রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাবার শখ পূরণ করতে হেলিকপ্টারে করে নববধূকে আনলেন ছেলে

সদ্য বিবাহিত ডাক্তার দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত

বাবার শখ ছিল ছেলে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করে পুত্রবধূ বাড়ি নিয়ে আসবে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন চিকিৎসক পুত্র তৌফিকুল ইসলাম রনি।

শবিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় প্রথবারের মতো কুয়াকাটার নববধূ চিকিৎসক নীলিমা আফরিন নওমীকে নিয়ে হেলিকপ্টার চড়ে নিজের বাড়ির পাশের মাঠে নিয়ে আসেন। এ সময় নবদম্পতিকে দেখতে ভিড় করেন স্থানীয়রা।

বর তৌফিকুল ইসলাম ও নববধূ নিলিমা আরফিন নৌমি ডাক্তারি বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন। এখন উভয় ইন্টার্ন করছেন। কুয়াকাটায় মানুষের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানালেন এ নবদম্পতি।

বর তৌফিকুল ইসলাম রনি ও কনে নীলিমা আফরিন নওমী দুজনই ঢাকার শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক। বর পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর শহরের মো. মানিক মিয়া ও মোসা. তাজিনুর বেগম দম্পতির ছেলে। কনে শরীয়তপুরের কাজিয়ারচরের মো. নুরুজ্জামান বেপারী ও নাজমুন নাহার দম্পতির মেয়ে।

বরের বোন ফারজানা আক্তার সাথী বলেন, রনি যখন ছোট তখন থেকেই কাকার স্বপ্ন ছিল ছেলে বউকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বাড়িতে আনবেন। কাকার সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হয়েছে। হেলিকপ্টারে বউ নিয়ে আসায় সকলের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।

তৌফকিুল ইসলাম রনির বন্ধু মো. শামীম বলেন, বন্ধু বিয়েতে নববধূকে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি নিয়ে এসেছে। সত্যি ভালো লাগছে। আমরা সকলে খুশি।

হেলিকাপ্টারে বউ আনার বিষয়ে চিকিৎসক তৌফকিুল ইসলাম রনি বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন থেকেই আমার বাবার খুব ইচ্ছা আমি চিকিৎসক হব এবং বিবাহের পরে আমি যেন হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে আসি। আজ বাবার ইচ্ছা পূরণ করতেই হেলিকাপ্টারে করে বউ আনলাম।

Header Ad
Header Ad

নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব ড. নাসিমুল গনি

ড. নাসিমুল গনি। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জামিলা শবনম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পদায়নের এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

ড. নাসিমুল গনি ১৯৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের একজন সৎ, দক্ষ এবং চৌকস কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। প্রখ্যাত সাংবাদিক ওসমান গণির পুত্র ড. গনি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি জামালপুরের জেলা প্রশাসক এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ইরাক ও জর্ডানে বিদেশি মিশনে কাজ করেছেন। ড. নাসিমুল গনি বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং নিপোর্টের মহাপরিচালক, জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার মো. জমির উদ্দিন সরকারের একান্ত সচিব এবং মৎস ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রাষ্ট্রপতির একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক হিসেবে সফলতার সঙ্গে কাজ করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনকালে দেশের স্কুল, কলেজ এবং মাদরাসার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় আসার পর তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

Header Ad
Header Ad

আনন্দবাজারের প্রতিবেদন

গুম করে বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা!

