গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, 'হে' উৎপাদনে ঝুঁকছেন খামারিরা
দিন দিন গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারিরা। আর এ থেকে রক্ষা পেতেই গবাদিপশুর খাদ্য যোগান দিতে বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে 'হে' তৈরিতে ঝুঁকছেন উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর খামারিরা।
গো-খাদ্য হিসেবে মাসকলাইয়ের খড় ব্যবহার করে 'হে' তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে বেসরকারি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এসিডিআই ভোকা। ইউএসআইডির অর্থায়নে ফিড দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ লাইফস্টক অ্যান্ড নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি প্রকল্পের আওতায় এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে পটুয়াখালীর খামারিদের মধ্যে এটি ব্যাপক সাড়াও ফেলেছে।
তৈরি করা 'হে' খামারিদের খরচ অনেকাংশে কমিয়ে এনেছে এবং ঘাসের অফসিজনে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম সংরক্ষিত 'হে' গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে খামারিদের পশুপালনে।
জাকির হোসেন নামে এক খামারি বলেন, 'হে' তৈরি সম্পর্কে জানতে পেরে খুব আনন্দিত হয়েছি এবং মাসকলাইয়ের খড় দিয়ে 'হে' তৈরি করে আমার খামারের গরুর খাবারের যোগান দিচ্ছি। বেশি দাম দিয়ে গরুর খাবার কিনতে হচ্ছে না।'
আসমা নামে আরেক খামারি জানান, 'আগে কখনো 'হে' তৈরি করিনি কিন্তু প্রশিক্ষণ নিয়ে 'হে' তৈরি করে আমার খামারের খরচ অনেকাংশে কমে গেছে। মুগডাল ঘরে তোলার পরে তা দিয়ে বেশি পরিমাণে 'হে' তৈরি করেছি এবং এই বক্স দিয়ে প্রতিবার মৌসুমে এই ফসল দিয়ে হে তৈরি করব যা গবাদিপশুর ঘাসের অসময়ে খাবারের চাহিদা মেটাবে।'
এসিডিয়াই ভোকার সিনিয়র ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর উজ্জ্বল কুমার রায় বলেন,'গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উপকূলীয় এ একাকায় কাঁচা ঘাসের অভাব দেখা যায়। কাঁচা ঘাসের বিকল্প হিসেবে 'হে' গোবাদিপ্রাণীর খাবার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে 'হে' তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে এবং ব্যাপক সাড়া মিলছে খামারিদের মাঝে।'
চলতি বছরের মে মাসে মুগডাল হারভেস্টিং এবং বাদাম গাছের খড় দিয়ে খামারি পর্যায়ে ব্যাপকভাবে 'হে' তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন পটুয়াখালী সদর, দুমকি এবং গলাচিপা উপজেলার খামারিরা বলেও জানান তিনি।
এসএন