মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ | ২৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

রাজশাহীর হোটেল-রেস্তোরাঁয় যায় মৃত ছাগলের মাংস

রাজশাহীর বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয় সরবরাহ করা হয় মৃত ছাগলের মাংস। রুগ্ন ছাগল কেনার পর মারা গেলেও সেগুলোকে জবাই করে মাংস করা হয়। শুধু হোটেল-রেস্তোরাঁয় নয়, ঠিকাদারের মাধ্যমে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং কারাগারেও কম দামে এসব মাংস সরবরাহ করা হয়।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এমন একটি চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযানে চারজন কসাই ও মাংস দোকানীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছে থেকে ১৫০ কেজি মৃত ছাগলের মাংস ও মৃত জবাইকৃত চারটি ছাগল এবং অসুস্থ-রুগ্ন ২৭টি জীবিত ছাগল জব্দ করা হয়েছে।

শনিবার রাতে রাজশাহীর বালিয়ার মোড়ে অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার চারজন হলেন- রাজশাহী নগরীর দরগাপাড়া এলাকার মশিউর রহমান আপেল, মো. ফায়সাল, মো. কায়েস ও ফয়সাল হোসেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরায় ৪০০ টাকা কেজি দরে এসব মাংস সরবরাহ করা হতো। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারদেরও সরবরাহ করা হতো এসব মাংস। দীর্ঘদিন ধরেই এ কাজ করে আসছিলেন বলে তারা পুলিশকে জানিয়েছেন।

নগর ডিবি পুলিশের উপ-কমিশনার আরেফিন জুয়েল জানান, চক্রটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে রুগ্ন ছাগল কিনতেন। রাজশাহী আনার পথে কিছু ছাগল মারা যায়। তখনও এগুলো ফেলে না দিয়ে গলা কাটা হতো। তারপর মাংস করে সরবরাহ করা হতো। হোটেল-রেস্তোঁরার পাশাপাশি হাসপাতাল ও জেলখানার ঠিকাদারকে এগুলো দেওয়া হতো।

তিনি জানান, অভিযানে মাংস, জবাই করা ছাগল ও জীবিত ছাগল সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের স্যানিটারী ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলামকে দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়। তিনি জানান, ছাগলগুলো মারা যাওয়ার পর জবাই করা। মাংসগুলোও মৃত ছাগলের। তাই সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান আল-মারুফ অভিযুক্ত মশিউর রহমান আপেল ও মো. ফায়সালকে ৮০ হাজার টাকা করে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

এসব মাংস কারাগারে ঢোকার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, ‘আমাদের এখানে মাসে একটি ছাগি নেওয়া হয়। সেটি আমাদের সামনে এনেই জবাই করা হয়। এখানে এ ধরনের মাংস আসার সুযোগ নেই।’

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘রোগীদের ডায়েটে শুধু মাছ এবং মুরগির মাংস থাকে। গরু বা খাসির মাংস থাকে না। তবে বিশেষ দিনগুলোতে রোগীদের উন্নত খাবার পরিবেশন করতে হয়। সেদিন ঠিকাদারকে আমাদের হাসপাতালে খাসি নিয়ে আসতে বলা হয়। আমাদের সামনে সে খাসি জবাই করে আমরা মাংস নিয়ে থাকি। এখানে মৃত ছাগলের মাংস আনার সুযোগ নেই।’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান আল-মারুফ জানান, হোটেল-রেস্তোরায় এ ধরনের মাংস সরবরাহ করার যে তথ্য পাওয়া গেছে সেটি তারা এখন আরও ভালোভাবে খতিয়ে দেখবেন।

রাজশাহী সিটি করপোরশনের ভ্যাটেরিনারি সার্জন ডা. ফরহাদ উদ্দীন বলেন, ‘বাজারে যখন পশু জবাই করা হয় তখন সেখানে আমাদের লোক থাকে। রুগ্ন পশু জবাই কিংবা বিক্রি করার সুযোগ নেই।’

এসএসকে/এএন

Header Ad
Header Ad

ম্যাক্স ও তমা গ্রুপের চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (বামে) এবং তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ, তার স্ত্রী মিসেস কানিজ ফাতেমা, তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান ভূঁইয়া, তার মেয়ে রাসনাত তারিন রহমান এবং ছেলে মুকিতুর রহমানের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞার আবেদনটিতে বলা হয়েছে, ম্যাক্স গ্রুপ ও তমা গ্রুপের পরিচালকদের বিরুদ্ধে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, ভুয়া এলসি খুলে টাকা পাচার এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে এবং এটি রাষ্ট্রের স্বার্থে এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অভিযোগ অনুসন্ধানকালে জানা গেছে, অভিযুক্তরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন এবং তাদের মধ্যে অনেকের বাংলাদেশ ছাড়াও অন্য দেশের নাগরিকত্ব থাকতে পারে। বিশেষ করে গোলাম মোহাম্মদ একবার বিদেশে যাওয়ার সময় এয়ারপোর্ট থেকে বিদেশি পাসপোর্টসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এসব পরিস্থিতির কারণে, যদি তারা বিদেশে পালিয়ে যান, তবে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত বা দীর্ঘায়িত হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, ইমাম গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তারকৃত মুফতি এবাদুল ইসলাম ফরিদী। ছবি: সংগৃহীত

ফেসবুকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে মুফতি এবাদুল ইসলাম ফরিদী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে বরিশাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সবশেষ মঙ্গলবার সকালে সাভারের আশুলিয়া থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়।

আশুলিয়া থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার একটি ফেসবুক পেইজে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও বিএনপির যৌথ করণীয় বিষয়ে লেখা প্রকাশিত হয়। এবাদুল ইসলাম তার ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে ওই লেখার কমেন্টস বক্সে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও অপমানজনক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দিন বিকেলে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আতাউর রাহিম ফেসবুকে বিষয়টি দেখতে পান। তিনি সোমবার রাতে আশুলিয়া থানায় বাদী হয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

মামলার বাদী আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র সহ–সভাপতি আতাউর রাহিম এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৫ এপ্রিল ওই ইমাম তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্টের কমেন্ট বক্সে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।

তিনি জানান, ওই কমেন্ট নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। খালেদা জিয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। এ কারণে তিনি এই ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, মামলা করার পর সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে বরিশালের উজিরপুর থেকে এবাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বদলে গেল বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ও পশ্চিম থানার নাম

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ও পশ্চিম থানা। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ পুলিশের দুই থানার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। দুটি থানা বঙ্গবন্ধু সেতু প্রান্তে অবস্থিত। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-২ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে নাম পরিবর্তনের প্রজ্ঞাপনে জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে সই করেন সিনিয়র সহকারী সচিব তৌছিফ আহমেদ। যে দুটি থানার নাম পরিবর্তন হলো-

টাঙ্গাইল জেলা পুলিশে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘যমুনা সেতু পূর্ব থানা’ এবং সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘যমুনা সেতু পশ্চিম থানা’।

উল্লেখ্য, এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু সেতুর নাম পরিবর্তন করে সরকার। বঙ্গবন্ধু সেতুর আনুষ্ঠানিক নাম রাখা হয় ‘যমুনা সেতু’।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ম্যাক্স ও তমা গ্রুপের চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, ইমাম গ্রেপ্তার
বদলে গেল বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ও পশ্চিম থানার নাম
ট্রেনের পাওয়ার কারে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ, শাস্তির আওতায় আসবে চালকরা
লামায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে ৯ তামাক চাষি অপহরণ
আল্লু অর্জুনের নতুন সিনেমার বাজেট ৮০০ কোটি রুপি, পরিচালনায় অ্যাটলি
ইসরাইলি হামলায় জীবন্ত পুড়ে মারা গেলেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক আহমেদ মানসুর
২৯ এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের হজ ফ্লাইট শুরু
উত্তাল ভারতে ওয়াকফ বিল আইনে পরিণত, মনিপুরে বিজেপি নেতার বাড়িতে আগুন
সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
মাকে জামায়াত রুকন অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেন তুরিন আফরোজ: অভিযোগ মায়ের
ঢাকায় আসছেন ট্রাম্প প্রশাসনের দুই কূটনীতিক
বিক্ষোভের নামে লুটপাট নিয়ে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী
ফরিদপুরে বাস দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ ৫ জন নিহত, আহত অন্তত ৩০
উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন তামিম ইকবাল
ফেসবুকে লুটের মাল বিক্রির পোস্ট, সিলেটে ১৪ জন আটক
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত
১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ
খুলনায় ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আটক ৩১ জন
স্বাধীনতা কনসার্ট সাময়িক স্থগিত করলো বিএনপি