চাচার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ভাতিজিকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ
পটুয়াখালীর দুমকিতে এক প্রতিবন্ধী নারীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মুরাদিয়া বশিরিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মুরাদিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় দুমকি থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। এদিকে আমিনুল ইসলাম এবং ওই নারী সম্পর্কে চাচা-ভাতিজি।
ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী নারী জানান, চাচা আমিনুল ইসলামের কাছে জমির টাকা পান তিনি। সেই টাকা চাইতে গেলে আমিনুল ইসলাম নানান রকম তালবাহানা শুরু করেন। পরে টাকা দিবে বলে ঘরে আসতে বলেন। ঘরের ঢোকার সময় আমিনুল ইসলাম তার চুলের মোঠা ধরে তাকে ভেতরে নিয়ে যান। ঘরে ঢোকার পর তার ঠোঁটে কামড় ও গোপনাঙ্গে হাত দেয় চাচা আমিনুল ইসলাম। এ সময় তার ডাক চিৎকারে আমিনুল ইসলামের মা বিউটি বেগম এবং তার ভাবি রিমা আক্তার ছুঁটে আসলে তাকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
তিনি বলেন, থানায় শ্লীলতাহানীর অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ মারামারির অভিযোগ নেন কিন্তু যৌন নির্যাতনের অভিযোগ নেয়নি।
মেয়ের শ্লীলতাহানির বিচার চেয়ে ভুক্তভোগীর মা জানান, কি বলব, চাচা হয়ে আমিনুল কিভাবে আমার মেয়ের সর্বনাশ করে। আমি আমার চাই।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক আমিনুল ইসলাম জানান, সে (ভুক্তভোগী) আমার কাছে টাকা পাবে সেটা সত্য কিন্তু ওর গায়ে আমি কোনো হাত দেইনি আর ওকে যৌন নির্যাতনের কোনো চেষ্টা করিনি। এটা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ।
এ ব্যাপারে দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. আবুল বাসার জানান, এ ঘটনায় একটি মারামারির অভিযোগ পেয়েছি। বাদী যৌন নির্যাতনের অভিযোগ সংবাদ কর্মীদের কাছে বললেও আমরা সে রকম কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে তদন্তে যদি শ্লীলতাহানির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআইএইচ