শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | ৩০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নির্বাচনী গণসংযোগে গিয়ে হিটস্ট্রোকে আ.লীগ নেতার মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

বরিশালের বাকেরগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ শেষে বাড়ির ফেরার পথে হিটস্ট্রোকে আ.লীগ নেতা রিয়াজুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে কলসকাঠী বাজারে অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আ.লীগ নেতা রিয়াজুল ইসলাম বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের কলসকাঠী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কলসকাঠি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নেছার খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে কাপ-পিরিচ মার্কার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাজিব আহমেদ তালুকদারের সঙ্গে কলসকাঠীতে গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন রিয়াজুল ইসলাম। তিনি কলসকাঠি ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

তিনি বলেন, গণসংযোগ শেষে প্রখর রোদে বাড়ি ফেরার পথে হিটস্ট্রোকে অসুস্থ হয়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

Header Ad

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঢাকা সিটি কলেজ, কী হবে ১০ হাজার শিক্ষার্থীর?

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঢাকা সিটি কলেজ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা সিটি কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিঘ্নিত হচ্ছে। অভিভাবকরাও সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে হতাশায় পড়েছেন। শুধু তাই নয়, তারা কারও কাছে অভিযোগ করারও সাহস পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে ‘অবৈধভাবে’ নিজেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেওয়ার অভিযোগে অধ্যাপক মো. নেয়ামুল হক ও ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমানের পদত্যাগের দাবিসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিল শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে ১৮ দিন (শুক্রবার ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত)। শিগগিরই কলেজ খুলবে এমন কোনও নিশ্চয়তাও নেই।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, আগের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বেদার উদ্দিনকে জোর করে পদত্যাগ করিয়ে অধবৈধভাবে পদ দখল করেন অধ্যাপক মো. নেয়ামুল হক। তিনিই উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেন মোখলেছুর রহমানকে। আন্দোলনের কারণে ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান পদত্যাগ করেছেন। তবে নেয়ামুল এখনও পদত্যাগ করেনি।

গত ২৮ অক্টোবর পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করে অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের অপসারণ, বৈধ অধ্যক্ষকে ফিরিয়ে আনাসহ কয়েক দফা দাবিতে প্রতিষ্ঠানের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। পরদিনও ক্লাস পরীক্ষায় অংশ না দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে নেন তারা। গভর্নিং বডি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা। তবে তারা ক্লাসে ফেরেননি এবং পরীক্ষায়ও অংশ নেননি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না এবং পরীক্ষাতেও অংশ নেবে না বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

এভাবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত গড়ালে ঢাকা সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষ ওইদিনই নোটিশ দিয়ে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। নোটিশে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা জানানো হয়। এরই মধ্যে জোর করে পদে বসা ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান পদ ছেড়ে দেন।

অভিযোগ উঠেছে, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদ দখল করতে কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মো. নেয়ামুল হক বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নিয়ে এসে একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন গত ৭ আগস্ট। অধ্যক্ষ মো. বেদার উদ্দিনকে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়া হয়। ঘটনার পর ওই দিনই সন্ধ্যায় (৭ আগস্ট) নেয়ামুল হক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব বুঝে নেন। সেদিনই কলেজের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক মোখলেছুর রহমানকে নিয়োগ দেন কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের চেয়ারে বসেই নেয়ামুল হক নোটিশ জারি করেন পরদিন ৮ আগস্ট জরুরি সভা করার জন্য।

অন্যদিকে ৮ আগস্ট ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ’ হওয়ার কারণ দেখিয়ে গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানের কাছে এক মাসের ছুটির আবেদন করেন অধ্যক্ষ বেদার উদ্দিন। এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে অধ্যাপক কাজী নেয়ামুল হক গত ১১ আগস্ট অধ্যক্ষ এবং ‘কোনও কারণ ছাড়াই’ ছয় শিক্ষককে অফিস আদেশ দিয়ে কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

জোর করে পদত্যাগ করানোর বিষয়ে মো. বেদার উদ্দিন হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের কারেন। গত ২৭ অক্টোবর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর একটি আদেশ দেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না– তা চার সপ্তাহের মধ্যে জানাতে রুল জারি করা হয়। আদেশে আবেদনকারীর আবেদন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিতদফতরের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।

