‘মোখা’র প্রভাবে কুয়াকাটা সৈকতে আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে পটুয়াখালীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। সেই সঙ্গে সাগর উত্তাল থাকায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আছড়ে পড়ছে বড় ঢেউ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৭ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে পায়রা সমুদ্র বন্দর ও পটুয়াখালী জেলাকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চরাঞ্চলের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছে সিপিপি সদস্য ও উপজেলা প্রশাসন। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার বিতরণ চলছে।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। মোখার পূর্বাভাস পাওয়ার পর থেকেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখানকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে এবং বাতাস বইছে।
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, চরাঞ্চল ও বেড়িবাঁধ এলাকার মানুষদের মধ্যে যারা আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন তাদের শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘মোখা’র ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা রয়েছে।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মহিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের জন্য কাজ করছি। সমস্ত সাইক্লোন শেল্টার পাকা বিল্ডিং ও হোটেলগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগসহ সকল নেতা-কর্মী আমরা প্রস্তুত রয়েছি। যেকোনো পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকার জন্য।
এসআইএইচ
