টাকা নিয়ে পদ বাণিজ্য নয়, অনুদান: বিএনপি
বরগুনা জেলার বামনা উপজেলা বিএনপির সদস্য জাকির খানের কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে নেওয়া টাকা ‘পদ বানিজ্যের নয়, অনুদান’ বলে দাবি করেছে বরগুনা জেলা বিএনপি। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ১১টার সময় বরগুনা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন বিএনপি নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুক ও যুগ্ম আহ্বায়ক তালিমুল ইসলাম পলাশ স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুক।
লিখিত বক্তব্যে সালেহ ফারুক বলেন, সম্প্রতি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলম ফারুক মোল্লাসহ বিএনপির কয়েকজন নেতাকে জড়িয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত টাকা নিয়ে পদ বাণিজ্যের খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বরগুনা-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জাকির খানের কাছ থেকে পদ বাণিজ্যের জন্য চেকের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আসলে‘ পদ বানিজ্যের’ যে অভিযোগ উঠেছে এটি সত্য নয়। জাকির খানের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য। তবে সেটা পদ বানিজ্য নয়, অনুদান।
জাকির খান একজন দানশীল ব্যক্তি উল্লেখ করে বলা হয়, তার কাছ থেকে অনুদানের টাকা আহ্বায়ক মাহবুব আলম ফারুক মোল্লা, যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুকসহ অন্য নেতারা বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসায় ব্যয় করেছেন।
পদ বানিজ্যের অভিযোগকারীদের ‘বর্নচোরা’ উল্লেখ করে বলা হয়, আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষে জেলা বিএনপিকে দুর্বল ও গণবিচ্ছিন্ন করার পাঁয়াতারায় লিপ্ত।
লিখিত বক্তব্যে সালেহ ফারুক আরও বলেন, আহ্বায়ক কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড বেগবান করতে কেন্দ্রের নির্দেশে জেলার ১০টি ইউনিটের ৯টি পুনর্গঠন করা হয়েছে। আহ্বায়ক কমিটির সাংগঠনিক তৎপরতা দেখে বিএনপির জনবিচ্ছিন্ন কিছু নেতা ইর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা শুরু করেছে। এই নেতারা শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনের সময় হাজিরা দিয়ে চলে যান। এরাই মোবাইল ফোনের আলাপ এডিট করে বিকৃতভাবে গণমাধ্যমের কাছে সরবরাহ করে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ বিএনপি ‘বর্নচোরা’ এসব নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।
এসআইএইচ