টিপ পরায় শিক্ষক হেনস্তা, অপু উকিলের প্রতিবাদ
কপালে টিপ পরায় তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দারকে হেনস্তা করার ঘটনায়,বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
শনিবার ঘটনার একদিন পর রবিবার (৩ এপ্রিল) সকালে অপু উকিল নিজের কপালে টিপ দিয়ে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেছেন।
সেই পোস্টে অপু উকিল লিখেছেন, টিপের সঙ্গে এই উপমহাদেশের অনেক প্রাচীন সম্পর্ক রয়েছে। আমি কপালে টিপ পরতে খুব ভালোবাসি। শুধু ভালোবাসাই নয়, আমি বিশ্বাস করি, টিপের সঙ্গে আমার সংস্কৃতি এবং আস্থা জড়িয়ে রয়েছে।
তার সেই পোস্টে জমা পড়েছে নেটজনতার প্রশংসাসূচক বাক্য। বেশির ভাগ নেটজনতা তার এই প্রতিবাদকে সম্মতি জানিয়েছেন। পাশাপাশি সাধুবাদ ও দিয়েছেন।
২ এপ্রিল সম্প্রতি রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার অভিযোগ করেন, রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে হেঁটে কলেজে যাওয়ার সময় হঠাৎই করে পাশ থেকে মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন 'টিপ পরছোস কেন' বলেই বাজে গালি দেন তাকে। মধ্যবয়সী ওই ব্যক্তির পরনে ছিল পুলিশের পোশাক।
ঘটনার প্রতিবাদ জানালে একপর্যায়ে কলেজ শিক্ষিকার পায়ের ওপর দিয়ে বাইক চালিয়ে চলে যান অভিযুক্ত ব্যক্তি। পরে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে অভিযোগ করেন লতা সমাদ্দার।
এ ঘটনায় উত্তপ্ত সোশ্যাল মিডিয়া। সচেতন মহলের নাগরিকরা তাদের অবস্থান থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে অনেকেই নিজের টিপ পরা ছবি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। নারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন পুরুষরাও। অনেক পুরুষ নিজের টিপ পরা ছবি শেয়ার করছেন। সেই তালিকা থেকে বাদ যাননি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সংসদেও এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংরক্ষিত আসনের এমপি সুবর্ণা মুস্তাফা।
এদিকে কপালে টিপ পরায় শিক্ষককে হেনস্তা করা সেই পুলিশ কনস্টেবলকে চিহ্নিত করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৪ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
তিনি জানান, হেফাজতে নেওয়া ওই কনস্টেবলের নাম নাজমুল তারেক। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হিসেবে তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কেএফ/