বঙ্গোপসাগরে ভাসমান ৪ জেলে উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ট্রলার ডাকাতির কবলে পড়ে সাগরে নিখোঁজ হওয়া ৯ জেলের মধ্যে ৪ জনের সন্ধান মিলেছে। প্রথমে গভীর সাগরে ভাসমান অবস্থায় অন্য একটি মাছ ধরার ট্রলার তাদের ভাসমান অবস্থা থেকে উদ্ধার করে। পরে র্যাব, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে তিন বাহিনীর উদ্ধারাভিযানে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯ টার দিকে ওই ট্রলার থেকে ৪ জেলেকে সুস্থ ভাবে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় কোস্টগার্ড। দুপুরে এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট এম হাসান মেহেদী।
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এফবি ভাই ভাই নামের একটি ট্রলার ১৮ জন জেলেকে নিয়ে পাথরঘাটা থেকে বঙ্গোপসাগরে যাত্রা শুরু করে। রাত আড়াইটার দিকে পায়রা বন্দর বয়া এলাকায় ডাকাতের হামলার শিকার হন। এ সময় জেলেদের গুলি করে ও কুপিয়ে জখম করে। হামলার সময় ৯ জেলে সাগরে পড়ে যায়। পরে ট্রলারটি বিকল করে ৫ লাখ টাকার রসদ সামগ্রী লুটে নিয়ে বাকি ৯ জেলেকে আহত অবস্থায় ট্রলারে রেখে যায় দস্যুরা।
শনিবার রাতে ডাকাতের কবলে পড়া ট্রলারসহ ৯ জেলেকে উদ্ধার করে মৎসজীবী ট্রলার মালিক সমিতি। এসময় জেলেরা গুরুতর জখম অবস্থায় ছিলো। ঘটনার পরপরই নিখোঁজ থাকা বাকি জেলেদের সন্ধানে সাগরে র্যাব, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে উদ্ধারাভিযান শুরু হয়।
জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বরগুনার তালতলীর একটি জেলে ট্রলার ওই চার জেলেকে সাগরে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে। পরে ওই ট্রলার থেকে কোস্টগার্ড তাদেরকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘাটে নিয়ে আসেন। বাকি পাঁচ জেলের ভাগ্যে কি ঘটেছে বলা যাচ্ছে না।
দক্ষিণ জোন কোস্টগার্ডের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট এম হাসান মেহেদী বলেন, নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে ৪ জন জীবিত উদ্ধার হয়েছে। তাদের পাথরঘাটা নিয়ে আসা হচ্ছে। বাকি জেলেদেরকেও উদ্ধার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
র্যাব-৮ কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান জানান, ৪ জেলে একটি ট্রলারে জীবিত উদ্ধার হয়েছে এবং বাকিদের সন্ধান ও ডাকাত দলটি আটকে অভিযান চলছে।
এএজেড