সিলেটের পশুর হাট, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা

ঈদের প্রায় ১০ দিন আগে থেকেই এই হাটে গিজগিজ করতেন ক্রেতারা। সেই হাটে এবারও কোরবানির পশু উঠেছে। তবে পশুর সংখ্যা খুবই কম। একই সঙ্গে উল্লেখযোগ্য ক্রেতাও নেই। সিলেট নগরীর প্রাচীন এই পশুর হাটের নাম কাজিরবাজার। বুধবার (৬ জুলাই) বিকালে হাট পরিদর্শন করতে গিয়ে এমন চিত্রই চোখে পড়ে। বিক্রির জন্য হাটে কোরবানির পশু নিয়ে যারা এসেছেন তাদের চোখে মুখে চিন্তার চাপ! আবার অনেকেই বলছেন, দু-একদিনের মধ্যেই হাটে ক্রেতার সমাগম বাড়বে।
কাজিরবাজার পশুর হাটের উত্তরপ্রান্তে কথা হয় মনিরুল মিয়ার সঙ্গে। ছয়টি গরু নিয়ে তিনি হবিগঞ্জের লাখাই থেকে কাজিরবাজার পশুর হাটে এসেছেন। বুধবার (৬ জুলাই) পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ মন ওজনের প্রতিটি গরুর দাম হাঁকাচ্ছেন সোয়া লাখ টাকা। কিন্তু হতাশ তিনি! নিজেদের পছন্দ মতো কোনো ক্রেতাই এখনও দাম বলেননি ছয়টি পশুর। তিনি জানান, অনেক আশা করে হাটে গরুগুলো নিয়ে আসলেও কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা মিলছে না। তবে ঈদের আগের দুদিন শুক্র ও শনিবার ক্রেতা মিলবে বলে আশা তাঁর।
একই কথা বলছেন অন্য ব্যাপারীরাও। তারা বলেন, হাটে বিক্রেতাদের তুলনায় ক্রেতাদের সংখ্যা একেবারেই কম। এখানে বড় গরুর ক্রেতা কম। মাঝারী গরুর ক্রেতা বেশি। যেসব ক্রেতা আসছেন তারাও আশানুরূপ দাম বলছেন না।
বিশ্বনাথ থেকে একটি বড় গরু তুলেছেন আপ্তাব আলী। তার দাবি, বন্যায় এবার ক্রেতা খুবই কম। এ সময়ে ক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকে। কিন্তু এবার এই দৃশ্য নেই। তিনি বলেন, এবার পেশাদার গরু ব্যবসায়ী ও খামারীদের অস্তিত্ব ঠোকানোই দায় হয়ে পড়েছে।
হাট ঘুরে দেখা গেছে, দেড় থেকে দুই মণ মাংস হবে এমন (মাঝারি আকৃতির) গরু বিক্রি শুরু হয়েছে। হাটে মাঝারি গরুর চাহিদাও বেশি। তবে সেভাবে বড় গরুর ক্রেতা দেখা যায়নি। যদিও সিলেট নগরের ক্রেতারা ঈদের এক-দুদিন আগে কোরবানির পশু কেনেন। সেই হিসেবে শুক্র ও শনিবার হাটগুলোতে ক্রেতা বাড়বে। তখন বড় গরুর চাহিদাও বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
এসআইএইচ
