দুর্ঘটনায় আহত যাত্রী জুনাইদ কাউসার ইমন দাবি করেছেন, লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান ছিল না।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৪নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সড়কের সঙ্গে যুক্ত লেভেল ক্রসিংয়ের সিগন্যাল বা প্রতিবন্ধক যাওয়ার সময়ও ছিল না। আবার আসার সময়ও ছিল না। যখন ট্রেন আসছিল তখন গেটম্যানের রুম থেকে একজন বলেন, ট্রেন আসছে। ট্রেন দূরে আছে, আপনারা চলে যান।
এ ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন ইমন। তিনি হাটহাজারী থানার আমান বাজার খন্দকিয়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে এবং কেসি শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজে উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র।
ইমন বলেন, আসার সময় সড়কের রেল ক্রসিংয়ের সিগন্যাল বা প্রতিবন্ধক ছিল না। ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল, চারদিকে দোকান ছিল। এ কারণে চালক রেললাইনের দিকে নজর দেয়নি। ট্রেন আসছে সেটা দেখা যায়নি, আমি মাইক্রোবাসের শেষের সিটে বসে ছিলাম। রেললাইনে উঠার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়ে সামনে নিয়ে যায়। আমি মাইক্রোবাসের কাচ ভেঙে বের হয়ে যাই। স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবায় কল দিলে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা আসেন।
আসার সময় রেলের গেটম্যানের রুমটা তালাবদ্ধ ছিল জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কোনো গেটম্যান ছিল না। আমান বাজার থেকে সকাল ৮টার দিকে বের হয়। আজান দেওয়ার সময় ঝর্ণায় ছিলাম। সেখান থেকে আসার সময় সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মাইক্রোবাসে মোট ১৮ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে ৪ জন কোচিংয়ের শিক্ষক, ১২ জন শিক্ষার্থী ও ২ জন চালক ও সহযোগী ছিল।
এসজি/