বরগুনায় মাছের আড়ত উচ্ছেদ, রমজান নিয়ে ভোক্তাদের শঙ্কা
বরগুনার অর্ধশতাধিক মাছ ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দিনব্যাপী এ অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন।
মাছের আড়তদারদের দাবি, পুরাতন ডিসিআরে তারা ব্যবসা করে আসছিলেন। প্রশাসন তাদের কোনো রকম লিখিত নোটিশ ও পুনর্বাসনের আশ্বাস ছাড়াই হঠাৎ এসে এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে সব গুঁড়িয়ে দেয়। স্থাপনার পাশাপাশি এতে তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক মালামালসহ কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর আড়তদারদের বসার ব্যবস্থা না থাকায় বাজারে মাছ আসা কমতে শুরু করেছে। তাই স্থানীয় ভোক্তাদের শঙ্কা, বরগুনা বাজারের একমাত্র বরফ মিল ও কোল্ডস্টোরে অভিযানে উচ্ছেদ হওয়ায় আসন্ন রমজান মাসে মাছ ও বরফ সংকটে থাকবে বরগুনা।
শফিকুল ইসলাম নামে এক ভোক্তা বলেন, রমজানের আগে এ ঘটনায় মাছ ও বরফ কমতে পারে। আর তা হলে ভোক্তাদের জন্য বিড়ম্বনা বাড়বে।
মাছের আড়তদার পনু মিয়া বলেন, ডিসিআর নবায়ন হয়নি। কিন্তু লিখিত নোটিশ পেলে ব্যবসায়ীদের এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না।
আরেক ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৫-৬টি পরিবারের রুটি-রুজি। ছোট বাজার, প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থার কথাও বলা হয়নি। যুগ যুগ ধরে করে আসা মাছ ব্যবসার এ পেশা ছেড়ে কোথায় যাবে বিপুলসংখ্যক এসব ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
অভিযান পরিচালনাকারী বরগুনা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আল নূর বলেন, খাকদোন নদীর পৌর মাছবাজারসংলগ্ন এলাকায় তীর দখল করে এসব স্থাপনা গড়ে উঠেছিল। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সেখানে ৪৩টি ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে।
এসএন