দুই স্কুলছাত্রকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত, গ্রেপ্তার ১
বরগুনার বামনায় মোবাইল ফোন নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে দুই ভাইকে গ্যারেজে আটকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা জড়িত সন্দেহে সেলিম হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বশিরুল আলম।
গ্রেপ্তার সেলিম খুলনার খালিশপুরের শেখ ওমর আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি রামনা ইউনিয়নে শশুর বাড়িতে থাকেন।
নির্যাতনের শিকার দুই ভাই হলো- উপজেলার গোলাঘাটা গ্রামের আ. হানিফ হোসেনের ছেলে নাঈম (১১) ও মো. মানিক (১৩)। রামনা শের-ই বাংলা সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাঈম এবং তার বড় ভাই একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মানিক। বর্তমানে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন তারা।
এ ঘটনায় বুধবার ওই দুই শিক্ষার্থীর নানা আ. হাই লাল মিয়া বাদি হয়ে বামনা থানায় দুইজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। আসামিরা হলেন- মো. সেলিম হোসেন ও রামনা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মো. আরাফাত।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী নাঈম জানায়, মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর আগ মুহূর্তে পেছন থেকে নাঈমের এর স্কুল ব্যাগে ঘুষি মারে সহপাঠি শান্ত (সেলিম হোসেন এর ছেলে)। ঘুষিতে ওই স্কুল ব্যাগে থাকা একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ভেঙে যায়। মোবাইল ভেঙে যাওয়ার বিচার ও ক্ষতিপূরণ চাইতে নাঈম ওই দিন স্কুল ছুটির পরে রামনা লঞ্চঘাট এলাকায় সহপাঠি শান্তর বাবার দোকানে যায়। এ নিয়ে তর্কের একপর্যায়ে শান্তর বাবা সেলিম হোসেন ও মামা আরাফাত নাঈমকে চর থাপ্পড় মারে।
ঘটনাটি নাঈমেরর বড় ভাই মানিক শুনে সেখানে গেলে তারা দুজনকে একটি দোকানে আটকে রেখে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। খবর পেয়ে রামনা শেরই বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু হানিফ ঘটনাস্থলে গেলে তার উপরেও চড়াও হন শান্তর বাবা ও মামা। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থী নাঈম ও মানিককে ছাড়িয়ে আনেন শিক্ষক আবু হানিফ।
শিক্ষক আবু হানিফ বলেন, মারধরের খবর শুনে গিয়ে দেখতে পাই ওদের দুজনকে গ্যারেজে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। পরে আমি তাদের কাছ থেকে নাঈম ও মানিককে ছাড়িয়ে আনি।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বশিরুল আলম বলেন, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে দোষীকে আটক করেছি। পরে মামলা নিয়ে তাকে বুধবার জেল হাজতে পাঠিয়েছি। বাকি আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এসএন