শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘এ মাসেই আরও দুটি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা’

ঠান্ডায় হাবুডুবু খাচ্ছে বরিশাল অঞ্চলের মানুষ। সাধারণত কৃষি ক্ষেত-খামারের কৃষক, হকার, ছোট ব্যবসায়ী, রিকশা চালকসহ নিম্ন আয়ের মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত। ইতোমধ্যে ঠান্ডায় কৃষি কাজ করতে গিয়ে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাই এই শীতে বরিশাল অঞ্চলের মানুষকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে চলতি মৌসুমে শীতের তীব্রতা কেন এত বেশি? এ বিষয়ে ঢাকাপ্রকাশ-এর কথা হয় বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মাসুদ রানা রুবেলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত ২০২১ সালের ডিসেম্বরে গড় তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বনিম্ন ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গড় অনুপাতে গত ২০২১ সালের চেয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শূন্য দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কম।’

এ ছাড়া ২০২২ সালের প্রথম সপ্তাহ এবং চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় হিসেবে শূন্য দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কম রয়েছে।

সেক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত বলা যায়, বরিশাল অঞ্চলের তাপমাত্রা গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে। কিন্তু মানুষের শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে বেশি।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বায়ুর চাপ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। কিন্তু চলতি মৌসুমে এই বাতাসের গতিবেগ গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। বর্তমানে চলতি মৌসুমে ৮ থেকে ১০ অথবা ৬ থেকে ৮ কিলোমিটার বেগে ঘণ্টায় উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হিমেল বায়ু দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। এই কারণেই গেল বছরের তুলনায় শীতের তীব্রতা মানুষ বেশি অনুভব করছে। অন্যদিকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে যার প্রভাব উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এ কারণে আকাশ কিছুটা মেঘলা রয়েছে। মেঘলা থাকার কারণে সূর্যের কিরণকাল দিনের দৈর্ঘ্য হিসেবে সম্পূর্ণ পাওয়া যাচ্ছে না। দেখা যায়, কোনো দিন ৩ ঘণ্টা, ২ ঘণ্টা আবার ৪ ঘণ্টা পাওয়া যায়। এজন্য শীতের তীব্রতা একটু বেশিই অনুভূত হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সূর্যের কিরণকাল মেঘ ও কুয়াশায় বাধার জন্য দিনের আলো পাচ্ছে না ভূ-পৃষ্ঠ। তাই রাতে শীতের তীব্রতা আরও দ্বিগুণ বাড়ে।’

এই কর্মকর্তা আগাম পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, ‘চলতি মৌসুমের জানুয়ারি মাসে মধ্যম ভাগে বা শেষের দিকে আরও দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বরিশাল অঞ্চলের উপর দিয়ে। সেক্ষেত্রে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা আরও কিছুটা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মৌসুমে বরিশালে গত ৭ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ।’

নৌ চলাচল ও বিমান চলাচলের বিষয়ে সতর্কতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত বরিশাল অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘন কুয়াশা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবার অনেক অনেক জায়গায় এই ঘন কুয়াশা দুপুর পর্যন্তও থাকতে পারে।’

এদিকে বরিশালে ঘন কুয়াশা ৫০ থেকে ১০০ মিটার পর্যন্তও রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। তাই ঘন কুয়াশা পড়ার কারণে মানুষের দৃষ্টিসীমা কমে যায়। সেক্ষেত্রে গাড়ি ও নৌ চলাচলে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে শীতের মৌসুমে সবাইকে আবহাওয়ার সতর্কতা মেনে চলার আহ্বান জানান বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মাসুদ রানা রুবেল।

এসএন

Header Ad
Header Ad

পুড়িয়ে দেওয়ার আগেই দুই ট্রাক নথিপত্র আটক করলো জনতা  

ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের পুরোনো নথিপত্র নিয়ে যাওয়া দুটি ট্রাক স্থানীয় জনতার হাতে আটক হয়ে পুলিশে সোপর্দ হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের কাগাশুরা বাজারে ঘটে। পরে, ট্রাক দুটি সংশ্লিষ্ট অধিদফতরের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জিয়াউল ইসলাম সাবু জানান, সচিবালয়ে আগুন দিয়ে নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহ হয় সেই ধরনের কোনও ঘটনা কিনা। এ কারণে তারা ট্রাক দুটি আটকে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে সংশ্লিষ্ট দফতর প্রধানকে বিষয়টি জানায়। এরপর ঘটনাস্থলে এসে নির্বাহী প্রকৌশলী সবাইকে বলেন, এগুলো বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের পুরোনো কাগজ এবং আসবাবপত্র। পুড়িয়ে ফেলার জন্য পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার পর ট্রাক দুটি ছেড়ে দেয় স্থানীয় জনতা।

এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, প্রায় এক যুগের পুরোনো দাফতরিক নথিপত্র এগুলো। যার কার্যকারিতা শেষ হয়ে গেছে বিধায় পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ভাড়া করা দুটি ট্রাকে এসব নথিপত্র ও আসবাবপত্র ভর্তি করে তা নগরের ময়লা খোলার ভাগাড়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলার জন্য অফিসের দুই কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দু’দিন আগে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। শুক্রবার যখন দুই ট্রাকবোঝাই পুরাতন নথি এই এলাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখনই সবার মনে সন্দেহ জাগে। বাজারের মধ্য দিয়ে এত কাগজ এর আগে কখনো নদীর ধারে নিতে দেখেনি কেউ। ট্রাক আটক করার পর গাড়ির চালক এগুলো সরকারি নথি এবং পোড়ানো হবে জানালে জনতা পুলিশে খবর দেয়।

এ ধরনের ঘটনা অনেকের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এবং জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষত সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ফিরে যেতে চাই: উপাচার্য হাছানাত আলী

অধ্যাপক হাছানাত আলী। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বছর থেকে ক্লাস শুরু করতে চেয়েছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক হাছানাত আলী। দায়িত্ব নিয়ে তিনি সেই ঘোষণাও দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে সাড়া পাননি। আর এতেই হতাশা নিয়ে ফেসবুকে ‘মেধার চর্চা করতে চাই’ শিরোনামে দীর্ঘ পোস্ট করেছেন তিনি।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে উপাচার্য অধ্যাপক হাছানাত আলী তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে পোস্টটি করেন।

ফেসবুকে পোস্টে তিনি লেখেন, ‌‘অনেক আশা নিয়ে গত অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলাম। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগদান করার পর তৎকালীন শিক্ষা সচিব মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এবছর থেকেই গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁর উৎসাহে অনুপ্রাণীত হয়ে আমি যোগদানের ঠিক ১০ দিনের মাথায় গত ১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর চারটি অনুষদের অধীনে ৬টি বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছিলাম।

আশায় ছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদনক্রমে চলতি শিক্ষা বছর থেকেই নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারব।

একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নওগাঁ শহরে ৭তলা বিশিষ্ঠ একটি অস্থায়ী একাডেমিক ভবনের ব্যবস্থাও করে রেখেছিলাম। নওগাঁর একজন দানশীল ব্যক্তির আর্থিক সহায়তায় এক হাজার পাঠ্য পুস্তক সম্বলিত একটি লাইব্রেরি ও ৫০টি কম্পিউটার সম্মৃদ্ধ একটি কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠার সকল প্রস্ততি নিয়ে রেখেছিলাম। একটি ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ৬টি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও ক্লাস রুমের জন্য ৬টি ল্যাপটপ সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া অনেকটাই সম্পন্ন করে ফেলেছি। অন্য আরেকটি ব্যাংকের সহায়তায় একটি স্টাডি সেন্টার ও আরেকটি ব্যাংকের সহায়তায় আইটি সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাবটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক দু’টির সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট গঠনের কাজ শেষ করে ফেলেছি। ৫০ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্লান তৈরীর কাজ শুরু করেছি। এ লক্ষ্যে একটি লিখিত প্রস্তবনা ইউজিসিতে দাখিল করেছি। গত আড়াইটি মাস দিনরাত একাকার করে কাজ করেছি, শুধু শিক্ষক হিসেবে ক্লাসরুমে ফিরে যাব বলে। আমার বড় পরিচয় আমি একজন শিক্ষক।

আমি নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ফিরে যেতে চাই। অত্র অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। সবার জানা যে, গত ১৮টি বছর বগুড়া, নওগাঁ ও জয়পুরহাটকে চরমভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে।

প্রকাশ্যে প্রতিজ্ঞা করছি, নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করব, মেধাবীরা শিক্ষক হবেন, মেধার চর্চা হবে। আমি হাল ছাড়িনি, আশাহতও হইনি, বুকভরা আশা নিয়ে এখনও একটি ভালো সংবাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছি।’

Header Ad
Header Ad

সচিবালয় ছিল দালালদের হাটবাজার: ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি

প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সচিবালয়কে দালালদের হাট বাজার বানিয়ে ফেলা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

