রাজশাহীতে দু-একদিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ
ভোরে কুয়াশায় মুড়িয়ে থাকছে প্রকৃতি। বেলা কিছুটা না বাড়লে দেখা মিলছে না সূর্যের। আবার বিকালে পশ্চিমাকাশে সূর্য হেলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে আসছে তাপমাত্রা। হিমেল বাতাসও বয়ে যাচ্ছে মাঝে মাঝে। রাজশাহীর এমন আবহাওয়ায় এখন বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দু-একদিনের মধ্যে রাজশাহী অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।
গত কয়েকদিন ধরে পদ্মাপাড়ের শহর রাজশাহীতে তাপমাত্রা ধারাবাহিকভাবে কমছে। এরমধ্যে শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দু-একদিনের মধ্যে তাপমাত্রার পারদ আরও নিচে নেমে শৈত্যপ্রবাহ শুরুর আশংকার কথা জানাচ্ছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন ১৪ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে হয় ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেদিন দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পাওয়া গেছে ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে তাপমাত্রা ১৩ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতরে ছিল।
শনিবার ভোরে তাপমাত্রা কমে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। এ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয় ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে তাপমাত্রা পাওয়া যায় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীত নিবারণে ভোরে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের পরশ নিচ্ছে মানুষ। ভিড় বেড়েছে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানেও। তবে কাপড় কিনতে না পেরে শীতে কষ্ট পাচ্ছেন ছিন্নমূল মানুষ। রেল স্টেশন, বাস টার্মিনালসহ শহরের ফুটপাতে খোলা অকাশের নিচে রাত কাটানো মানুষগুলোর পাশে এখনও গরম কাপড় নিয়ে তেমন কাউকে দাঁড়াতে দেখা যায়নি।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, ঢাকা আবহাওয়া অফিস থেকে তাদের জানানো হয়েছে যে, দু-একদিনের মধ্যে রাজশাহী অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। জানুয়ারির শুরুতে আরও কমতে পারে তাপমাত্রা।
তিনি জানান, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতরে তাকে বলে মৃদু তাপমাত্রা। এ ছাড়া ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি, ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র এবং ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রাকে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।
এসএসকে/এএন