মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ সুনামগঞ্জ পৌরবাসী, নিধনের নেই কোনো উদ্যোগ
সুনামগঞ্জ পৌর শহরে মশার কামড়ে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। দিন নেই, রাত নেই, প্রতিমুহূর্তেই চলছে মশার অত্যাচার। বসতবাড়ি, মসজিদ মাদ্রাসা, অফিস, দোকান, খেলার মাঠসহ সর্বত্রই মশার উপদ্রব কেড়ে নিয়েছে মানুষের স্বস্তি। মশার অত্যাচারে সুনামগঞ্জ পৌরবাসী অতিষ্ঠ হলেও সুনামগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মশা নিধনের কার্যক্রম নেই বলে অভিযোগ পৌরবাসীর।
পৌর এলাকায় মশক নিধন অভিযান না থাকায় ব্যাপক হারে মশা বংশবিস্তার করায় এর উপদ্রব বেড়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। এতে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন সুনামগঞ্জ পৌরবাসী। এছাড়া চিকিৎসকরা বলছেন, মশার কামড়ে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন থাকে, মশা নিধনে ব্যবহৃত কয়েল কিংবা কীটনাশকও বাড়াতে পারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। মশা নিধনে এখনও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পৌর শহরের একাধিক বাসিন্দা।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পশ্চিম তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা অহনা চৌধুরী ঢাকা প্রকাশকে বলেন, মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে সব সময় মশারি টানিয়ে বসে থাকা কি সম্ভব? এই শহরে কি কেউ দেখার নেই? তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, আমাদের শহরে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেলেও মশার বংশ বিস্তার রোধে পৌর কর্তৃপক্ষের ওষুধ ছিটানোর কোন খবর নেই। এখন অবস্থা এমন হয়েছে রাতে মশারি টানিয়ে ঘুমালেও মশারির মধ্যে মশা ঢুকে যাচ্ছে। এতো মশা যে কয়েল দিলেও কাজ হয় না। মশার গুণগুণ শব্দ এবং কামড় ভীষণ বিরক্ত লাগে। আমি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই পৌরবাসীর শান্তির জন্য দ্রুত মশা নিধনের ব্যবস্থা করা হোক।
একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে শহরের ষোলঘর এলাকার বাসিন্দা মঈন আল জিহাদী। তিনি বলেন, মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। বাসাবাড়ি, মসজিদে, দোকান এলাকার কোথাও এক মিনিট নিরাপদে বসা যাচ্ছে না। ঠিকমতো পড়ার টেবিলে বসতে পারছি না। কয়েল জ্বালিয়ে পড়তে বসলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। পৌরসভা থেকে এখনও মশা নিধনে ওষুধ ছিটানোর কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি, আমি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে দ্রুত মশা নিধনের ব্যবস্থা করা হোক।
পৌর এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব ও মশক নিধন অভিযান না থাকায় ব্যাপক হারে মশা বংশবিস্তার করায় এর উপদ্রব বেড়েছে জানিয়ে শহরের ধুপাখালি এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, দিনেও মশায় কামড়ায়, আর সন্ধ্যার পরে তো অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়, ড্রেইনে ছেলেপ না থাকায়ই মশার বংশবিস্তার করছে। আমার জানা মতে এখনও মশার ওষুধ স্প্রে করা হয়নি।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত ঢাকা বলেন, আমাদের কাছে মশক নিধনের ওষুধসহ মেশিন পর্যাপ্ত মজুদ আছে, পৌর এলাকায় মশক নিধন অভিযান শুরু করেছি। ধারাবাহিকভাবে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা একেক করে সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মশক নিধন ওষুধ ছিটাবো। তখন আর পৌরবাসীর দূর্ভোগ থাকবে না।
কেএফ/