শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাত পোহালেই নওগাঁয় ২৬ ইউনিয়নে নির্বাচন

রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) নওগাঁ জেলার তিন উপজেলার ২৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ সমূহে নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে নওগাঁয় সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

জেলার আত্রাই উপজেলার ৮টি, ধামইরহাট উপজেলার ৮টি ও মহাদেবপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

জেলা নির্বাচন অফিসার মাহমুদ হাসান জানিয়েছেন এ তিন উপজেলার ২৪২টি ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ৫৪০টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে এসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যালটপেপার, ভোটবাক্সসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রেরণ করার কার্যক্রম চলছে।

তিনি জানিয়েছেন, রবিবারের ইউপি নির্বাচনে আত্রাই উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়ন, ধামইরহাট উপজেলার ধামইরহাট ও উমার এবং মহাদেবপুর উপজেলার মহাদেবপুর এই চারটি ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হবে। বাকি ২২টি ইউনিয়নে যথারীতি ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে আত্রাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার ১২১ জন। ধামইরহাট উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪১৮ জন এবং মহাদেবপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৭ জন।

আত্রাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৭৫টি কেন্দ্রের ৪৫৯ টি কক্ষে, ধামইরহাট উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৭৪টি কেন্দ্রের ৪শ ভোট কক্ষে এবং মহাদেবপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৯৩টি কেন্দ্রের ৬৮১টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য আত্রাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৮ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯১ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩১৮ জন প্রার্থী। ধামইরহাট উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯৩ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৯৯ জন প্রার্থী। মহাদেবপুর উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫৩ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১২২ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৫৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রবিবারের ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ এবং শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

নওগাঁ পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মো. আব্দুল মান্নান মিয়া জানিয়েছেন আগের মতোই এ তিন উপজেলায় প্রয়োজনীয় মোট ১ হাজার ৫শ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রতি কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ২২-২৪ জন আনসার ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মোবাইল টিম এবং প্রতি ৩টি ইউনিয়নের জন্য একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স টহলরত থাকবে। নির্বাচনী এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া সাদা পোশাকে পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলরত থাকবে।

/এএন

Header Ad
Header Ad

ভারতে ইসকন মন্দিরে চিন্ময়ের আইনজীবীর বৈঠক

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পতাকাকে অবমাননার অভিযোগে আটক হওয়া হিন্দু ধর্মপণ্ডিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বর্তমানে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। আগামী ২ জানুয়ারি তার জামিন শুনানি হবে, যেখানে তার পক্ষে আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ আইনি লড়াই করবেন। রবীন্দ্র ঘোষ বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরে অবস্থান করছেন এবং সেখানেই ইসকনের মন্দিরে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেছেন। মন্দিরে তাকে নিয়ে যান ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারামণ দাস।

বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য পশ্চিমবঙ্গ অবস্থান করছেন এবং শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ২ জানুয়ারি জামিন শুনানিতে আদালতে উপস্থিত থাকবেন। আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, চিন্ময়ের পক্ষে দাঁড়ানোর কারণে তিনি হুমকি-ধামকির মুখে পড়ছেন।

তিনি আরও জানান, শুনানির আগে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন।

এর আগে, ১৭ ডিসেম্বর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী স্থানীয় বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন, যেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী এবং বিজেপি-ঘনিষ্ঠ সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ।

এদিকে, ইসকন বাংলাদেশ জানিয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই, তবে কলকাতা শাখা তার পক্ষে ব্যাপকভাবে কাজ করছে। কলকাতার ইসকন নেতার আমন্ত্রণে তিনি মন্দিরে গেছেন।

Header Ad
Header Ad

ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: ড. মুহাম্মদ ইউনূস  

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তরুণরা সংখ্যায় বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আগ্রহী। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার মতামত নেওয়ার জন্য আমি মনে করি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী জাতীয় সংলাপ-২০২৪ এর উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি এই ভাষণ দেন।

