বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

২ হাজার কোটি টাকা আয়ের আশা করছেন আমচাষিরা

কৃষিতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনছে নওগাঁর আমচাষিরা। চৈত্রের কড়া রোদে সোনালী রাঙা মুকুলের ভারে নুয়ে পড়েছে নওগাঁর আমগাছগুলো। কোথাও কোথাও বাঁধতে শুরু করেছে গুটি। আম বাগান পরিচর্যায় কর্মব্যস্ত চাষিরা।

এবার শীতের কুয়াশা পায়নি নওগাঁর আমের মুকুল। আবহাওয়া রয়েছে অনুকূলে। মুকুল বেশি হওয়ায় গুটি হচ্ছে প্রচুর। আর আম পাকবে রমজানের পরে। তা ছাড়া কমে এসেছে করোনার প্রকোপ। ফলে বাজারে চাহিদা থাকবে তুলনামূলক বেশি। সব মিলিয়ে এবার আমচাষিদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে নওগাঁর আম।

কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, চলতি ২০২১-২২ মৌসুমে জেলায় ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এর মধ্য আম্রপালি ৭৬ শতাংশ, বারি-৪ আম ৬ শতাংশ, আশ্বিনা ৭ শতাংশ, ফজলি ৩ শতাংশ, ল্যাংড়া ৩ শতাংশ, ক্ষিরসাপাত ২ শতাংশ, গৌড়মতি ১ শতাংশ, কাটিমন ১ শতাংশ, অন্যান্য জাতের ১ শতাংশ জমিতে আমের বাগান গড়ে উঠেছে। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৫০ মেট্রিকটন। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিকটন আম। যার বিক্রয় মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়াও গতবারের চেয়ে জেলায় এবার ৩ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ বেশি হওয়ায় উৎপাদন অন্য যে কোনো সময়ের রেকর্ড ভাঙবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।

গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে নওগাঁয় আম বাগান ছিল ২৪ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন হয়েছিল ১২ মেট্রিকটন। উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৮৫ হাজার ৯০০ মেট্রিকটন আম। যার বিক্রয় মূল্য ছিল প্রায় ১ হাজার ৪৪১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গত ২০২০-২১ মৌসুমে আম বাগান ছিল ২৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন হয়েছিল ১৩ দশমিক ৫০ মেট্রিকটন। উৎপাদন হয়েছিল ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৫ মেট্রিকটন আম। যার বিক্রয় মূল্য ছিল প্রায় ১ হাজার ৫৭০ কোটি ৩৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

চলতি মৌসুমে উপজেলা ভিত্তিক আম চাষের পরিমাণ হলো— সদর উপজেলায় ৪৪৫ হেক্টর, রানীনগরে ১১০, আত্রাইয়ে ১২০, বদলগাছীতে ৫২৫, মহাদেবপুরে ৬৮০, পত্নীতলায় ৮ হাজার ৮৬৫, ধামইরহাটে ৬৭৫, সাপাহারে ১০ হাজার, পোরশায় ১০ হাজার ৫২০, মান্দায় ৪০০ ও নিয়ামতপুরে ১ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে।

জেলার বিভিন্ন আম বাগানে সরেজমিনে দেখা গেছে, আম বাগানগুলো মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে। চারিদিকে এখন সোনালি মুকুলের আভা। মুকুলের ভারে নুয়ে পড়েছে প্রতিটি গাছ। আবার কিছু কিছু গাছে এরই মধ্যে আমের গুঁটি আসতে শুরু করেছে। ভালো ফলনের আশায় গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পারছেন বাগান মালিকরা। এ বছর আমের ফলন নিয়ে আশাবাদী জেলার কৃষক, ব্যবসায়ী ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। আবহাওয়া ভালো থাকলে চলতি বছর আমের ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তারা আশা করছেন।

এদিকে, আমের ভালো ফলন পেতে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি অফিস।

জেলার পোরশা উপজেলার আম বাগান মালিক মাসুদ রানা জানান, এবার গাছে বিপুল পরিমাণ মুকুল এসেছে। কিছু কিছু গাছে গুঁটিও আসতে শুরু করেছে। তাই ফলন ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আবহাওয়াটা একটু ভালো থাকলেই হয়।

