দুমকিতে প্রভাষকের হাতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আহত

পটুয়াখালীর দুমকিতে অনুপস্থিতির কারণে শোকজ দেওয়ার জের ধরে অধ্যক্ষকে কিল-ঘুষি মেরে রক্তাক্ত জখম, অফিস ভাংচুর ও কাগজ পত্র তছনছ করেছে একই প্রতিষ্ঠানের আরবি প্রভাষক ও তার স্বজনরা। গুরুতর আহত অধ্যক্ষ মাওলানা কাজী শাহ জালালকে প্রথমে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মুরাদিয়া মহিলা ফাজিল মাদ্রাসায় এ অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আরবী প্রভাষক মো. মজিবুর রহমান ওরফে কামালসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গত শনিবার অনুপস্থিত থাকায় আরবী প্রভাষক মাও: মো. মজিবুর রহমান কামালকে শোকজ করেন ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ কাজী শাহজালাল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আজ বুধবার অধ্যক্ষ মাও. কাজী মো. শাহজালাল মাদ্রাসা গেটে পৌছলে আরবি প্রভাষক মজিবুর রহমান কামাল ও তার পুত্র রইসউদ্দিন, বোন ফজিলাতুন্নেসা ও ভাগ্নে ইমরান হোসেন খাঁনসহ স্বজনরা অতর্কিতে হামলা চালিয়ে এলোপাথারী কিল, ঘুষি মেরে, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
খবর পেয়ে মাদ্রাসার সহকর্মীরা আহত অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এদিকে উত্তেজিত অভিযুক্তরা মাদ্রাসার অফিস কক্ষে ঢুকে অধ্যক্ষের টেবিলের গ্লাস, আসবাবপত্র ভাংচুর ও কাগজপত্র তছনছ করে।
অভিযুক্ত আরবি প্রভাষক মাও: মজিবুর রহমানকে তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। দুমকি থানার ওসি আবদুস সালাম বলেন, এ ঘটনায় মাদ্রসার অফিস সহকারি মাওলানা মোহেব্বুল্লাহ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এএজেড