সংস্কারের বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, এ জন্য সর্বশেষ পর্যায়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন গঠন করা হয়েছে। যেমন ধরুন, কোন বয়সে একজন নাগরিক ভোটার হতে পারবে তার জন্য নানা দেশে নানা বয়স নির্ধারণ করা আছে। নির্বাচন সংস্কার কমিশন নিশ্চয়ই এরকম একটা বয়স সুপারিশ করবে। সে বয়স আমার পছন্দ হতেও পারে নাও হতে পারে। ধরুন আমি তরুণদের তাড়াতাড়ি ভোটার করার পক্ষে। যে যত তরুণ, পরিবর্তনের প্রতি তার আগ্রহ তত বেশি, এই হলো আমার যুক্তি। তরুণরা তাকে শক্তি যোগায়। তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা তাকে এই শক্তি যোগায়। তরুণরা সংখ্যায়ও বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আগ্রহী। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার মতামত নেওয়ার জন্য আমি মনে করি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশন কি ধরনের সুপারিশ করবেন তা আমার জানা নেই। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষ যদি কমিশনের সুপারিশ করা বয়স পছন্দ করে ঐক্যমতে পৌঁছার জন্য আমি তা মেনে নেব।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংস্কারের যে মহান দায়িত্ব ঐতিহাসিক কারণে আমাদের কাছে এসে গেছে এই দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি রাজনৈতিক দল, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িক এবং ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রত্যেককে দৃঢ়তার সঙ্গে সংস্কারের এই মহাযজ্ঞে আনন্দের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল বাংলাদেশকে মুক্ত করেনি, আমাদের স্বপ্নকেও তুমুল সাহসী করে তুলেছে। বাকহীন বাংলাদেশ জোরালো কণ্ঠে আবার কথা বলার শক্তি ফিরে পেয়েছে। এই দৃঢ় কণ্ঠ ঐক্য গঠনে সোচ্চার হয়েছে। ঐক্য আমাদের মূল শক্তি।

জুলাই অভ্যুত্থান আমাদেরকে ঐতিহাসিক মাত্রায় বলিয়ান করেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গত পাঁচ মাসে এই ঐক্য আরও শক্তিশালী হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তি আমাদের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করার ক্রমাগত প্রয়াস চালাতে থাকায় আমাদের ঐক্য আরও মজবুত হচ্ছে। এই ঐক্যের জোরেই এখন আমরা অসাধ্য সাধন করতে পারি। এখনই আমাদের সর্বোচ্চ সুযোগ। এমন অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে যেটা সকল নাগরিকের জন্য সম্পদের ও সুযোগের বৈষম্যহীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করবে।

তিনি বলেন, যত নিম্ন আয়ের পরিবারেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন? প্রতিটি নাগরিকের, তিনি নারী হোক, আর পুরুষই হোক তিনি যেন বিনা বাধায় তো বটেই বরং রাষ্ট্রের আয়োজনে তার সৃজনশীলতা প্রকাশ করে যে কোনো পর্যায়ের উদ্যোক্তা হতে পারেন বা তিনি যে ধরনের কর্মজীবন চান তাই বেছে নিতে পারবেন। এমন রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় পরিবেশ থাকবে যেখানে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু এই পরিচিতি অবান্তর হয়ে পড়বে। সবার একটিই পরিচয়-আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং রাষ্ট্র আমাকে আমার সকল অধিকার প্রদান করতে বাধ্য।

ড.ইউনূস আরও বলেন, রাষ্ট্রের কাছে এবং অন্য নাগরিকের কাছে আমার আর কোনো পরিচয় দেবার প্রয়োজন হবে না। যেখানে ব্যক্তি বন্দনার কোনো সুযোগ থাকবে না। দেশের ভেতরে বা বাইরে প্রভু-ভৃত্যের কোনো সম্পর্কের সুযোগ থাকবে না। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার সুবাদে হবো বিশ্ব নাগরিক। দেশের মঙ্গল সাধন করা যেমন হবে আমাদের নাগরিক দায়িত্ব, তেমনি বিশ্বের মঙ্গল সাধন করাও আমাদের কর্তব্য, এ দায়িত্বও আমরা সমানভাবে পালন করব। আমাদের তরুণ-তরুণীরা দ্রুত এই দুই দায়িত্ব সমানভাবে পালন করার জন্য প্রস্তুতি নেবে।

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের যোদ্ধাদের স্মরণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের সকল যোদ্ধাদের। বিশেষ করে অভিবাদন জানাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ছাত্রজনতাকে। যারা আহত হয়েছেন, চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন, যাদের অঙ্গহানি হয়েছে তাদের প্রতি আমাদের ঋণ শোধ হওয়ার নয়। নতুন বাংলাদেশ গঠনে তাদের প্রেরণা ও অবদান জাতি কখনো ভুলতে পারবে না।’