সাপাহারে কুচকুড়িলিয়া গ্রামের আম বাগান মালিক মুন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমি গত বছর ১২ বিঘা জমিতে আম চাষ করেছি। এবার নতুন করে আরও ১০ বিঘা জমিতে আম্রপলি, ক্ষিরশা, ল্যাংড়া জাতের আম গাছ লাগিয়েছি। বাগানের সব গাছে মুকুল আসছে। এ সময় গাছে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা ও মুকুল ভালো থাকার জন্য কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। এ ছাড়া গাছের গোড়ায় গর্ত করে সেখানে সার দেওয়া।’

সাপাহারের বরেন্দ্র অ্যাগ্রো ফার্মের সোহেল রানা বলেন, ‘১০৭ বিঘা জমি লিজ নিয়ে আমের বাগান তৈরি করেছি। গতবারের তুলনায় এবার সবার বাগানে আম মুকুল অনেক ভালো এসেছে। গাছে মুকুল যেন ঝড়ে না পরে সেজন্য সার, কিটনাশক ও সেচ দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় ১০০০ আম্রপালি জাতের গাছের আমে ফ্রুট ব্যাগিং করা হবে বিদেশে আম রপ্তানির জন্য। পাশাপাশি রপ্তানি পণ্য হিসেবে আম উৎপাদনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিয়মিত মাঠপর্যায়ে সচেতন করে যাচ্ছে। এ ছাড়া বাঙালি বা ভারতীয় উপমহাদেশের জনগণ যেসব দেশে থাকেন, সেসব দেশে এ বাগান থেকে আম রপ্তানি হয়ে থাকে। এর বাইরে উন্নত দেশগুলোতে আম রপ্তানির বিষয়ে সরকার আরও উদ্যোগী হবেন।’

একই উপজেলার নোচনাহার গ্রামের আমচাষি মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘৩৫ বিঘা জমি বিভিন্ন মেয়াদি লিজ নিয়ে আম বাগান করেছি। তাতে আম্রপালি, বারি ফোর, গৌড়মতি ও আশ্বিনা জাতের ৩ হাজার ৫০০ অধিক আম গাছ রয়েছে। এবারে গাছে যথেষ্ট পরিমাণ আমের মুকুল এসেছে। মুকুল রক্ষায় গাছের পরিচর্যায় বিভিন্ন ধরনের সুষম খাবারসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

নওগাঁ জেলা কৃষিম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শামসুল ওয়াদুদ ঢাকাপ্রকাশকে জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আম গাছে মুকুল বেশ ভালো আসছে। এ সময় সাধারণত হুপার পোকার আক্রমণ করে। এ ছাড়া বিচিং পদ্ধতিতে সেচ না দেওয়ার কারণে মুকুল শুকিয়ে ঝরে পড়ে। এগুলো থেকে রক্ষা পেতে ও ফলন ভালো পেতে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আমচাষিদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আমচাষিরাও সে মোতাবেক গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো থাকলে এবারে আমের ভালো ফলনের আশা করা হচ্ছে। এবছর আমচাষ বেশি হওয়ায় উৎপাদন অন্য যে কোনো সময়ের রেকর্ড ভাঙবে বলে মনে হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে আম রপ্তানির চিন্তা আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা প্রকাশকে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে স্বল্প পরিসরে আম বিদেশে রপ্তানি হয়েছিল এ জেলা থেকে। কিন্তু এবার আম রপ্তানির সব নির্দেশনা মেনে বড় পরিশরে আম বিদেশে রপ্তানির চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।

এসএন

Header Ad
Header Ad

রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইসকন নিষিদ্ধের বিষয়টি দেখছে

ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। এটা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে, আদালতের আর কিছু করার নাই। ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে একটি রিট শুনানিকালে হাইকোর্টের এক বিচারক এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান এই বেঞ্চে ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে আবেদনটি করেন। চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি অবস্থা জারির আর্জিও তিনি জানান। আবেদনের শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের মতামত জানতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে ডেকে পাঠায় আদালত। পরে এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

এদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি এখন সরকারের ‘টপ প্রায়োরিটি’। এরই মধ্যে এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন এ তথ্য জানান।

তারা বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।

গতকাল বুধবার ইসকন কি ধরনের সংগঠন, এই সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন আছে কিনা, কারা এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা, তা জানতে চান হাইকোর্ট। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে এ তথ্য আদালতে জানাতে বলা হয়। ওইদিন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

Header Ad
Header Ad

৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক

৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ছবি: সংগৃহীত

নয় দফা দাবিতে আগামী বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন এ পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর।

