বরগুনায় কমিশনের অপারগতা প্রকাশ, নির্বাচন স্থগিত
বরগুনা জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে উল্লেখ করে পদত্যাগ করেছেন খোদ নির্বাচন কমিশন।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে বরগুনা জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো এক পদত্যাগপত্রে নির্বাচন পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানায় কমিশন। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শুভ্রা দাসের সই করা এক অফিস আদেশের মাধ্যমে নির্বাচন স্থগিত করা হয় এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং করা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষ এড়াতে আগে থেকেই সতর্ক পুলিশ। সদর থানার ওসি আলী আহমেদ বলেন, এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা সতর্ক রয়েছি। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার পাশাপাশি পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২০২২ সালের স্থগিত হওয়া এ নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ছিল শনিবার (১৮ মার্চ)। এতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন, সাধারণ সম্পাদক পদে দুইজন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল।
কিন্তু প্রচারের শেষ সময়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের এক আদেশে ৬০০ জন নতুন সদস্যকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে এ নির্বাচনেই ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বলা হয়। যা নিয়ে আগে থেকেই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. হুমায়ুন কবির ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনিরুল ইসলাম গ্রুপের মধ্যে মতবিরোধ চলছিল। আদেশের পর তা উত্তাপে রূপ নেয়।
শুরু হয় দফায় দফায় মারামারি, ভাঙচুর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া। ককটেল বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। এতে রেডক্রিসেন্ট কার্যালয়সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলেও দুইদিনে অন্তত ১০-১৫ জন আহত হয়। আহতরা প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। এ ছাড়াও পুনরায় নির্বাচন স্থগিত চেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেন মো. হুমায়ুন কবির গ্রুপ।
এসএন