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসসের বরাত দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশে অপরাধে অভিযুক্ত অনেককে গ্রেপ্তার না করে গুম করে দেয়া হতো। ক্ষমতায় আসার পর এই অভিযোগ তুলেছে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার।

এবার তাদের তদন্ত কমিশন সেই সব গুমের ঘটনায় প্রতিবেশী ভারতের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে।

শেখ হাসিনা সরকারের আমলের বিভিন্ন অভিযোগের সত্য উদ্‌ঘাটনের উদ্দেশ্যে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে বাংলাদেশ। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশন সম্প্রতি একটি রিপোর্ট তুলে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের হাতে। হাসিনার আমলে গুমের ঘটনাগুলিতে ভারতের যোগের কথাই শুধু নয়, ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এখনো কিছু বাংলাদেশি বন্দি ভারতের জেলে আটকে থাকতে পারেন। দেশের আইন মহলে এই ধরনের কথা চালু আছে বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিশন।

কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে এখনও কিছু বাংলাদেশি বন্দি আটকে থাকতে পারেন। দেশের বিদেশ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আমাদের প্রস্তাব, তাদের চিহ্নিত করা হোক। কারণ, আমাদের পক্ষে বাংলাদেশের সীমানার বাইরে কিছু করা সম্ভব নয়। আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে হাসিনার ‘ঘনিষ্ঠতা’ প্রথম থেকেই ভাল চোখে দেখছে না ইউনূসের সরকার।

তাদের তদন্ত কমিশন এ-ও দাবি করেছে, দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময় করা হয়ে থাকতে পারে। সেই সব বন্দিদের সম্ভাব্য ভাগ্য সম্পর্কেও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে। এই দাবির প্রেক্ষিতে দু’টি মামলার কথা উল্লেখ করেছে কমিশন।

প্রথমত বলা হয়েছে সুখরঞ্জন বালির কথা, যাকে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে তাকে ভারতের জেলে পাওয়া যায়।

দ্বিতীয়ত, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যার অভিজ্ঞতা থেকেও ভারত-বাংলাদেশ যোগের প্রমাণ মেলে বলে দাবি। ২০১৫ সালে ঢাকা থেকে সালাউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, পরে সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন তিনি। ড. ইউনূসের কাছে গত সপ্তাহে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে বাংলাদেশের এই কমিশন।

রিপোর্টের শিরোনাম ছিল ‘সত্য উদ্ঘাটন’। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, হাসিনার আমলে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষকে গুম করা হয়েছিল। হাসিনা এবং তার একাধিক উপদেষ্টা, মন্ত্রীদের সরাসরি যোগ ছিল সে সব ঘটনায়। মূলত বাংলাদেশের এলিট ফোর্স- র‌্যাবের (র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন) মাধ্যমে গুম করানো হতো বলে দাবি করেছে কমিশন।

পরিসংখ্যান বলছে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় মোট ১৬৭৬টি গুমের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে ৭৫৮টি অভিযোগের তদন্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ২৭ শতাংশ মানুষকেই আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে যারা ফিরেছেন, তাদের পুলিশের খাতায় ‘গ্রেপ্তার’ হিসাবে দেখানো হয়েছিল। ঢাকা এবং তার বাইরে মোট আটটি গোপন বন্দিশালাও খুঁজে পেয়েছে কমিশন।

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সন্ত্রাসীদের হামলায় চারজন নিহতের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সাদপন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে দিনাজপুরের বিরামপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে তাবলীগ জামায়াতের উদ্যোগে আলেম ওলামা ও তাবলীগের সাথীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি বিরামপুর আলমি শুরা মারকায থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় ঢাকা মোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আলমি শুরা মারকায শুরা সদস্য মাওলানা আমিরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিরামপুর ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল হাকিম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি ফকরুল ইসলাম, মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা আব্দুর রউফ, মুফতি নাজিমুদ্দিন, মাওলানা এমদাদুল হকসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ওলামাগণ।

সমাবেশে বক্তারা বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের মর্মান্তিক ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা হাফিজুর ইসলাম।

পরে সমাবেশ শেষে বিরামপুর আলমি শুরা মারকাযের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রদান করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব ড. নাসিমুল গনি
গুম করে বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা!
বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস
কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের
গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ
বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত
বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
আবারও বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
সুরের জাদুতে ঢাকার মঞ্চ মাতালেন রাহাত ফতেহ আলী খান
আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক
নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল