মাশরাফি হাসপাতাল পরিদর্শনের পর বেড়েছে সেবার মান
মাশরাফি বিন মর্তুজা তার নির্বাচনী এলাকা নড়াইল সদর হাসপাতালে দ্বিতীয়বার ঝটিকা (হঠাৎ) পরিদর্শনের পর হাসপাতালে বেড়েছে সেবার মান। নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক সফল অধিনায়ক, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ১৮ ডিসেম্বর নিজ এলাকার হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
হাসপাতলে সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় খুশি এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা মানুষেরা জানান, ‘১৮ ডিসেম্বর (শনিবার) মাশরাফি হাসপাতালে পরিদর্শনের পর থেকে সকল রোগীদের নিয়মিত খাবার দেওয়া হচ্ছে, বাথরুম গুলো প্রতিদিন পরিস্কার করছে পরিছন্ন কর্মীরা, আগের থেকে বেশি ওষুধ সরবারহ করা হচ্ছে হাসপাতাল থেকে, চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সময়মত হাজির হয়ে নিজ নিজ কাজ করছেন।’
শহরের দূর্গাপুর এলাকার লিটন জানান, ‘এতদিন হাসপাতলের বাথরুমে গন্ধে যাওয়া যায়নি। আজ বাথরুমে গিয়ে দেখি কোনো ময়লা নেই।’
মহিষখোলা গ্রামের আতিকুল ইসলাম জানান, আজ তাকে হাসপাতাল থেকে ৪ প্রকার সরকারি ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এর আগে এত ওষুধ কোনোদিন পাননি তিনি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক রোগীর স্বজন জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে হাসপাতাল থেকে খাবার ও ওষুধ নিয়মিত দেওয়া হয়নি। মাশরাফি হাসপাতাল পরিদর্শনের পর থেকেই এখানে চিত্র বদলে গেছে।
উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর মাশরাফি বিন মর্তুজা তার নির্বাচনী এলাকায় নড়াইল সদর হাসপাতালে ২য় বার ঝটিকা (হঠাৎ) পরিদর্শনে এসে রোগীদের খাদ্যে অনিয়ম, রোগীদের ওষুধ না দেওয়া, চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সময়মতো হাজির না হওয়া, চিকিৎসক-কর্মচারীদের ছুটি না নিয়ে অফিসে অনুপস্থিত থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পান। সে সময় রোগীরা বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন মাশরাফির কাছে। পরে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আসাদ উজ-জামান মুন্সীকে এসব ব্যাপারে ব্যাবস্থা নিতে বলেন মাশরাফি।
মাশরাফি বিন মর্তুজা সংসদ সদস্য হওয়ার ৩-৪ মাস পর ১ম বার ঝটিকা (হঠাৎ) পরিদর্শনে এসেছিলেন। তখনও বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়েছিল।
সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আসাদ-উজ-জামান মুন্সী বলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকলেও রোগীদেও সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া হয় নড়াইল সদর হাসপাতালে।’
আইএইচ/এএন