শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চট্টগ্রামে বেহাল সড়কে দুর্ভোগ চরমে

চট্টগ্রাম নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর এখন বেহাল অবস্থা। চলতি মাসের শুরুতে ভারী বর্ষণের কারণে জলমগ্ন হয়ে পড়ে নিচু এলাকা। কিন্তু বৃষ্টিপাত থামলেও সড়কের দুরবস্থা, খানাখন্দ, ক্ষতচিহ্ন এখনও চোখে পড়ছে। ফলে সড়কটিতে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। পথচারীরাও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গেল ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় বৃষ্টিপাত। ৭ ডিসেম্বর কয়েক ঘণ্টার ভারী বর্ষণে নগরীর নিচু এলাকার সড়ক তলিয়ে যায়। ৮ ডিসেম্বর বৃষ্টিপাত থামে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার ভারি বর্ষণে সড়কগুলো বেহাল হয়ে পড়ে। শুকনো মৌসুমকে সামনে রেখে শুরু হওয়া সড়ক সংস্কার কাজের গতিও শ্লথ হয়ে গেছে। তবে ভাঙা সড়ক দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দিয়েছে সিটি করপোরেশন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি মাসের শুরুতে ঘূর্ণিঝড় ও নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম নগরীতে সড়কগুলোর কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এখন আমরা সড়কের মেরামত কাজ অব্যাহত রেখেছি। বৃষ্টিতে নির্মাণ সামগ্রীর কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এখন বৃষ্টিপাত নেই। পুরোদমে সংস্কার কাজ চললে সড়কের দুরবস্থা থাকবে না।’

সরেজমিন নগরীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ছোট ছোট গর্তের কারণে বড় সড়কের পরিধি ছোট হয়ে গেছে। এতে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। ইট পাথর বিটুমিন উঠে গেছে সড়কের বিভিন্ন স্থানে। নগরীর পোর্ট কানেকটিং সড়ক, ডি.টি রোড, বহদ্দারহাট, ঈদগাহ, চকবাজারসহ প্রতিটি সড়কে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গাড়ি চালকদের। গর্তের কারণে বারবার গাড়ি আটকে যায়। এতে তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট।

অভিযোগ রয়েছে, সড়কগুলো তৈরি করা হয়েছে নিম্নমানের ইট, পাথর, বিটুমিন দিয়ে। এতে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বেহাল হয়ে পড়েছে। প্রতি বছর নগরীতে ভারী বৃষ্টিতে সড়কের দুরবস্থা দেখা দেয়।

নগর পরিকল্পনাবিদ আশিক ইমরান বলেন, ‘সড়ক সংস্কার কিংবা তৈরির সময় ভালো মানের বিটুমিনসহ অন্য উপকরণ দেওয়া হয় না। বলতে গেলে মানহীন উপকরণ দিয়ে চলে সংস্কার কাজ। তাতে টানা বৃষ্টির ধকল সইতে পারে না অধিকাংশ সড়ক। মুহূর্তেই সড়কের চিত্র পাল্টে যায়। ভারী বৃষ্টিতে সড়কগুলো যানবাহন চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে।’

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘জনগণের দুর্দশা লাঘবে ভাঙা সড়কগুলো দ্রুত মেরামত করা হবে। যাতে চরাচলে কোনো সমস্যা না হয়।’

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সিটি করপোরেশনের আওতাধীন নগরীতে এক হাজার কিলোমিটারের বেশি সড়ক রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো তাৎক্ষণিক মেরামত কাজ পরিচালনার নিয়ম আছে। কিন্তু মেরামত চলে ঢিমেতালে। বহু সড়কে মেরামত কাজ পরিচালনা করা হয়নি। আবার বেহাল সব সড়কে মেরামত কাজ একসঙ্গে পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। তাই গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে এখনও খানাখন্দ চোখে পড়ছে। চলতি সপ্তাহে মেরামত কাজ শেষ করা হবে।

এদিকে নগরীর অভ্যন্তরে ভাঙা রাস্তার চলাচলের কারণে লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দেওয়ানহাট এলাকায় নিয়মিত চলাচল করেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী জাহিদ হাসান সবুজ। তিনি বলেন, ‘আগ্রাবাদমুখী সড়কের দুই পাশের সড়কের অবস্থা খুব নাজুক। রাস্তার অবস্থা এতো যে বেহাল অবস্থা চলাফেরা করতে ভয় লাগে। দেওয়ানহাট থেকে আগ্রাবাদ গেলে সারাদিন আর কিছু করতে হয় না। ভাঙা রাস্তায়, যানজটে সময় সব চলে যায়। সিটি বাসগুলো চলে ঝুঁকি নিয়ে। সড়কে ভাঙা অংশে চলার সময় দেখলে মনে হয় এখনই উল্টে যাবে।’

নগরীর হালিশহর এলাকার শিক্ষার্থী নুর নবী রবিন বলেন, ‘হালিশহর থেকে রিয়াজুদ্দিন বাজার গেলে দেখা যায় রাস্তার কি করুণ দশা। ভাঙা রাস্তায় বাসে চললে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। বাস এমন কাত হয় মনে হয় বাস এখনই উল্টে যাবে।

নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসিন্দা নুর হোসেন বলেন, ‘বহদ্দারহাট থেকে সিএন্ডবি রাস্তার মাথা সড়কের অবস্থা আরও নাজুক। শীতকালেও বর্ষার দিনের মতো অবস্থা। রাস্তায় ছোট-বড় গর্তে পানি জমে আছে। অধিকাংশ অংশে কাদা জমে দুর্ভোগ বাড়িয়েছে।’

টিএস/এএন

Header Ad
Header Ad

জেসিও আমিনুল ইসলামের বক্তব্য তার একান্ত ব্যক্তিগত: আইএসপিআর

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) আমিনুল ইসলামের বক্তব্যকে তার একান্ত ব্যক্তিগত মন্তব্য বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) আইএসপিআরের পরিচালকের পক্ষে সহকারী পরিচালক সাইদা তাপসী রাবেয়া লোপা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আমিনুল ইসলাম এসসিপিও (জেসিও)-এর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি টিম মোতায়েন করা হয়। এ সময় অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের নিকট আমিনুল ইসলাম একটি বিবৃতি প্রদান করেন যা তার একান্ত ব্যক্তিগত মন্তব্য। বিবৃতিটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অফিসিয়াল বিবৃতি নয়।

Header Ad
Header Ad

৯৯৯ থেকে কল এলে সাবধান!

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে বিকাশ বা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নাম্বার জানতে চাওয়া হচ্ছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ পরিস্থিতিতে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ও ব্যাংকের কার্ডের পিন নাম্বার শেয়ার না করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানান, ৯৯৯ থেকে কখনোই কোনো ব্যক্তির মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের (বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি) পিন নম্বর অথবা ব্যাংকের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পিন নাম্বার জানতে চাওয়ার কোন সুযোগ নেই। ৯৯৯ নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করে থাকে।

মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ও ব্যাংকের কার্ডের পিন নাম্বার কারো সাথে শেয়ার করবেন না। এ ধরনের প্রতারকচক্র থেকে সতর্ক থাকা ও তাদের সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট থানা বা ৯৯৯ নম্বরে জানাতে জনগণকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

আগেই সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা, ব্যবস্থা নেয়নি বিমানের কর্তারা

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে বিমানের সিটের নিচ থেকে ২০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

একের পর এক বিমানের ভেতরে বিভিন্ন স্থানে মিলছে অবৈধ সোনা। বিমানে এসব সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে দেড় মাস আগেই এয়ারলাইন্সগুলোকে সতর্ক করেছিল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। গত ১১ নভেম্বর সংস্থাটির মহাপরিচালক সৈয়দ মুশফিকুর রহমানের স্বাক্ষরে দেওয়া চিঠিতে দেশি-বিদেশি বিমানে চোরাচালান রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।

তবে, এ সতর্কতার পরও বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর বাংলাদেশ বিমানের একটি সিটের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকানো ২০টি সোনার বার উদ্ধার করে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চোরাচালানের উদ্দেশ্যে উড়োজাহাজের বিভিন্ন অংশে সোনা লুকিয়ে আনা হয়। ধরা পড়লে স্বর্ণ আটক করা হলেও যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

তবে, সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের কর্মী বা কর্মকর্তারা জড়িত না থাকলে চোরাচালানের এই পদ্ধতি কার্যকর হওয়া অসম্ভব। তাই এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষকে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।

উড়োজাহাজে সোনা লুকানোর জন্য সিটের নিচ, বাথরুম, পাইপের ভেতর, কেটারিং এরিয়া বা লাগেজ সংরক্ষণস্থল ব্যবহৃত হয়। এ ক্ষেত্রে এয়ারলাইনসের কর্মীদের সহযোগিতা থাকার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করে শুল্ক গোয়েন্দা।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, আমরা এয়ারলাইনসগুলোকে আগেই সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু এরপরও চোরাচালানের ঘটনা ঘটায় বিমান জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ চলছে।

এই ঘটনায় দুবাইফেরত একটি উড়োজাহাজ জব্দ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। চোরাচালান প্রতিরোধে গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করা হবে বলে তিনি জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জেসিও আমিনুল ইসলামের বক্তব্য তার একান্ত ব্যক্তিগত: আইএসপিআর
৯৯৯ থেকে কল এলে সাবধান!
আগেই সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা, ব্যবস্থা নেয়নি বিমানের কর্তারা
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: জাতীয় নাগরিক কমিটি
মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং  
ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি