ভোলায় আগুনে পুড়ল তুলার কারখানাসহ ৮ ঘর
ভোলায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে একটি তুলার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৩ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে তুলার কারখানার আশপাশের আরো ৭-৮টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ছাড়াও আগুন নেভানোর কাজে জড়িত থাকার সময় স্ট্রোক করে ইব্রাহিম (৪০) নামের একজন মারা যান এবং আগুন নেভাতে গিয়ে কমপক্ষে ৫/৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, মো.হোসেন মিয়ার তুলার কারখানায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুড়ো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুরো এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যে যার মতো এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট এবং প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় তারা। এ ঘটনায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি।
এদিকে আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন একই এলাকার রাঢ়ী বাড়ির আ. বারেকের ছেলে মো. ইব্রাহীম (৪০) । পরে তাকে তাৎক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্সযোগে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত ৫/৭ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকবাসী হানিফ।
এ ব্যাপারে ভোলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচলক মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, তুলা অগুন প্রজ্জলনে একটি সহায়ক শুকনো উপকরণ । তবুও আমাদের ৪টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরুপণ করা যায়নি বলে জানান তিনি।
এসআইএইচ