ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা হবে: গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আব্দুর রহিম ও নুরে আলম দেশ ও জনগণের জন্য জীবন দিয়েছেন। আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে দেশে একটি নিরপক্ষ নির্বাচন করা হবে। শেখ হাসিনার অধীনে এ দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকাল ৫টার দিকে নগরীর সদর রোডে অশ্বিনী কুমার টাউন প্রাঙ্গনে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
ভোলায় বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বর্বরোচিতভাবে গুলি করে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আব্দুর রহিম ও ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমকে হত্যা ও শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুলিবিদ্ধ করে আহত করার প্রতিবাদে এ জনসভার আয়োজন করা হয়।
পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের টাকায় বেতন নেন। জনগণ আপনাদের টাকা চলে না, জনগণের বুকে গুলি চালাবার চেষ্টা করবেন না।
তিনি আরও বলেন, ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে কুইক রেন্টালের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। জনগণের টাকা পাচারের জন্য তাদের একদিন হিসাব দিতে হবে। এই ফ্যাসিস্ট সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় থাকার অধিকার হারিয়েছে। তাই আন্দোলন-সংগ্রামে আব্দুর রহিম ও নুরে আলমসহ কোনো শহীদের রক্ত বৃথা যাবে না।
বরিশাল মহানগর, বরিশাল উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির যৌথ আয়োজনে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান খান ফারুকের সভাপতিত্বে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবির জাহিদ, জেলা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন মেবুল, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মুকুল, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিন বিকাল ৩টা থেকেই মহানগর জেলা দক্ষিণ ও বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দলে দলে সমাবেশস্থলে যোগ দেন। একপর্যায়ে সদর রোডে যান চলাচল থেমে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। তবে সমাবেশস্থল ঘিরে সদর রোডে ব্যাপক পুলিশ ও র্যাবের উপস্থিতি দেখা যায়।
এসজি/