আবুল কালাম আজাদ পোস্টে লেখেন, ‘কিছু লোক সরকারকে কঠোর হতে বলে আবার সামান্যতম কঠোর হলে গেল গেল রব তোলে। এই দ্বিচারিতা বন্ধ হওয়া জরুরি। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার সীমিত করা নিয়ে যথারীতি এই দ্বিচারিতা আবার শুরু হয়েছে। প্রবেশাধিকার সীমিত করার এই সিদ্ধান্তটি খুবই সাময়িক।’

বিষয়টি পরিষ্কার করা দরকার জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বাতিল করা হয়নি। কেবল সচিবালয়ের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে। তা-ও খুবই অল্প সময়ের জন্য। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অস্থায়ী পাস ইস্যু করা হবে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিগগিরই বিদ্যমান সব প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডই পর্যালোচনা করা হবে এবং নতুন অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ইস্যু করার জন্য সমস্ত স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কাছে আবেদন চাওয়া হবে।’

সাংবাদিকদের কাজ আরও সহজ হবে জানিয়ে উপ প্রেস সচিব বলেন, ‘এটা এখন ওপেন সিক্রেট, বাংলাদেশ সচিবালয়কে দালালদের হাটবাজার বানিয়ে ফেলা হয়েছিল। সরকারের সর্বশেষ এই সিদ্ধান্তে দালাল ছাড়া কারও শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা মনে করি, এটা সাংবাদিকদের কাজ আরও সহজ করবে। এখন সাময়িক অসুবিধা হলেও চূড়ান্ত বিচারে এটা সবাইকে সহযোগিতা করবে। এ জন্যই সবার সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে।’

অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে রাষ্ট্রের একটা বিপর্যয় হয়েছে, এটা মানতে কারও দ্বিধা থাকার কথা নয়। এ জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও করা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক, সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দিয়ে একসঙ্গে কোনো ঘটনার তদন্ত করা হয়নি।’

সংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে আবুল কালাম বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী বলেই এই ধরনের কমিটি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের দূরে রেখে তদন্ত কাজ চালানো হবে বলে যারা আবোল-তাবোল বকছেন, এরা মারাত্মক ভুলে আছেন। আমাদের বিশ্বাস, সাংবাদিকরাও বিষয়টি উপলব্ধি করবেন এবং চলমান পরিস্থিতিতে সরকারকে সহযোগতিা করবেন।’

এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সরকারি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের অনুকূলে ইস্যু করা অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দ্বারা সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার বাতিল করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নানা মহলে সমালোচনা শুরু হলে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

ওই আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সচিবালয়ে সার্বিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির স্বার্থে সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে দেওয়া স্থায়ী প্রবেশ পাস (ডিজিটাল এক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম) এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য দেওয়া অস্থায়ী প্রবেশ পাস ছাড়া সব ধরনের অস্থায়ী (বেসরকারি ব্যক্তিদের জন্য) সচিবালয় প্রবেশ পাস বাতিল করা হলো।

সাংবাদিকদের অনুকূলে ইস্যু করা অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দ্বারা সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাতিল করা হলো।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাতিল করা বিভিন্ন শ্রেণির সচিবালয় প্রবেশ পাসধারীরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ, ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, ডিএমপি, ১৫ আবদুল গণি রোড, ঢাকায় স্থাপন করা বিশেষ সেলের মাধ্যমে নতুন করে অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পুড়িয়ে দেওয়ার আগেই দুই ট্রাক নথিপত্র আটক করলো জনতা  
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ফিরে যেতে চাই: উপাচার্য হাছানাত আলী
সচিবালয় ছিল দালালদের হাটবাজার: ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি
সচিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সাময়িক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অর্থপাচারের ফাইল নষ্ট করতেই সচিবালয়ে আগুন দেয়া হয়েছে: রিজভী
ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ, পরে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা!
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে প্রেম, অতঃপর বিয়ে
ঐক্যবদ্ধ না হলে পরাশক্তিরা মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে: আজহারী
মোজাম্বিকে কারাগারে দাঙ্গায় ৩৩ জন নিহত, পালিয়েছে অন্তত ৬ হাজার বন্দি
আজ বন্ধুকে কল করার দিন
নাগরিক কমিটির ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি ঘোষণা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩৭ জন নিহত
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৬ বাংলাদেশি জেলে
সচিবালয়ের সকল বেসরকারি পাস বাতিল, ঢুকতে পারবেন না সাংবাদিকেরাও
শেখ হাসিনা-জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই
দুর্নীতিবাজদের ফাইলগুলো পুড়ে গেছে : রুহুল কবির রিজভী
শনিবার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা সুখরঞ্জন বালির
শেখ হাসিনাকে ‘নারী’ বলতে রাজি নন মৎস্য উপদেষ্টা
সূর্যের সবচেয়ে কাছে মানুষের তৈরি যান