এ সময় দাবি বাস্তবায়নে গড়িমসি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে একজন যুগ্মসচিবের অপসারনের দাবিও জানান তিনি। দাবি আদায়ে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, “দাবি আদায়ে আমরা মাঠে আছি। গড়িমসি না করে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পতিত স্বৈরাচারের আমলে চাকরি হতে অন্যায়ভাবে আরোপিত সকল আদেশ প্রত্যাহার ও ভূতাপেক্ষ জৈষ্ঠতা প্রদানসহ নিয়মিত চাকরির ন্যায় ভূতাপেক্ষভাবে আর্থিক সুবিধাদি প্রদানের নির্দেশনা প্রদান। কর্মচারী প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় পে-কমিশন গঠন এবং বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, ন্যায় বিচার ও সমতার ভিত্তিতে বিদ্যমান ২০টি গ্রেডের পরিবর্তে ১০টি বেতন গ্রেড নির্ধারণ করা। পূর্ণাঙ্গ পে-কমিশন বাস্তবায়নের পূর্বে সকল স্তরের কর্মচারীদের ৫০% মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়ন এবং ২০তম গ্রেডে (অফিস সহায়ক) কর্মরতদের বেতন গ্রেড ১৭তম গ্রেডে উন্নীত করা। ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা।

পূর্বের ন্যায় ১০০% পেনশন গ্রাচুইটি প্রথা চালু করা, সকল স্তরের কর্মচারীদের জন্য পূর্বের ন্যায় টাইম-স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক আয়সীমা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়করমুক্ত রাখা, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ন্যায় সচিবালয় ভাতা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ন্যায় রেশনিং প্রথা চালু করা।

চাকরির বয়সসীমা ৫৯ বছরের ০৩ বছর বর্ধিত করে ৬২ বছর নির্ধারণ করা, সচিবালয় কর্মচারীরা তাদের কর্মস্থলের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ও যৌক্তিক পদনাম প্রদান এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরমভাবে বঞ্চিত বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য প্রাপ্যতানুযায়ী সংখ্যানুপাতে পদ সংরক্ষণের আদেশ জারি।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর, সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা মো. তোয়াহা, মো. শাহীন, বেলাল হোসেন, সুমন, সিনিয়র নেতা মাহে আলম তৌহিদুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি নুরুজ্জামান, জনপ্রশাসনের প্রতিনিধি আরিফ হোসেন ও নজরুল ইসলামসহ প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকার ইসকনের

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (বামে) এবং চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)-এর সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী জানিয়েছেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার কর্মকাণ্ড ও বক্তব্য একান্তই তার নিজস্ব, যার কোনো দায়ভার ইসকন নেবে না।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর স্বামীবাগ আশ্রমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ঘিরে ভারতের মন্তব্যে বা অবস্থানের সঙ্গেও ইসকনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কোনো দেশের কোনো ব্যক্তি চিন্ময়কে নিয়ে কি উদ্যোগ নিলো বা কি বললো তার জন্য ইসকন দায়ী নয়।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম আইনজীবী হত্যায় ইসকনকে অন্যায়ভাবে জড়িয়ে মিথ্যাচার চলছে। একই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনায়ও ইসকন দায়ী নয়। শিশুর সঙ্গে খারাপ কাজসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে অনেক আগেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২৫ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর বিবৃতি দেয় ইসকন। যেখানে ভারতকে আলোচনা করতে বলা বাংলাদেশের সঙ্গে। পরদিন তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তুললে সেখানে হট্টগোল করে ইসকনের সমর্থকরা। ভাঙচুর চালানো হয় মসজিদে। এ সময় একজন আইনজীবীকে তুলে নিয়ে কুপিয়েও হত্যা করে ইসকন সদস্যরা। যদি এসব বিষয় এখন অস্বীকার করছেন তারা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইসকন নিষিদ্ধের বিষয়টি দেখছে
৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকার ইসকনের
ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে: সোহেল তাজ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে
বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
রাজধানীতে হাসনাতকে আবারও ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা
থমকে গেছে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান, তদন্তে এস আলমের প্রভাব
ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রামের পুরোহিত আশীষ আটক
নাটকীয় হারে গ্লোবাল সুপার লিগ শুরু রংপুরের
বাংলাদেশের নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যে কাজ করার আহ্বান মাহাথিরের
ট্রাম্পের ক্যাবিনেট সদস্যদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে সরকার
গাজায় একদিনে আরও ৩৩ জন নিহত
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেকে গুলি করল মিয়ানমার নৌবাহিনী
সম্পত্তির জন্য বাবাকে তালাবদ্ধ করে রাখলো মেয়েরা
হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক
বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল
দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা