ভোলায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে জ্বরসহ চোখ ওঠা

ভোলায় ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে জ্বরসহ চোখের সংক্রমনের অসুখ। প্রায় পরিবারের কোন না কোন সদস্য জ্বরের সাথে চোখ ওঠা রোগে ভুগছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ছোঁয়াচে এই সংক্রমন। এতে হাসপাতাল ও বাহিরে ফার্মেসীসহ সর্বত্রই দেখা দিয়েছে চোখের ঔষধের সংকট।
অপরদিকে সংকটকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর ঔষধ ব্যবসায়ী দ্বিগুণ দামে চোখের ড্রপ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ আক্রান্ত রোগিসহ রোগির স্বজনদের। প্রাইভেট ডায়গনস্টিকে চিকৎসকদের কাছে নিতে আসা আক্রান্ত রোগি অভিযোগ তুলে বলেন, ডাক্তার সাহেবেরা চোখের জন্য যেই ড্রপই লিখেন, সেই ড্রপ অধিকাংশ ফার্মেসীতেই পাওয়া যায় না। ফার্মেসীর লোকেরা বলে ঔষধ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু টাকা বেশি দিলে তারা ড্রপ বের করে দেয় এমন অভিযোগ ও রয়েছে বেশ।
ভোরা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন হাসপাতালে শতাধিকের ওপরে জ্বরসহ চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত রোগি চিকিৎসা সেবা নেয়। এছাড়াও প্রতিনিয়ত হাসপাতালের বাহিরে গড়ে অর্ধশতাধিকের ওপরে রোগি চিকিৎসা সেবা নেয়। এতে করে হাসপাতালে চোখের ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছে।
এই ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (সিভিল সার্জন) ডাঃ শফিকুল ইসলাম জানান চোখের কনজাংটিভাইটিস শুধু ভোলা জেলা নয় বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই চোখ ওঠা বাড়ছে। এ বিষয়ে আমরা সাধারণত ছোখে পরিস্কার পানি দেয়া সহ সল্য পরামর্শ দিচ্ছি।
হাসপাতালে প্রতিনিয়ত শতাধিকের ওপরে চোখ ওঠা রোগি চিকিৎসা সেবা নেয়। এতে উপজেলা সদর হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসকদের আমাদের সরবরাহকৃত ঔষধ লিখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফার্মেসীতে চোখের ড্রপ বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন যারা এই কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে ঔষধ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এএজেড
