বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দেওয়ায় পেল সহায়তা
পটুয়াখালীর দশমিনায় বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ায় রাকিব পেল বিভিন্ন সহায়তা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হলে দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিজা নাজ নীরা রাকিবের পরিবারের খোঁজ-খবর নেন এবং তাকে একটি উন্নতমানের কম্পিউটার প্রদান ও যুব উন্নয়ন থেকে ৬ মাসের কম্পিউটারের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল রাকিবকে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বই-খাতাসহ শিক্ষা উপকরণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ ছাড়াও বৃহস্পতিবার বহরমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগ নগদ ৫ হাজার টাকা প্রদান ও রাকিবের লেখাপড়া চালিয়ে নিতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ বিষয়ে বহরমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগ বলেন, পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারিয়ে কোনোভাবে যেন রাকিবের লেখাপড়া বন্ধ না হয়। তাই হতদরিদ্র রাকিবের লেখাপড়া চালিয়ে নিতে সহায়তা করে যাব।
এ ব্যাপারে দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিজা নাজ নীরা বলেন, ‘পরিবারটি খুবই দরিদ্র তাই রাকিবকে যুব উন্নয়নের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মক্ষম করে গড়ে তোলা হবে। যাতে ও নিজে টাকা উপার্জন করে ওর লেখাপড়ার খরচ বহন করতে পারে।’
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, পত্রিকায় দেখে বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হয়। তাই আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে রাকিবের লেখাপড়া চালিয়ে নিতে শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল বাবা ইব্রাহীম সরদারের (৪৮) লাশ বাড়িতে রেখে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে দশমিনা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসে নেহালগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী মো. রাকিব হোসেন। পরীক্ষা শেষে বাড়ি গিয়ে বাবার মরদেহ দাফনে অংশ নেয় রাকিব। পরে এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এসআইএইচ