পৌর মেয়র ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা

বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান ও পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমানসহ সাত জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে মো. কবির হোসেন খান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মো. সবুজ মেলকার, মো. শাহাব উদ্দিন শিহাব, মো. ইশফাক আহম্মেদ ত্বোহা, মো. রুহুল আমিন, মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব, মো. মুজিবুর রহমান, মো. মতিয়ার রহমান, মো. জাকারিয়া হোসেন।
এর আগে গত ১৬ আগষ্ট আমতলী উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খানের উপর হামলা করে দূর্বিত্তরা। এই ঘটনার ১৬ দিন পর এই মামলা দায়ের হলো।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মুজিবুর রহমান ও পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় গত ১৬ আগষ্ট রাতে আমতলী আলহেলাল মোড় দিয়ে উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান যাওয়ার সময় সবুজ মেলকারসহ অন্যান্য আসামীরা তার উপর দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ ঝাপিয়ে পরে গুরুতর আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এসময় মোয়াজ্জেম হোসেনকে স্থানীয় লোকজন আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত বরিশাল স্থানন্তর করেন। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতের ভাতিজা ও মামলার বাদী মো. কবির হোসেন জানান, থানায় মামলা না নেয়ায় ও চিকিৎসার কারনে মামলায় বিলম্ব হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান জানান, মামলার আদেশের নথি পাইনি। আদালতের আদেশের প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ও পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান জানান, আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হয়রানী করতেই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মোয়াজ্জেম হোসেন খানের আইনজীবি মোসা. জাকিয়া আক্তার বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন কুপিয়ে জখমের বর্বরোচিত ঘটনায় আমতলী পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান ও তার বড় ভাই মো. মজিবুর রহমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহন করে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এএজেড