গভর্নিং বডির সভাপতি ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘উচ্চ আদালনের আদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্টরা আইনগতভাবে বাস্তবায়ন করবেন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে—শিক্ষার্থীদের দাবি, কলেজে রেগুলার অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে হবে। কিন্তু এই নিয়োগ দিতে তো সময় লাগবে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে কোনোভাবে একজন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ করার। কিন্তু তারা (শিক্ষার্থী) কোনোভাবেই মানছে না। নিয়োগ দেওয়া সময়সপেক্ষ ব্যাপর। এখন অ্যাক্টিং প্রিন্সিপ্যাল ও ভাইস-প্রিন্সিপ্যালকে সরিয়ে দিতে হবে, পদত্যাগ করাতে হবে। আমরা ভাইস-প্রিন্সিপ্যালকে পদত্যাগ করালাম এবং অ্যক্টিং ভাইস-প্রিন্সিপ্যাল দিলাম, আর প্রিন্সিপ্যাল যিনি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আছেন তিনি। যেহেতু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়ে গেছে, সেহেতু নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখন গভর্নিং বডি নিয়ে আমরা বসবো। দুই- একদিনের মধ্যে বসে সিদ্ধান্ত নেবো।

ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘মামলা করায় এখন আরও ঝামেলা হবে। আমরা অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে পারবো না। এখন আইনগতভাবে এগোবার চেষ্টা করবো।’ আপাতত অনলাইনে ক্লাস নেওয়া যায় কিনা সে আলোচনা করবো।

কয়েকজন অভিভাবক বলেন, সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছিল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। অধ্যক্ষকে সরিয়ে কলেজে সমস্যা তৈরি করা হয়েছে। এর বিরূপ ফলাফল ভোগ করছি আমরা। আমাদের সন্তানদের কথা না ভেবে পদ দখলের লড়াইয়ে কলেজটি বন্ধ করে দেওয়া হলো। আমাদের সন্তানদের শিক্ষার কী হবে ভেবে আমরা চিন্তিত।

Header Ad

জুমার নামাজ শেষে কাকরাইল ছাড়লেন সাদপন্থিরা

জুমার নামাজ শেষে কাকরাইল ছাড়লেন সাদপন্থিরা। ছবি: সংগৃহীত

নিজেদের অবস্থান জানান দিতে কাকরাইল মসজিদসহ আশেপাশের সড়কে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে মোনাজাতের পর অবস্থান ছেড়ে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন উপস্থিত মুসল্লিরা। ফলে ফাঁকা হতে শুরু করেছে কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের এলাকা।

এর আগে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে কাকরাইল মারকাজ মসজিদে শুরু হয় জুমার নামাজ এবং শেষ হয় সাড়ে ১২টায়। এরপর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে শুরু হওয়া মোনাজাত শেষে দুপুর ১টার দিকে দাওয়াতি কার্যক্রমে না থাকা সাদ অনুসারীরা কাকরাইল এলাকা ছাড়তে থাকেন।

মাওলানা সাদকে আগামী ইজতেমায় আসতে দেওয়া হবে না, জুবায়েরপন্থিদের এমন ঘোষণা ও দুই পক্ষের উত্তেজনার মধ্য দিয়ে শুক্রবার সকাল থেকেই কাকরাইল মসজিদ ও তার আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নিতে শুরু করেন সাদপন্থিরা।

কাকরাইল মসজিদ থেকে জমায়েত ছড়ায় নয়াপল্টন ও মৎস্যভবন পর্যন্ত। দুপুর ১২টার আগে হাজার হাজার লোকে পরিপূর্ণ হয়ে যায় কাকরাইল এলাকা। নিরাপত্তার স্বার্থে কাকরাইল মসজিদের পাশে, রমনা ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাওয়ার পথটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কাকরাইল এলাকায় অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

পরে তারা রাস্তার ফুটপাতে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে সাদপন্থিদের কাকরাইল এলাকায় আসা-যাওয়ার পথে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনুসারীদের চলতি পথে সেসব নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে। সেই নির্দেশনা মেনেই অনুসারী কাকরাইল ছেড়েছেন।

নির্দেশনাগুলো হচ্ছে, মৎস্যভবন থেকে শাহবাগের রাস্তা যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা যাবে, কিন্তু কোনো অবস্থান করা যাবে না। অবস্থান করা যাবে কাকরাইল মসজিদের পূর্ব এবং উত্তর ও দক্ষিণে। রমনা পার্কে কোনো সাথী প্রবেশ করবে না, কাকরাইল মসজিদের উত্তর অংশ থেকে হোটেল শেরাটন পর্যন্ত কেউ চলাচল করবে না, মসজিদ থেকে মগবাজার পর্যন্ত যাতায়াত করা যাবে, কিন্তু অবস্থান করা যাবে না। শাহবাগ থেকে টিএসসসি এবং পরে দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট মাজার পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কেউ ঘোরাঘুরি করবে না ও কোনো প্রয়োজনেই সেখানে যাবে না, মেট্রোরেল দেখার জন্য মেট্রো স্টেশনে কেউ প্রবেশ করবে না; রাস্তার আশপাশে কেউ মানবিক জরুরিরত (ইস্তিঞ্জা) পুরা করবে না; রাস্তায় কোনো ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবে না। বরং কোনো আবর্জনা দেখলে নিজ দায়িত্বে পরিস্কার করে দেবো; কোনো ভাই অসুস্থ হলে মেডিকেল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করবে; কোনো স্থানে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে শুধু জিম্মাদাররাই তাৎক্ষণিক সমাধানের চেষ্টা করবে। অপরাধীকে প্রয়োজনে প্রশাসনের হাতে সোপর্দ করবে। নিজের হাতে অবশ্যই কেউ আইন তুলে নেবো না।