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের রূপান্তর পর্বে প্রবেশ করার অধিকার অর্জন করেছি। এই রূপান্তর দ্রুত সফলভাবে কার্যকর করার জন্য আমাদেরকে সকল শক্তি নিয়োজিত করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে। পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ আমাদের নেই। আমাদের এই কাঙ্ক্ষিত রূপান্তরের লক্ষ্য হবে সকল ধরনের বৈষম্য অবসানের রাজনৈতিক আয়োজন নিশ্চিত করা, এদেশে গণতান্ত্রিক ও নাগরিক সমতা ভিত্তিক একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণ ছাড়া জুলাইয়ের শহীদদের আত্মদান অর্থবহ হতে পারে না।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশকে আদর্শভিত্তিক সকল রকমের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে গভীর অন্ধকারের দিকে আমাদেরকে নিয়ে গিয়েছিল। আমরা আবার প্রিয় বাংলাদেশকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের পথে ফেরানোর লক্ষ্যে কাজ করছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ড. ইউনূস বলেন, ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন- এই তিন লক্ষ্যের কোনোটিকে ছাড়া কোনোটি সফল হতে পারবে না। ঐক্যবিহীন সংস্কার কিংবা সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে না। পাশাপাশি আমরা ভুলতে পারি না যে, আমাদের ছাত্র-জনতা অটুট সাহসে শিশুহত্যাকারী ও পৈশাচিক ঘাতকদের মোকাবিলা করেছে। মানবতার বিরুদ্ধে এমন নিষ্ঠুরতাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলতে থাকবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ মূলত নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু সংস্কারের কাজে সকল নাগরিককে অংশগ্রহণ করতে হবে। যারা ভোটার তারা তো অংশগ্রহণ করবেনই, তার সঙ্গে যারা ভবিষ্যতে ভোটার হবেন তারাও সর্বাত্মকভাবে সংস্কারের কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করুন।

তিনি বলেন, সংস্কারের কাজটা নাগরিকদের জন্য সহজ করতে আমরা ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠন করে দিয়েছি। তাদের প্রতিবেদন আমরা জানুয়ারি মাসে পেয়ে যাব। প্রত্যেক সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব হলো প্রধান বিকল্পগুলো চিহ্নিত করে তার মধ্য থেকে একটি বিকল্পকে জাতির জন্য সুপারিশ করা। যার যার ক্ষেত্রে সংস্কারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কিভাবে রচিত হবে তা বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে সুপারিশমালা তৈরি করে দেওয়া। এতে নাগরিকদের পক্ষে মতামত স্থির করা অনেকটা সহজ হবে। তবে কমিশনের প্রতিবেদনে সুপারিশ করলেই আমাকে-আপনাকে তা মেনে নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই।

সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করতে চাই উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, সব ক’টা কমিশন মিলে আমাদের সামনে বহু সুপারিশ তুলে ধরবে। আমরা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছি যে যার যাই মতামত হোক না কেন আমরা দ্রুত একটা ঐক্যমতে পৌঁছে সংস্কারের কাজগুলো করে ফেলতে চাই। নির্বাচনের পথে যেন এগিয়ে যেতে পারি সেই ব্যবস্থা করতে চাই। আপনাদের আজকের সংলাপ সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এমন একটি প্রক্রিয়া তুলে ধরে আমাদের এই দায়িত্বকে সহজ এবং গতিময় করে দেবে আশা করছি।

সংলাপের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়ার আইনগত কোনো বাধা নাই

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ছায়া সংসদ বিতর্কের আলোচনায় এমনটি জানান তিনি।

আসাদুজ্জামান বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত হলে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। অ্যাটর্নি আরও বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে জুলাই বিপ্লব ব্যর্থ হতে পারে না। ষড়যন্ত্রকারীরা যতো শক্তিশালীই হোক না এই বিপ্লব মুছে ফেলা যাবে না।

সাবেক প্রধান বিচারপতির প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল অভিযোগ করেন, বিচারের নামে অবিচার করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি। যারা অবিচার ও অন্যায় করে বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছেন তাদের সকলের বিচার হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন মো. আসাদুজ্জামান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে ইসকন মন্দিরে চিন্ময়ের আইনজীবীর বৈঠক
ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: ড. মুহাম্মদ ইউনূস  
নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়ার আইনগত কোনো বাধা নাই
বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেল প্রাইভেটকার, নিহত ৫  
পাঁচ সাংবাদিক বরখাস্তের জন্য সরকার দায়ী নয়: প্রেস সচিব শফিকুল আলম
জাহাজে ছেলে খুন, পুত্রশোকে বাবার মৃত্যু
ক্রীড়া উপদেষ্টা আপাতত ক্রীড়া পরিষদে অস্থায়ী অফিস করবেন
সংস্কারবিহীন নির্বাচন সম্ভব নয়: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
পানির ট্যাংকে লুকিয়েও রক্ষা পেলেন না আ’লীগ নেত্রী  
গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫০
ঐক্য, সংস্কার, নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সংলাপ শুরু আজ থেকে
দাঁড়িয়ে থাকা করমিনে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল ৩ জনের
জাহাজে ৭ খুন: অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নৌযান শ্রমিকেরা  
জেসিও আমিনুল ইসলামের বক্তব্য তার একান্ত ব্যক্তিগত: আইএসপিআর
৯৯৯ থেকে কল এলে সাবধান!
আগেই সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা, ব্যবস্থা নেয়নি বিমানের কর্তারা
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: জাতীয় নাগরিক কমিটি
মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং  
ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