ভোলায় নৌ পুলিশের স্পিড বোটে শিশু আহত

ভোলায় নৌ পুলিশের স্পিড বোটে সাইফুল (১০) নামের এক বেঁদে শিশু গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত শিশু সাইফুল বেঁদে সর্দার সিরাজের পুত্র বলে জানা গেছে। আজ দুপুর ১২ টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুরের জোড়খাল নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সরে জমিনে জানা যায় নৌ পুলিশের ভাড়ায় চালিত স্পীড বোট চালক সুজন যাত্রি নিয়ে যাবার সময় নদীতে সাঁতার কাটতে থাকে ঐ শিশু। ঘাতক স্পীড বোটটি বেপরোয়া গতিতে থাকার কারনে সাতার কাটতে থাকা শিশুর উপর দিয়ে উঠিয়ে দিয়ে দ্রুত গতিতে চালিয়ে পালিয়ে যায়। আহত শিশুটিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘাতক স্পীড বোট চালক সুজন কে কল দিলে প্রথমে সে কল রিসিভ করে কথা না বলে লাইনটি কেটে দেয় ।
উল্লেখ্য, যে ১৫ই মার্চ থেকে ১৫ই অক্টোবর পর্যন্ত উপকুলীয় জেলায় চলমান থাকে এ নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এসব ছোট ছোট নৌযানগুলো এক শ্রেনীর অসাধু কর্তা ব্যাক্তিরা চালিয়ে যায়। নৌ পুলিশের নাকের ডগা দিয়েই ইলিশা ঘাটে চলছে এসব নৌযান। যার কারনে মেঘনায় একের পরে এক ঘটছে নৌ দূর্ঘটনা। এসব এড়ানোর জন্য এই ঘাটে কোস্ট গার্ডের একটি কন্টিনজেন্ট পন্টুনও রয়েছে, স্থানীয়দের মন্তব্য উপকুলীয় মানুষের দুর্ঘটনা এড়াতেই সরকার নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড ব্যাবস্থা জোরদার করেন, অথচ তারা এসব দেখভাল করতে অবহেলা করছেন। অন্যদিকে নৌ পুলিশের মাঝি জসিমের স্পীড বোট ঘটনা ঘটায়।
ইলিশা নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজালাল বাদশা বলেন স্পীড বোটটি আমাদের মাঝি জসিমের আমরা ভাড়া পরিশোধ করে ব্যাবহার করি। আমাদের মাঝি জসিম আমাকে মোবাইল ফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন, আমি আহত শিশুটিকে দেখভাল করতে জসিমকে বলেছি। ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ গোলাম আযম বলেন, আমি আহত শিশুটিকে দেখে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছি।
এএজেড
