চট্টগ্রামে নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যু, স্বামীসহ আটক ২
চট্টগ্রাম নগরে স্বামীর নির্যাতনে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামীসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হত্যার শিকার গৃহবধূর নাম আঁখি (২১)। রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় নগরের সার্জিস্কোপ ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রবিবার রাতে আঁখির ভাই মো. মিজানুর রহমান (২৪) বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় স্বামী আইনজীবী আনিসুল ইসলাম, শ্বাশুড়ি ফরিদা আক্তার (৫০), স্বামীর বড় বোন হামিদা বেগমকে (৩৪) আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানা পুলিশ আঁখির স্বামী আইনজীবী আনিসুল ইসলামসহ দুইজনকে রবিবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
নিহতের ভগ্নিপতি আবুল কালাম অভিযোগ করেছেন, আঁখিকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেড় বছর আগে আইনজীবী আনিসুল ইসলামের সঙ্গে আঁখির বিয়ে হয়। দুজনের বাড়ি বাঁশখালীর জলদি গ্রামে। বিয়ের পর তারা নগরীর চান্দগাঁও থানার পাঠানিয়া গোদা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। বিয়ের পর থেকে থেকে স্বামী আনিসুল যৌতুকের জন্য আঁখির উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। ছয় মাস আগে তার ফোন কেড়ে নেয় আনিসুল। কয়েকদিন আগে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। পেটে লাথি মারলে গুরুতর আহত হয় আঁখি। রবিবার আঁখিকে নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন, আঁখির পেটের নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে গেছে।
হাসপাতালটি জটিল অপারেশন করতে অপরগতা প্রকাশ করলে রবিবার সকালে আঁখিকে পাঁচলাইশের সার্জিস্কোপ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সন্ধ্যায় আঁখির মৃত্যু হয়।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে আমরা ক্লিনিক থেকে আঁখির লাশ উদ্ধার করেছি। স্বামী এবং তার খালাতো ভাইকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। পরিবারের অভিযোগ, আঁখিকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে স্বামী। তাদের বাসা এবং নির্যাতনের ঘটনাস্থল যেহেতু চান্দগাঁও থানা এলাকায়, তাই মামলার বিষয়টি দেখবে চান্দগাঁও থানা। সেখানে মামলা হবে।’
এ ব্যাপারে সোমবার চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় আঁখির ভাই মিজানুর রহমান তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আগেই স্বামী আনিসুল ইসলামকে পুলিশ আটক করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
টিএস/এএন