এই জমায়েত ও তাবলিগে বিরোধ নিয়ে কথা হয় একাধিক সাদপন্থি অনুসারীর সঙ্গে।সহিদুল নামের একজন বলেন, তাবলিগে কোনো বিভক্তি নেই। হেফাজতে ইসলাম তাবলিগে প্রবেশ করে ঝামেলা তৈরি করেছে। আমরা আগেও এক প্লেটে খাবার খেয়েছি। আগামীতে তাবলিগে কোনো বিভক্তি থাকবে না।

মাওলানা সাদকে ইজতেমায় আসার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানান কামরুল ইসলাম নামের একজন। তিনি বলেন, প্রতিবার জুবায়েরপন্থিরা ইজতেমা করে। তারা পুরো ইজতেমা ময়দান নোংরা করে ফেলে। এবার আমরা আগে করবো। সাদ সাহেব তার বয়ানের মাধ্যমে সব বিভক্তি দূর করবেন। আগামীতে আরও বড় জমায়েত করা হবে বলেও জানান এই অনুসারীরা।

এদিকে, কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের ক্ষেত্রে তাবলিগের দুই গ্রুপের মধ্যে মাওলানা জুবায়েরপন্থিরা চার সপ্তাহ ও মাওলানা সাদপন্থিরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। সেই নিয়ম অনুযায়ী, আজ সাদপন্থিরা কাকরাইল মসজিদে অবস্থান নেন।

Header Ad

তিন মাস পর ‘গাজীপুর সাফারি পার্ক’ নামে চালু হলো সাফারি পার্ক

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ তিন মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর নতুন নামে চালু হলো গাজীপুরের সাফারি পার্ক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের নাম পরিবর্তন করে এটি এখন থেকে ‘গাজীপুর সাফারি পার্ক’ নামে পরিচিত হবে।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) পার্কটি সাময়িক সংস্কারের পর পুনরায় দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পর্যটন মৌসুম বিবেচনায় পার্কটি চালু করা হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় পার্কের মূল ফটক ভেঙে ফেলা হয়। এতে পার্কের বিভিন্ন ইভেন্টে আনুমানিক আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেই থেকে জীববৈচিত্র্যে ভরপুর পার্কটি বন্ধ ছিল।

পুনরায় চালুর বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, "দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সাময়িক সংস্কার করে সীমিত পরিসরে পার্কটি চালু করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, পর্যটন মৌসুমে এটি আবারও দর্শনার্থীদের বিনোদনে মুখরিত হয়ে উঠবে।"

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, ইজারা প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত পার্কটি বন বিভাগের অধীনে পরিচালিত হবে। তিনি বলেন, "বর্তমানে এটি ‘গাজীপুর সাফারি পার্ক’ নামে পরিচালিত হবে।"

সাময়িক সংস্কার সত্ত্বেও পার্কটি দর্শনার্থীদের বিনোদন এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঢাকা সিটি কলেজ, কী হবে ১০ হাজার শিক্ষার্থীর?
জুমার নামাজ শেষে কাকরাইল ছাড়লেন সাদপন্থিরা
তিন মাস পর ‘গাজীপুর সাফারি পার্ক’ নামে চালু হলো সাফারি পার্ক
দেশে বিনিয়োগ করলে আমরা পাশে থাকব : লন্ডনে জামায়াত আমীর
দিল্লিতে ভয়াবহ বায়ুদূষণ: বন্ধ প্রাইমারি স্কুল, অনলাইনে পাঠদান
ঢাবি ছাত্রদলের নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানাল ছাত্রশিবির
গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় আরো ৪৫ জন নিহত
জুলাই বিপ্লবের ১০০তম দিন আজ, দিনব্যাপী নানা আয়োজন
মুজিববাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা শতগুণ কঠিন : আসিফ মাহমুদ
কৃতকর্মে নেই অনুশোচনা, ক্ষমতা হারানোকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ
হালাল অর্থনীতির বিকাশে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ইন্দোনেশিয়ার
আজীবন ফ্রি চিকিৎসাসেবা পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা
টাঙ্গাইলে যুবলীগ নেতাসহ ৩ জন গ্রেফতার
এক কর্মস্থলে ৩ বছর হলেই বদলি, পরিপত্র জারি
৩১ দফা নিয়ে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মতবিনিময়
বাংলাদেশের চারদিকে কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নেই: আসিফ নজরুল
দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের নামে ৩ স্টেডিয়ামের নামকরণ
শিল্পপতিকে হত্যার পর ৭ টুকরো করে লেকে ফেলে দেন পরকীয়া প্রেমিকা
ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর মৃত্যু