ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারসহ ১১ জেলে ভারতে
নিম্নচাপের প্রভাবে গভীর বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়া বরগুনার একটি ট্রলার ভারতীয় সীমান্তে চলে গেছে। ট্রলারটিতে ১১ জন মাঝিমাল্লা ছিলেন। বর্তমানে তারা ভারতীয় পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
তিনি জানান, ১০ আগষ্ট সন্ধ্যায় ১১ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া এলাকা থেকে বলেশ্বর নদ হয়ে গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করতে যায় এফবি ফাতেমা ট্রলারটি। এরপর থেকে উপকূলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ হয়নি তাদের।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আরও জানান, গত পাঁচ দিন ধরে ১১ মাঝিমাল্লাসহ ট্রলারটি নিখোঁজ ছিল। এরপর সোমবার রাতে ভারতের চব্বিশ পরগনার ছোট মোল্লাখালির স্থানীয় বাজার থেকে ট্রলারের মালিক শামসুল হক তার স্বজনদের ফোন দিয়ে তারা সবাই ভারতে আছে বলে জানান।
ট্রলার মালিকের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, আবহাওয়া খারাপ হওয়ার পর ট্রলারটি ঘাটে ফিরে আসার সময় ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এরপর ভাসতে ভাসতে ভারতের চব্বিশ পরগনার ছোট মোল্লাখালির একটি চরে গিয়ে আটকে যায়। এ সময় সেখানকার স্থানীয়রা ট্রলারের মাছ, জাল-দড়িসহ সকল রশদ লুট করে নেয়। সেইসঙ্গে তাদের মারধরের ঘটনাও ঘটে। পরে সেখান থেকে স্থানীয়রা পাথরঘাটায় স্বজনদের কাছে জেলেদের ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে জন প্রতি ১২ হাজার টাকা দাবি করে। স্বজনরা সঠিক সময়ে টাকা দিতে না পারায় ১১ মাঝিমাল্লাকে চব্বিশ পরগনার ছোট মোল্লাখালি পুলিশের কোস্টাল স্টেশন সোপর্দ করে।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জানান, পাথরঘাটা থানায় নিখোঁজ ১১ জেলের নাম উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নিখোঁজ জেলেদের বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। এদের উদ্ধারে ও ট্রলার মালিক সমিতির মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে খোঁজ-খবর নিচ্ছি।
এসআইএইচ