রেলওয়ের গেটম্যানের ভূমিকা নিয়ে ধোঁয়াশা
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ জন যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় গেট ম্যানের ভূমিকা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ঘটনার পর পরই স্থানীয় সূত্র জানায়, মাইক্রোবাসটি লেভেল ক্রসিংয়ের ব্যারিকেড ভেঙে উঠে পড়ে। এতে দুর্ঘটনা ঘটে। আবার স্থানীয় অনেকে বলছেন, গেটম্যান ট্রেন আসার আগে খেতে বসেছিলেন। বাঁশের ব্যারিকেড ছিল না।
নানা অভিযোগ আমলে নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া রেলক্রসিংয়ের গেটম্যান মো. সাদ্দাম হোসেনকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। এ ব্যাপারে রেলওয়ে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার মো, হাসান চৌধুরী বলেন, গেটম্যান পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তদন্তের পর জানা যাবে আসলে তার দোষে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
রেল পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার (জি এম) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দুর্ঘটনা পর আমরা খবর নিয়েছি গেটম্যানের ভূমিকা নিয়ে। রেল ক্রসিং এলাকার এক দোকানি আমাদের জানান দুর্ঘটনার সময় গেটম্যান সাদ্দাম দোকানে বসে ভাত খাচ্ছিলেন। এ ঘটনা সত্য নাকি মিথ্যা এটা যাচাই করার জন্য ইতোমধ্যে তাকে আটক করা হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গেটম্যান সাদ্দাম জানিয়েছেন ট্রেনের আপ লাইন আসার পর তিনি গেট নামান, এর কিছুক্ষণ পরেই চলে আসে ডাউন লাইন। মাইক্রোবাসের চালক নিজে গিয়ে গেট তুলে দিয়ে লাইনে প্রবেশ করেন। তিনি ভেবেছিলেন আপ লাইন এসেছে, ডাউন লাইন হয়তো আর আসবে না। এটা ভেবে লাইনে ঢোকার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের অনেকে বলছেন, দুর্ঘটনার জন্য মাইক্রোবাস চালকের অবহেলা দায়ী। তার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। লেভেল ক্রসিংয়ে নামানো গেট তুলে তিনি প্রবেশ করেন। আবার অনেকে বলছেন, ঘটনার সময় গেটম্যান ছিলেন না। থাকলে এমন ঘটনা ঘটতো না। স্থানীয় এক যুবক জানান, গেটম্যান ছিলেন না, থাকলে গেট নামানো থাকতো। মীরসরাই রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন জানান, আটক করা হয়েছে গেটম্যান সাদ্দামকে। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এএজেড